Advertisement
২৬ নভেম্বর ২০২৪
Assam

Gorukhunti: সংখ্যালঘুরা উচ্ছেদের নিশানা, দাবি বামেদের

সিপিএমের অভিযোগ, অসমের গরুখুঁটিতে চালানো উচ্ছেদ অভিযানে পদে পদে ভঙ্গ করা হয়েছে মানবাধিকার।

ধলপুরে উচ্ছেদ অভিযান। ছবি পিটিআই।

ধলপুরে উচ্ছেদ অভিযান। ছবি পিটিআই।

নিজস্ব সংবাদদাতা
গুয়াহাটি শেষ আপডেট: ০১ অক্টোবর ২০২১ ০৭:১০
Share: Save:

অসমে গরুখুঁটির ধলপুরে উচ্ছেদ অভিযান ও গুলিচালনার ঘটনা নিয়ে সরকারের ভূমিকা ও তদন্ত নিয়ে রিপোর্ট চাইল রাজ্য মানবাধিকার কমিশন। সিপিএমের অভিযোগ, অসমের গরুখুঁটিতে চালানো উচ্ছেদ অভিযানে পদে পদে ভঙ্গ করা হয়েছে মানবাধিকার। জবরদখল হটানোর নামে একটি নির্দিষ্ট সম্প্রদায়কে নিশানা করেছে বিজেপি। সিপিএম পলিটবুরো সদস্য বৃন্দা কারাট, দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সুপ্রকাশ তালুকদার, সরভোগের বিধায়ক মনোরঞ্জন তালুকদার-সহ বাম প্রতিনিধিরা আজ গরুখুঁটির ধলপুরে গিয়ে উচ্ছেদ হওয়া পরিবারগুলির সঙ্গে দেখা করেন। সেখানে বৃন্দা সংখ্যালঘুদের নিশানা করার অভিযোগ আনেন। বলেন, “গত ২৩ সেপ্টেম্বর থেকে আজ পর্যন্ত উচ্ছেদ হওয়া অন্তত হাজারটি পরিবারের শিশু-মহিলা ও বাকি সদস্যরা চরম দুর্দশায় জীবন কাটাচ্ছেন। পুনর্বাসন দূরের কথা সরকারের তরফে এত দিন ধরে তাঁদের কোনও রকম খাদ্য-পানীয় দেওয়া হয়নি। অথচ এঁরা সকলেই ভারতীয়। অনেকের পূর্বপুরুষের নাম ১৯৫০ সালের ভোটার তালিকা ও এনআরসিতে রয়েছে। ভারতীয় হওয়ার সব নথিপত্র, জমির দলিল রয়েছে তাঁদের কাছে।”
বৃন্দার দাবি, “পাঁচ দশকের বাসিন্দা হওয়ার পরেও নির্লজ্জ, ডাবল ইঞ্জিনের সরকার বিরাট পুলিশবাহিনী নিয়ে বাসিন্দাদের উচ্ছেদ করল, লাঠি চালাল, গুলি চালাল, দু’জনকে হত্যা করল। মহিলা-শিশুরাও রেহাই পায়নি। শুধুমাত্র সংখ্যালঘু, মুসলিম হওয়ার কারণেই তাঁদের সঙ্গে এই ব্যবহার করা হল। হিন্দু রাষ্ট্রের ধ্বজাবাহকদের এই সাম্প্রদায়িক মনোভাব ও অমানবিক উচ্ছেদ দেশ ও সংবিধানের বিরোধী। এর বিরুদ্ধে আমরা লড়ব।”

রাজ্য সিপিআইয়ের সম্পাদক মুনিন মহন্ত বলেন, “আমরা জবরদাখলকারী উচ্ছেদের বিরোধী নই। কিন্তু আগে পরিবারগুলির উপযুক্ত পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করে উচ্ছেদ চালাতে হবে।” তাঁর অভিযোগ, “অনেক চা বাগান ও শিল্প সংস্থাও সরকারি জমি জবরদখল করে রেখেছে। তাদের উৎখাত করতে তো বিজেপি সরকার এমন ব্যবস্থা নিচ্ছে না! ধলপুরের মানুষরা সংখ্যালঘু বলেই এ ভাবে ঝাঁপিয়ে পড়েছে সরকার। অসমের নাগরিক হওয়ার সত্ত্বেও তাঁদের বাংলাদেশি সাজানোর চেষ্টা চলছে। অথচ পরিবারগুলির নাম রয়েছে এনআরসিতে।”
মুখ্যমন্ত্রী হিমন্তবিশ্ব শর্মা দাবি করেছেন, উপনির্বাচনের আগে কেন্দ্র দখলের উদ্দেশ্যে জবরদখলকারীর সংখ্যা বাড়ানো হয়েছিল। ১০ হাজারের মধ্যে ৬ হাজার মানুষের নামই এনআরসিতে নেই। কংগ্রেস বিধায়ক শেরমান আলি গরুখুঁটি কাণ্ডের সঙ্গে অসম আন্দোলনের প্রসঙ্গে টেনে সাম্প্রদায়িক ও বিতর্কিত মন্তব্য করে কংগ্রেসকে আরও বেকায়দায় ফেলেন। কংগ্রেস অবশ্য দাবি করেছে, শেরমানের মন্তব্য গ্রহণযোগ্য নয়। প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি ভূপেন বরা জানান, শেরমানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা নিয়ে বিরোধী দলনেতা দেবব্রত শইকিয়ার সঙ্গে আলোচনা হবে।

অন্য বিষয়গুলি:

Assam Minority
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy