Advertisement
২৪ নভেম্বর ২০২৪
Coronavirus

কোভিড দেখিয়ে দিল সমানাধিকার বহু দূরের স্বপ্ন, মন্তব্য বম্বে হাইকোর্টের

প্রতিদিন দেশে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েই চলেছে। একা মহারাষ্ট্রেই আক্রান্তের সংখ্যা ১ লক্ষ ছাড়িয়েছে।

ছবি: পিটিআই।

ছবি: পিটিআই।

সংবাদ সংস্থা
মুম্বই শেষ আপডেট: ১৩ জুন ২০২০ ১৪:২৬
Share: Save:

দেশের সংবিধানে সমানাধিকারের কথা বলা হয়েছে কিন্তু তা যে বহু দূরের স্বপ্ন, চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিল করোনা। মহামারি পরিস্থিতি নিয়ে জনস্বার্থ মামলার শুনানি চলাকালীন এমনই মন্তব্য করল বম্বে হাইকোর্ট। আদালত জানায়, করোনা সঙ্কট এবং লকডাউন দেশের অর্থব্যবস্থার মূলে আঘাত হেনেছে। দেশে পরিযায়ী শ্রমিকরা কী করুণ অবস্থায় রয়েছেন, তা সকলের সামনে তুলে ধরেছে। এই পরিস্থিতিতে অদূর ভবিষ্যতে নিরপেক্ষ সমাজ ব্যবস্থার কথা ভাবাই যায় না।

প্রতিদিন দেশে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েই চলেছে। একা মহারাষ্ট্রেই আক্রান্তের সংখ্যা ১ লক্ষ ছাড়িয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে রাজ্যে যে সমস্ত মানুষ নোভেল করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন, আক্রান্ত না হয়েও কষ্টে দিন কাটাচ্ছেন যাঁরা এবং সামনে থেকে করোনার সঙ্গে যুদ্ধ করছেন যাঁরা, তাঁদের জন্য প্রয়োজনীয় ত্রাণ চেয়ে আদালতে বেশ কিছু জনস্বার্থ মামলা জমা পড়ে। তাতে সকলের জন্য যথেষ্ট ডাক্তারি পরীক্ষা, পিপিই সরঞ্জাম, অস্থায়ী ক্লিনিক, চিকিৎসা সরঞ্জাম এবং কোভিড সংক্রান্ত হেল্পলাইন চালু করার আর্জি জানানো হয়।

সেই জনস্বার্থ মামলাগুলির শুনানি চলাকালীনই মহারাষ্ট্র সরকারকে তীব্র ভর্ৎসনা করে হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি দীপঙ্কর দত্ত এবং বিচারপতি এএ সৈয়দের ডিভিশন বেঞ্চ। আদালত বলে, ‘‘সংবিধানে সমানাধিকারের কথা বলা হলেও, তা যে বহু দূরের স্বপ্ন, এই মহামারি পরিস্থিতি তা চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিল। এই মহামারি এবং লকডাউন দেশের অর্থনীতির ভিতটাকেই নড়বড়ে করে দিয়েছে। দেশে পরিযায়ী শ্রমিকরা কী করুণ অবস্থায় রয়েছেন, তা সকলের সামনে তুলে ধরেছে। এমন পরিস্থিতিতে অদূর ভবিষ্যতেও নিরপেক্ষ সমাজ ব্যবস্থার কথা ভাবা যায় না।’’

আরও পড়ুন: ৩ লাখ ছাড়াল মোট আক্রান্তের সংখ্যা, একা মহারাষ্ট্রেই লক্ষাধিক​

আরও পড়ুন: মৃতের অমর্যাদায় ক্ষুব্ধ সুপ্রিম কোর্ট, বাংলা-সহ ৫ রাজ্যকে নোটিস​

এই পরিস্থিতি থেকে শিক্ষা নিয়ে স্বাস্থ্যব্যবস্থাকে মজবুত করাই প্রধান লক্ষ্য হওয়া উচিত বলে মন্তব্য করে হাইকোর্ট। সেই সঙ্গে মহারাষ্ট্র সরকারকে স্বাস্থ্য খাতে বরাদ্দ এবং খরচের পরিমাণ বাড়ানোর নির্দেশ দেওয়া হয়। বলা হয়, করোনা পরিস্থিতি সামাল দিতে হলে সমাজের সব স্তরের মানুষের মধ্যে ডাক্তারি পরীক্ষার হার বাড়াতে হবে। হাসপাতালে যথেষ্ট সংখ্যক বেড রয়েছে কি না, কোভিড আক্রান্ত এবং অন্যান্য রোগীদের জন্য যথেষ্ট সংখ্যক চিকিৎক রয়েছেন কি না, সাধারণ মানুষের কাছে যাতে সব তথ্য পৌঁছয়, তা নিশ্চিত করতে হবে রাজ্য সরকারকে। রোগী ভর্তি না নেওয়ার জন্য বেড না থাকার অজুহাত দেওয়া চলবে না বলেও সাফ জানিয়ে দেয় আদালত।

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy