প্রতীকী ছবি।
স্বামী মরণাপন্ন। তাই স্ত্রী চেয়েছিলেন স্বামীর শুক্রাণু সংগ্রহ করা হোক কৃত্রিম উপায়ে। কিন্তু তাতে রাজি হননি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। শেষমেশ আদালতের দ্বারস্থ হন মহিলা। মঙ্গলবারই আদালত মহিলার আবেদনে অনুমোদন দেয়। সেই অনুমতি পেয়ে মহিলার স্বামীর শুক্রাণু সংগ্রহ করা হয়। বৃহস্পতিবার মৃত্যু হল সেই ব্যক্তির। গুজরাতের বডোদরার ঘটনা।
৩২ বছরের এক ব্যক্তি করোনায় আক্রান্ত হন। তাঁর শারীরিক অবস্থার ক্রমে অবনতি হওয়ায় লাইফ সাপোর্টে রাখা হয়। স্বামীর মুমূর্ষু অবস্থা দেখে তাঁর শুক্রাণু সংগ্রহ করে রাখার পরিকল্পনা করেন মহিলা। স্বামীর মৃত্যুর পর তাঁর ঔরসে কৃত্রিম উপায়ে সন্তানধারণ করতে চেয়েছিলেন তিনি। কিন্তু মহিলার স্বামী এই প্রক্রিয়ায় সম্মতি দেওয়ার মতো অবস্থায় ছিলেন না। ফলে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ শুক্রাণু সংগ্রহে রাজি হননি।
এর পরই মহিলা মঙ্গলবার গুজরাত হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন। বিষয়টি জানিয়ে একটি হলফনামা দাখিল করেন। বিচারপতি আশুতোষ জে শাস্ত্রী জরুরি ভিত্তিতে সেই মামলার শুনানি করেন। আদালত হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে দ্রুত শুক্রাণু সংগ্রহের প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার নির্দেশ দেয়।
আদালতের নির্দেশ পেয়েই মঙ্গলবারই শুক্রাণু সংগ্রহ করেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। হাসপাতালের শীর্ষ আধিকারিক অনিল নাম্বিয়ার বুধবার সাংবাদিকদের জানান, চিকিৎসকরা মঙ্গলবার রাতেই ওই ব্যক্তির শুক্রাণু সংগ্রহ করেন। তিনি আরও জানান, রোগীর পরিবার এই প্রক্রিয়ায় রাজি থাকলেও যাঁর শুক্রাণু সংগ্রহ করা হবে তাঁর সম্মতি নেওয়া প্রয়োজন ছিল। কিন্তু এ ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি সম্মতি দেওয়ার মতো অবস্থায় ছিলেন না। ফলে প্রক্রিয়া সম্ভব হয়নি। আদালতের সম্মতি পাওয়ার পর তা করা হয়।
কিন্তু বৃহস্পতিবারই ওই ব্যক্তির মৃত্যু হয়। এখন আইভিএফ প্রক্রিয়ায় আদালত সম্মতি দিলে তবেই তা এগিয়ে নিয়ে যাওয়া হবে বলে জানিয়েছেন নাম্বিয়ার।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy