লোকসভার সাংসদদের আরও বেশি করে জনসংযোগ বাড়াতেও নির্দেশ দিয়েছেন সুদীপ। প্রতীকী ছবি।
সংসদের কোনও ঘরে বসে দল নিয়ে আলোচনা বা সমালোচনা করা যাবে না। তা সে অধিবেশন মুলতুবি হয়ে যাওয়ার পরে লোকসভা বা রাজ্যসভার কক্ষেই হোক, অথবা সেন্ট্রাল হল কিংবা দলীয় কার্যালয়ে। আজ সকালে তৃণমূল কংগ্রেসের সংসদীয় দলের অভ্যন্তরীণ বৈঠকে এমনটাই স্থির হয়েছে বলে রাজনৈতিক সূত্রের খবর।
সকালে লোকসভার দলনেতা সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় ওই কক্ষের সাংসদদের নিয়ে বৈঠকে বসেছিলেন। সেখানে দলের শৃঙ্খলারক্ষার বিষয়টি বিশেষ গুরুত্ব সহকারে উত্থাপন করা হয়। পরে রাজ্যসভার কয়েক জন সাংসদও যোগ দেন ওই বৈঠকে। তৃণমূল নেতৃত্বের নির্দেশ, মানুষের স্মৃতি দুর্বল। ফলে সংসদীয় অধিবেশন শেষ হয়ে গেলে সাংসদদের নিজ নিজ নির্বাচনী ক্ষেত্রে ফিরে গিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘোষিত কর্মসূচির ‘সুফল’ ফের মানুষকে মনে করিয়ে দিতে হবে। তার জন্য যাবতীয় কৌশল নিতে হবে। লোকসভার সাংসদদের আরও বেশি করে জনসংযোগ বাড়াতেও নির্দেশ দিয়েছেন সুদীপ।
তৃণমূল সাংসদদের একাংশের অভিযোগ, কোনও কোনও নেতা সংসদীয় অফিসে বসে দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদককে কুবাক্য বলছেন, সর্বসমক্ষে সমালোচনা করছেন। অবিলম্বে এটা বন্ধ করার দাবি তোলেন তৃণমূলের হাওড়ার সাংসদ-ফুটবলার প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায়। সূত্রের খবর, প্রসূন বলেন, এক জন ফুটবলার হিসেবে তিনি নিজেকে ‘টিমম্যান’ মনে করেন। রাজনীতিতেও সেই ভূমিকা বজায় রেখে একজোট হয়ে ‘স্পিরিট’ ধরে রেখে সংসদীয় কাজকর্ম করতে চান। সূত্রের আরও বক্তব্য, প্রসূন তৃণমূলের সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম করে সমালোচনা করেন। বলেন, অন্যায় ভাবে দলের সাধারণ সম্পাদক সম্পর্কে প্রত্যহ খারাপ কথা বলা হচ্ছে। এটা বন্ধ করতে হবে। জানা গিয়েছে, দলের লোকসভার নেতাও প্রসূনকে সমর্থন করে বলেন, সংসদে বসে দলের কারও সম্পর্কে কটু কথা বলা চলবে না। সংসদে কী ভাবে কাজ করা হবে, তা নিয়েই আলোচনা করতে হবে। সূত্রের খবর, এই ব্যাপারে সুদীপকে সমর্থন করেন উপস্থিত সাংসদেরা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy