বাম সূত্রের খবর, কংগ্রেস আরও চার-পাঁচটি আসনের দাবি বজায় রেখেছে। প্রতীকী ছবি।
আসন ভাগাভাগি নিয়ে কংগ্রেসের সঙ্গে টানাপড়েনের জেরে ত্রিপুরায় প্রার্থী ঘোষণা স্থগিত রাখল বামফ্রন্ট। সিপিএমের প্রার্থী তালিকা প্রায় চূড়ান্ত। কথা ছিল, বামফ্রন্টের বৈঠকে তালিকা অনুমোদন করে মঙ্গলবার প্রার্থী ঘোষণা করে দেওয়া হবে। কিন্তু বাম সূত্রের খবর, কংগ্রেস আরও চার-পাঁচটি আসনের দাবি বজায় রেখেছে। আলোচনার পথে মীমাংসার জন্য আরও একটু সময় নিচ্ছেন সিপিএম নেতৃত্ব। চেষ্টা চলছে, বিষয়টি আজ, বুধবারের মধ্যে নিষ্পত্তি করে বামেদের তালিকা ঘোষণা করে দেওয়ার।
বিজেপির ‘ফ্যাসিবাদী’ শাসনের অবসান এবং গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের ডাক দিয়ে গণতান্ত্রিক ও ধর্মনিরপেক্ষ শক্তিকে একজোট করে এ বার বিধানসভা ভোটে লড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সিপিএম ও কংগ্রেস। দলের প্রার্থী তালিকায় পরিবর্তন এবং আসন ভাগাভাগির বিয়ে নীতিগত সিদ্ধান্ত হয়ে গিয়েছে সিপিএমের রাজ্য কমিটিতে, যেখানে উপস্থিত ছিলেন দলের সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরি। তিন বাম শরিক দলের জন্য একটি করে আসনের বরাদ্দ অক্ষত রেখে সিপিএম নিজেদের ভাগ থেকে কংগ্রেসকে ১০টি আসন ছেড়ে দিতে চেয়েছে। কিন্তু কংগ্রেস অন্তত ১৪-১৫টি আসন দাবি করছে বলে সূত্রের খবর। সিপিএমের রাজ্য সম্পাদকমণ্ডলীর এক সদস্যের কথায়, ‘‘বিধানসভা এলাকায় শক্তির বিচারে আসন ভাগ করতে হবে। নিজেদের শক্তির বাইরে গিয়ে কিছু দাবি করলে মুশকিল। তবু আমরা চেষ্টা করছি, বাড়তি কয়েকটি আসনের দাবির বিষয়ে আলোচনার পথে যাতে দ্রুত মীমাংসা করা যায়।’’ কংগ্রেস নেতারা অবশ্য মুখে কুলুপ এঁটেছেন। প্রদেশ কংগ্রেসের এক নেতার বক্তব্য, ‘‘আলোচনা এখনও শেয হয়নি। তার আগে মন্তব্য করা উচিত হবে না।’’
প্রদ্যোৎ কিশোর মানিক্য বলে রেখেছেন, জনজাতি মানুষের ‘আবেগ’ মাথায় রেখে তাঁর দল তিপ্রা মথা-ও দ্রুত প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করবে। তবে মথা-কেও বিরোধী সমঝোতায় জায়গা দিতে শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত রাজি সিপিএম। দলের এক রাজ্য নেতার মতে, ‘‘স্পষ্ট কোনও সিদ্ধান্ত ওঁরা জানাননি। প্রার্থী দিলে ওঁরা জনজাতি আসনেই দেবেন। তার পরেও আলোচনা হতে পারে।’’ তবে একে মনোনয়নের দিন এসে যাওয়া এবং সেই সঙ্গে মনোনয়নের প্রক্রিয়া আগের চেয়ে জটিলতর হওয়ার কারণ দেখিয়ে বেশি সময় ব্যয় করতে চাইছে না সিপিএম।
এরই মধ্যে রামনগর কেন্দ্রে প্রার্থী আইনজীবী পুরুষোত্তম রায় বর্মণকে প্রার্থী করার ঘোষণা করেছে ত্রিপুরা মানবাধিকার সংগঠন। তিনিই ওই সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক। সংগঠনের তরফে মৃন্ময় চক্রবর্তী ও তরুণ চক্রবর্তী এ দিন বলেছেন, রাজ্যে যে দুঃসহ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে, তাতে রাজ্যের মানবাধিকার সংগঠন চুপ করে থাকতে পারে না। মানবাধিকার অক্ষুণ্ণ রাখার পক্ষে বিধানসভায় আওয়াজ জোরালো করতে তাঁরা প্রার্থী দিচ্ছেন। গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার লড়াইয়ে থাকা বামফ্রন্ট, কংগ্রেস, তিপ্রা মথা-সহ গণতন্ত্র সব রাজনৈতিক দল ও সংগঠনকে নির্দল প্রার্থী পুরুষোত্তমকে সমর্থন জানানোর আহ্বান জানিয়েছেন তাঁরা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy