প্রতীকী ছবি।
উদ্বেগের নতুন নাম ওমিক্রন। দক্ষিণ আফ্রিকায় প্রথম খুঁজে পাওয়া করোনাভাইরাসের নতুন রূপটি সম্পর্কে এখনও অনেক কিছু জানা বাকি। যে-টুকু জানা গিয়েছে তাতে স্পষ্ট, উপসর্গ তেমন মারাত্মক না-হলেও ওমিক্রন অতি-সংক্রামক। এই পরিস্থিতিতে বুস্টার টিকার উপর ভরসা রেখেই ওমিক্রনের মোকাবিলা করতে চাইছে কেন্দ্র।
ন্যাশনাল হেলথ অথরিটির চিফ এগ্জিকিউটিভ অফিসার তথা কেন্দ্রীয় সরকারের ‘কোউইন’ অ্যাপ্লিকেশন বা পোর্টালের প্রধান আর এস শর্মা সোমবার জানিয়েছেন, যাঁরা দু’টি টিকা নিয়েছেন তাঁদের তৃতীয় বুস্টার টিকা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। দ্বিতীয় টিকা নেওয়ার ন’মাস পর বুস্টার টিকা দেওয়া হবে বলে সংবাদ সংস্থা এএনআই-কে জানিয়েছেন তিনি।
শর্মার দাবি, কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের অধীনস্থ সংস্থা ‘ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অব মেডিক্যাল রিসার্চ’ (আইসিএমআর)-এর পরামর্শ মেনেই এই পদক্ষেপের সিদ্ধান্ত। তিনি বলেন, ‘‘আইসিএমআর এবং ফরিদাবাদের ‘ট্রান্সলেশনাল হেল্থ সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি ইনস্টিটিউট’ (টিএইচএসটিআই) তরফে করা পাঁচটি পৃথক গবেষণার ফলাফলের ভিত্তিতে এই পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।’’ ওমিক্রনের পাশাপাশি, করোনাভাইরাসের ডেল্টা রূপ প্রতিরোধের ক্ষেত্রেও কার্যকর হতে পারে বুস্টার টিকা।
প্রাথমিক ভাবে, বুস্টার ডোজের জন্য ৬০ বছরের বেশি বয়সি এবং কোমর্বিডিটি যুক্ত ব্যক্তিদের বেছে নেওয়া হবে বলে ইঙ্গিত দিয়েছেন শর্মা। তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে গত মাসে আইসিএমআর-এর প্রধান চিকিৎসক বলরাম ভার্গব জানিয়েছিলেন, প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে এবং পুনরায় কোভিড সংক্রমণ ঠেকাতে বুস্টার টিকার কোনও প্রয়োজন নেই। এই টিকা নিতেই হবে এর কোনও বৈজ্ঞানিক প্রমাণও নেই বলে দাবি করেছিলেন তিনি।
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক সূত্রের খবর, কেন্দ্রের টিকা সংক্রান্ত বিশেষজ্ঞ কমিটি ন্যাশনাল টেকনিক্যাল অ্যাডভাইজরি গ্রুপ অন ইমিউনাইজেশন (এনটিএজিআই)-এর তরফেও বুস্টার নিয়ে ইতিবাচক বার্তা দেওয়া হয়েছে। প্রসঙ্গত, কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের তথ্য অনুযায়ী সোমবার দেশের ওমিক্রম আক্রান্তের সংখ্যা ৫৭৮। সামগ্রিক ভাবে নতুন করে কোভিড-১৯ আক্রান্তের সংখ্যা ৬,৫৩১। আক্রান্তদের সুস্থ হয়ে ওঠার হার ৯৮ শতাংশেরও বেশি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy