বিশ্বব্যাপী বেড়েই চলেছে ক্রিপ্টোকারেন্সির লেনদেন। ফাইল ছবি।
বেসরকারি ক্রিপ্টোকারেন্সি নিষিদ্ধ করার পথে যাচ্ছে না কেন্দ্র। সূত্রের খবর, বরং ক্রিপ্টোকারেন্সিকে নিয়ন্ত্রণের আওতায় আনতে চাইছে সরকার। সম্প্রতি এই ক্রিপ্টো বিলের উপর জারি করা ক্যাবিনেট নোটে এ কথাই জানাচ্ছে মোদী সরকার। তবে ক্রিপ্টোকে সরকারি মুদ্রার স্বীকৃতি দেওয়ার সম্ভাবনা নেই বলেও স্পষ্টই জানাচ্ছে ক্যাবিনেট নোট। ওই নোটে ক্রিপ্টোকারেন্সিকে ক্রিপ্টোঅ্যাসেট হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে।
বিশ্বব্যাপী বেড়েই চলেছে ক্রিপ্টোকারেন্সির লেনদেন। ডিজিটাল মুদ্রার লেনদেনে নিয়ন্ত্রণ আনতে বিল আনছে মোদী সরকার। প্রাথমিক ভাবে ঠিক হয়েছে, বেসরকারি ক্রিপ্টো মুদ্রাকে এখনই নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হচ্ছে না। বরং ডিজিটাল মুদ্রা লেনদেনের বিষয়টিকে সরকারি নিয়ন্ত্রণের আওতায় আনা হবে। তবে সরকারি নিয়ন্ত্রণে এলেও, ক্রিপ্টোকে এখনই মুদ্রার স্বীকৃতিও দিতে নারাজ কেন্দ্র। আপাতত তা সম্পদ হিসেবেই বিবেচিত হবে। গোটা বিষয়টি নিয়ন্ত্রণের ভার থাকবে সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ বোর্ড অব ইন্ডিয়া (সেবি)-এর হাতে।
সূত্রের খবর, যাঁরা ইতিমধ্যেই ক্রিপ্টোকারেন্সিতে বিনিয়োগ করে ফেলেছেন, তাঁদের জন্য একটি সময়সীমা দেবে সরকার। সেই সময়ের মধ্যে তাঁদের হলফনামা দিয়ে বিনিয়োগের খুঁটিনাটি জানাতে হবে এবং তার পর থেকে লেনদেন নিয়ন্ত্রিত হবে সরকারি দায়িত্বপ্রাপ্ত সংস্থা সেবি-র নজরদারিতে। শোনা গিয়েছিল, ভারতের রিজার্ভ ব্যাঙ্ক নিজস্ব ক্রিপ্টো আনতে পারে। কিন্তু জারি করা ক্যাবিনেট নোটে তার কোনও ইঙ্গিত এখনও পর্যন্ত নেই। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, আপাতত সে পথে হাঁটবে না আরবিআই।
আইন বহির্ভূত ভাবে ক্রিপ্টো ব্যবহার প্রমাণিত হলে দেড় বছরের সাজার সংস্থান রাখা হচ্ছে। পাশাপাশি বিরাট অঙ্কের আর্থিক জরিমানারও সংস্থান রাখা হচ্ছে। যদি ক্রিপ্টো থেকে অর্জিত সম্পদ জঙ্গি কার্যকলাপে ব্যবহার করা হয়, সে ক্ষেত্রে বর্তমান আইন অনুযায়ীই অভিযুক্তের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy