ছবি সংগৃহীত
করোনার প্রথম প্রকোপ ভারতে দেখা গিয়েছিল ২০২০ সালে। সেই বছর এই দেশে ২০১৯ সালের চেয়ে প্রায় ৪.৭৫ লক্ষ বেশি মৃত্যু নথিভুক্ত হয়েছিল। এঁদের মধ্যে করোনায় মারা গিয়েছিলেন ১,৪৮,৯৯৪ জন। ভারত সরকার করোনায় মৃত্যুর প্রকৃত তথ্য লিপিবদ্ধ করেনি বলে ইতিমধ্যেই অভিযোগ তুলেছে একাধিক আন্তর্জাতিক সংস্থা। এমনকি ভারতে কোভিডের মৃত্যুর প্রকৃত সংখ্যা ৫০ লক্ষ ছুঁতে পারে বলেও একটি সমীক্ষার দাবি। কিন্তু এ দেশে জন্ম-মৃত্যুর হিসাব রাখা সিভিল রেজিস্ট্রেশন সিস্টেম (সিআরএস)-এর পরিসংখ্যানেও দেখা গেল, সেখানে করোনায় মৃত্যুর সংখ্যা কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের ঘোষিত পরিসংখ্যানেরই কাছাকাছি। ফলে ‘কোভিডে মৃত্যুর প্রকৃত তথ্য’ ঘিরে জল্পনা রয়েই গেল।
সিআরএসের সামগ্রিক পরিসংখ্যানে দেখা যাচ্ছে, ২০২০ থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত করোনায় মৃত্যু হয়েছে যথাক্রমে ১,৪৮,৯৯৪ জন, ৩,৩২,৪৯২ জন এবং ৪২,২০৭ জনের। সব মিলিয়ে সংখ্যাটা ৫,২৩,৬৯৩। অন্য দিকে, কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের হিসাবে, করোনায় তিন বছরে মারা গিয়েছেন ৫.২০ লক্ষের কাছাকাছি। এর ভিত্তিতে স্বাস্থ্য মন্ত্রকের যুক্তি, উভয় ক্ষেত্রে তুলনা করলে দেখা যাবে, মাত্র তিন হাজার মৃত্যুর পার্থক্য রয়েছে। ফলে কোভিডে ভারতে প্রকৃতপক্ষে অনেক বেশি মৃত্যু হয়েছে বলে যে দাবি করা হচ্ছে, তা ঠিক নয়।
২০২০ সালে মৃত্যুর হার বৃদ্ধির নেপথ্যে কি করোনার হাত ছিল, যা প্রকৃত কারণ হিসাবে ঠিক ভাবে নথিভুক্ত করা হয়নি? নীতি আয়োগের সদস্য বিনোদ পল বলেন, ‘‘দেশের প্রতিটি গ্রাম-জেলা থেকে ওই তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে। মৃত্যুর সংখ্যা যে ২০২০ সালেই বেড়েছে, তা নয়। তার আগের দু’বছরেও দেশে মৃত্যুর সংখ্যা বেড়েছে যথাক্রমে ৪.৮৭ লক্ষ এবং ৬.৯০ লক্ষ।’’
একই সঙ্গে দেশে শিশুদের জন্মহার কমেছে বলে দাবি করা হয়েছে ওই পরিসংখ্যানে। দেখা যাচ্ছে, ২০১৯ সালে যেখানে দেশে ২.৪৮ কোটি শিশু জন্মেছিল, সেখানে ২০২০ সালে জন্মেছিল ২.৪২ কোটি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy