ছোট থেকেই অপরাধমূলক কাজে এক রকম আসক্তই হয়ে পড়েছিলেন। চুরি, ছিনতাই, মারপিট এ সব ছিল বাঁ হাতের খেলা, তাঁর ভালবাসা। আর সেই ভালবাসার সূত্রপাত হয়েছিল নিজের পরিবার থেকেই। মায়ের মঙ্গলসূত্র চুরি করা, বাবার পকেট কাটা, এ ভাবে বাড়ি থেকে টাকা হাতিয়েই নিজের চাহিদা মেটাতে সিদ্ধহস্তও হয়ে উঠেছিলেন ক্রমশ। যত সময় এগিয়েছে সেই ‘শিল্পকলা’ বাড়ির সীমানা ছাড়িয়ে ক্রমে বাইরেও ছড়িয়ে ফেলেছিলেন তিনি।
স্কুলে সহপাঠীদের কখনও ভয় দেখিয়ে, কখনও মারধর করে টাকা হাতিয়ে নিতেন। সহপাঠীদের থেকে টাকা না পেলে ছেলেমেয়েদের মারধরের হুমকি থেকে নিস্তার পেতেন না অভিভাবকেরাও। পরবর্তীকালে এলাকার কুখ্যাত দুষ্কৃতী হিসাবে চিহ্নিত হয়ে যান তিনি। সমাজবিরোধী কাজে অর্থ উপার্জনের নেশায় বুঁদ হয়ে গিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু সারা জীবন মা-বাবা হাজার বুঝিয়েও যে পথে আনতে পারেননি তাঁকে, মাত্র ৩০ দিনের কারাবাসই সে পথে নিয়ে গেল তাঁকে।