প্রতীকী ছবি।
চতুর্থীর বিকেলে দিল্লিতে কেন্দ্রীয় কমিটির বৈঠকে বসলেন সিপিএম নেতারা। তিন দিনের বৈঠক শেষ হওয়ার কথা ষষ্ঠীর সন্ধ্যায়। সূত্রের খবর, মহাসপ্তমীর আগে কলকাতা বা নিজের জেলায় ফিরতে উন্মুখ সিপিএমের বাংলার নেতাদের অনেকেই ষষ্ঠীর বিকেলের বিমান বা ট্রেনের টিকিট কেটে ফেলেছেন।
আজ সিপিএমের সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরি বলেছেন, খুব স্পষ্ট ভাবেই দক্ষিণপন্থার দিকে যাচ্ছে ভারত। এর মোকাবিলায় সিপিএমকে লড়তে হবে। তার জন্য মানুষের সঙ্গে যোগাযোগ তৈরি জরুরি। তার জন্য সিপিএমের কর্মীদের প্রশিক্ষণ দিতে আজ দিল্লিতে সিপিএমের পার্টি স্কুল হরকিষেন সিংহ সুরজিৎ ভবনের উদ্বোধন হয়েছে। নতুন ভবনে কর্মীদের আবাসিক প্রশিক্ষণ হবে। কিন্তু কেন্দ্রীয় কমিটির বৈঠকে যোগ দিতে দিল্লিতে আসা বাংলা, উত্তর ও পশ্চিম ভারতের নেতাদের মনে প্রশ্ন, দুর্গাপুজো ও নবরাত্রির সময় এই বৈঠক ডাকা কেন! সিপিএম যে মানুষের থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ছে, এতে কি সেই বার্তাই যায় না? আজ গাঁধীর ১৫০তম জন্মবার্ষিকীতে সিপিএমের প্রাক্তন সাধারণ সম্পাদক সুরজিতের নামে পার্টি স্কুলের উদ্বোধন করে সীতারাম ইয়েচুরি-প্রকাশ কারাটরা আজ গাঁধীকে সামনে রেখেই মোদী সরকারকে নিশানা করেছেন। ইয়েচুরি বলেন, ভারতের স্বাধীনতার লড়াইয়ে গাঁধী জীবনভর ধর্মনিরপেক্ষ, গণতান্ত্রিক প্রজাতন্ত্র তৈরির চেষ্টা করেছেন। সিপিএম তার থেকে এগিয়ে আর্থিক স্বাধীনতার কথা বলেছে। কিন্তু আরএসএস ধর্মের ভিত্তিতে দেশ ভাগের কথা বলেছিল।
এখন মোদী সরকার গত ৬ বছরে একই সঙ্গে আর্থিক শোষণ ও সাম্প্রদায়িক মেরুকরণের নীতি নিয়েছে। এর বিরুদ্ধে লড়তে পারে এক মাত্র বামপন্থীরা।
কিন্তু সংগঠনের জোর না থাকলে সিপিএম কী ভাবে লড়বে, সে প্রশ্নের মুখে সিপিএম নেতাদের জবাব, সংগঠন ঢেলে সাজানোর জন্য কলকাতা প্লেনামের সিদ্ধান্ত রূপায়ণ করতেই কেন্দ্রীয় কমিটির এই বৈঠক। প্লেনাম হয়েছিল ২০১৫ সালের শেষে। চার বছরেও কেন সেই সিদ্ধান্ত রূপায়ণ হয়নি, তা নিয়ে অবশ্য সিপিএম নেতৃত্বের মুখে কুলুপ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy