প্রতীকী ছবি।
ট্রেন আসছে চেন্নাই থেকে। প্ল্যাটফর্মে তা ঢোকার আগেই দুদ্দাড় ছুটে স্টেশন ছেড়ে পালালেন সব যাত্রী ও জনতা। রেলই দায়িত্ব নিয়ে খালি করে দিল গোটা স্টেশন। চেন্নাই এক্সপ্রেসও দাঁড় করিয়ে দেওয়া হল প্ল্যাটফর্মে ঢোকার আগেই। বোমাতঙ্কে এমনটা হতে দেখা গিয়েছে অতীতে। অসমের যোরহাট জেলায় মরিয়নি-তে আজ অনুরূপ পরিস্থিতি তৈরি হল করোনা-আতঙ্কে!
উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলের মুখপাত্র শুভানন চন্দ পরে জানান, চেন্নাই এক্সপ্রেসের চার যাত্রীর কোভিড-১৯-এর মতো উপসর্গ দেখেছেন বলে এক যাত্রী ফোনে অভিযোগ করেছিলেন। সেই থেকেই আতঙ্ক ছড়ায়। রেল কোনও ঝুঁকি নেয়নি। স্টেশন ফাঁকা করে গোটা ট্রেনের যাত্রীদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা হয়। দুই ব্যক্তির সর্দি-কাশি থাকলেও তা করোনার মতো ছিল না। রেলের ডাক্তারেরা ছাড়পত্র দেওয়ার পরে ফের ট্রেন ছাড়ে। বেলা একটায় শুরু হওয়া আতঙ্ক ও ভোগান্তির পর্ব শেষ হয় দুপুর দু’টো ৩৭ মিনিটে।
উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলের তরফে জানানো হয়েছে, প্রতি যাত্রার শেষে গোটা ট্রেন ডিপোয় নিয়ে গিয়ে জীবাণুমুক্ত করা হচ্ছে। যাত্রার সময়েও নিয়ম করে দরজার হাতল, বার্থের হাতল, কল, শৌচালয়ের দরজার হাতল জীবাণুমুক্ত করা হচ্ছে। পর্দা ও কম্বল দেওয়া বন্ধ করা হয়েছে। কোনও যাত্রী চাইলে তবেই কম্বল দেওয়া হচ্ছে।
কেরল থেকে সম্প্রতি অসমের বিশ্বনাথ জেলার বিশ্বনাথ চারিয়ালিতে ফেরা এক ব্যক্তি নোভেল করোনাভাইরাসে সংক্রমিত হয়েছে সন্দেহে আজ তাঁকে তেজপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। কেরল থেকে আসা এক যুবক গুয়াহাটি স্টেশনে স্বাস্থ্য পরীক্ষার সময় পালিয়ে যান। তাঁর সন্ধানে নামে পুলিশ। নগাঁওয়ের রহা থেকে তাঁকে ধরে গুয়াহাটি মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। প্রাথমিক ভাবে জানা গিয়েছে, ওই যুবকের দেহে কোভিড-১৯-এর উপসর্গ দেখা গিয়েছে।
গুয়াহাটির বশিষ্ঠ এলাকার এক ব্যক্তি ইটালি, জার্মানি, ফ্রান্স ঘুরে গত ৬ মার্চ গুয়াহাটিতে ফিরেছিলেন। সর্দি, জ্বর, আমাশা-সহ তাঁকেও হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। কেরল থেকে মরিগাঁওয়ে ফেরা এক ব্যক্তির শরীরে উপসর্গ থাকায় তাঁকে গ্রামে ঢুকতে দেওয়া হচ্ছিল না। স্থানীয় বিধায়ক তথা স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী পীযুষ হাজরিকা উদ্যোগ নিয়ে রক্ত-পরীক্ষার জন্য তাঁকে গুয়াহাটি মেডিক্যাল কলেজে পাঠান।
গত কাল সন্ধ্যায় সুইৎজ়াল্যান্ডের এক দম্পতি ধুবুড়ি আসেন। তাঁদের দেখে সাধারণ মানুষের মধ্যে আতঙ্ক ছড়ায়। খবর যায় পুলিশে। পুলিশ তাঁদের হাসপাতালে নিয়ে যায়। পরীক্ষায় দেখা যায় তাঁরা সুস্থ। এর পরে তাঁদের যেতে দেয় পুলিশ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy