সার্স-কোভ-২ ভাইরাসের ডেল্টা স্ট্রেনের দাপটে ভারতে গত বছর এপ্রিল থেকে জুনের মধ্যে প্রাণ হারিয়েছেন কমপক্ষে ২ লক্ষ ৪০ হাজার মানুষ। যা সরাসরি প্রভাব ফেলেছে দেশের অর্থনৈতিক অবস্থার উপরে। তবে আতঙ্কের বিষয় এই যে, এখনই কড়া পদক্ষেপ না-করা হলে ফের ফিরে আসতে পারে একই পরিস্থিতি। সম্প্রতি রাষ্ট্রপুঞ্জের প্রকাশিত এক রিপোর্টে উঠে এসেছে এমনটাই।
রাষ্ট্রপুঞ্জের ‘ওয়ার্ল্ড ইকনমিক সিচুয়েশন অ্যান্ড প্রসপেক্টস ২০২২’ বা ডব্লুইএসপি-র রিপোর্টটিতে এই তথ্য জানানোর পাশাপাশি আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছে যে ওমিক্রনের দাপটেও একই পরিস্থিতি ফিরতে পারে। কারণ, সংক্রামক ক্ষমতা বেশি হওয়ায় মৃতের সংখ্যা বৃদ্ধির পাশাপাশি এই ভেরিয়েন্টের প্রভাবে অর্থনৈতিক স্থিতি ব্যাহত হতে পারে।
এই প্রসঙ্গে রাষ্ট্রপুঞ্জের ‘ইকনমিক অ্যান্ড সোশ্যাল অ্যাফেয়ার্স’ দফতরের এক আধিকারিকের মত, পরিস্থিতির মোড় ঘোরাতে দেশের অধিকাংশ জনগণকে দ্রুত প্রতিষেধক দেওয়ার কাজ শেষ করা জরুরি। এ দিকে, গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে কোভিড আক্রান্তের হার ৬.৭% বেড়ে গিয়েছে ভারতে। স্বাস্থ্য মন্ত্রকের বুলেটিন অনুযায়ী, দেশে নতুন করে ২,৬৪,২০২ জন আক্রান্ত হয়েছেন কোভিডে। অতিমারির শুরু থেকে শুক্রবার প্রথম সবচেয়ে বেশি সংক্রমণ দেখল জম্মু-কাশ্মীর। এক লাফে এ দিন ২৪৫৬ জন আক্রান্ত হয়েছে সে রাজ্যে।
দিল্লিতে হু হু করে বাড়ছে কনটেনমেন্ট জ়োনের সংখ্যা। গত ১৫ দিনে হাজার থেকে বেড়ে তা ২৪ হাজারে দাঁড়িয়েছে। এর মধ্যে শুধু দক্ষিণ দিল্লিতেই ৮৩৮৩টি এলাকাকে কনটেনমেন্ট ঘোষণা করা হয়েছে। অন্য দিকে, সিরাম ইনস্টিটিউটের কোভিশিল্ড এবং ভারত বায়োটেকের কোভ্যাক্সিনকে সম্পূর্ণ স্বীকৃতি দিতে দুই সংস্থার কাছেই আরও তথ্য চেয়েছে সরকার।