রেললাইনে উদ্ধার হয় সাগর দেশপাণ্ডে (ইনসেটে) দেহ। কিছুটা দূরে মেলে তাঁর গাড়িটিও। ছবি: টুইটার থেকে।
ইয়েস ব্যাঙ্ক দুর্নীতিতে কি ভ্রমণ সংস্থা ‘কক্স অ্যান্ড কিংস’-ও জড়িত? গত সোমবার রেললাইনের উপর ‘কক্স অ্যান্ড কিংস’-এর ফাইনান্সিয়াল ম্যানেজারের মৃতদেহ উদ্ধারের পর এ নিয়ে তৈরি হল জটিলতা। ম্যানেজার সাগর দেশপাণ্ডে আত্মহত্যা করেছেন, নাকি তাঁকে খুন করা হয়েছে, তা নিয়ে তদন্ত করছে মুম্বই পুলিশ। অন্য দিকে কক্স অ্যান্ড কিংস এবং ইয়েস ব্যাঙ্কের যোগসাজশ নিয়ে তদন্তে নেমেছে এনফোর্সমেন্ট ডাইরেক্টরেট (ইডি)। ইতিমধ্যেই বেশ কিছু তথ্যপ্রমাণও আর্থিক দুর্নীতির তদন্তকারী এই কেন্দ্রীয় সংস্থার হাতে এসেছে।
মুম্বই পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, গত ২০১০ সাল থেকে কক্স অ্যান্ড কিংস-এ ফাইনান্স ম্যানেজার পদে কর্মরত ছিলেন সাগর দেশপাণ্ডে (৩৮)। ইয়েস ব্যাঙ্কের দুর্নীতির তদন্তে নামার পর এই সংস্থার সঙ্গে রানা কপূরের ইয়েস ব্যাঙ্কের যোগসাজশের প্রমাণ পেয়েছিল ইডি। ইতিমধ্যেই ইডির তদন্তকারী অফিসারদের সামনে হাজিরা দিয়েছেন সাগর। আর এক দফা হাজিরার জন্য তাঁকে নোটিস পাঠিয়েছিল ইডি। ওই নোটিস অনুযায়ী ১৩ অক্টোবর তাঁর হাজিরা দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু তার দু’দিন আগে ১১ অক্টোবর রবিবার রাত থেকে নিখোঁজ হয়ে যান সাগর।
পরিবারের লোকজন পরের দিন নউপদা থানায় নিখোঁজ ডায়েরিও করেছিলেন। সেই দিনই রেললাইনের উপর তাঁর দেহ উদ্ধার করে পুলিশ। ট্রেনে কাটা পড়ে তাঁর মৃত্যু হয়েছে বলে ময়নাতদন্তের প্রাথমিক রিপোর্টে ইঙ্গিত। পুলিশের অনুমান, মানসিক চাপে আত্মহত্যা করেছেন সাগর। যদিও অন্য সম্ভাবনাও উড়িয়ে দিচ্ছে না পুলিশ।
আরও পড়ুন: ‘করোনার শিখর পেরিয়ে এসেছে দেশ, ফেব্রুয়ারিতে শেষ হবে অতিমারি’
ইডি সূত্রে খবর, ইয়েস ব্যাঙ্ক-কক্স অ্যান্ড কিংসের যোগসাজসের তদন্তে সাহায্যও করছিলেন সাগর। বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ নথিও ইডির তদন্তকারীদের দিয়েছিলেন তিনি। পরবর্তী কালে আরও বেশ কিছু নথি ইডি-কে দেবেন বলে তিনি প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। ইডির তদন্তকারীদের মতে, কার্যত রাজসাক্ষী হয়ে উঠছিলেন সাগর। এর মধ্যেই তাঁর এমন অস্বাভাবিক মৃত্যু ঘিরে রহস্য দানা বেঁধেছে।
আরও পড়ুন: আরব সাগরে ডেস্ট্রয়ার থেকে লক্ষ্যবস্তুকে নিখুঁত আঘাত ব্রহ্মসের
ইয়েস ব্যাঙ্ক কেলেঙ্কারির তদন্তে নামার পরেই ইডির আতসকাচের নীচে আসে কক্স অ্যান্ড কিংস। তদন্তকারীরা জানতে পেরেছেন, সংস্থার একাধিক শাখার নামে অন্তত ৩ হাজার ৬৪২ কোটি ঋণ বকেয়া রয়েছে ইয়েস ব্যাঙ্কের কাছে। তার মধ্যে রয়েছে কক্স অ্যান্ড কিংস লিমিটেড (ইন্ডিয়া)- এর নামে ৫৬৩ কোটি, ইজিগো ওয়ান ট্র্যাভেল অ্যান্ড ট্যুরস লিমিটেড (ইন্ডিয়া)-র নামে ১ হাজার ১২ কোটি, কক্স অ্যান্ড কিংস ফাইনান্সিয়াল সার্ভিসেস এর নামে ৪২২ কোটি, প্রোমেথিয়ন এন্টারপ্রাইজ লিমিটেড (ব্রিটেন)-এর নামে ১ হাজার ১৫২ কোটি এবং মালভার্ন ট্র্যাভেল লিমিটেড (ব্রিটেন)-এর নামে ৪৯৩ কোটি টাকা। তদন্তে ইডি জানতে পেরেছে, কাল্পনিক গ্রাহক বা সংস্থার নামে ইয়েস ব্যাঙ্ক থেকে নেওয়া ঋণ অন্যত্র সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। সেই কক্স অ্যান্ড কিংসের ম্যানেজারের এমন অস্বাভাবিক মৃত্যুতে তদন্ত কিছুটা হলেও ধাক্কা খাবে বলেই মনে করছে সংশ্লিষ্ট মহল।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy