প্রতীকী ছবি।
ক্রমাগত জিন-বিন্যাস বদলের ফলে সংক্রমণ ক্ষমতাও বেড়েছে করোনাভাইরাসের কয়েকটি নয়া প্রজাতির। ভবিষ্যতে ভারত-সহ বিভিন্ন দেশে আরও সংক্রামক রূপের সন্ধান মেলার সম্ভাবনা রয়েছে বলে মনে করছেন ভাইরাস বিশেষজ্ঞদের একাংশ।
দক্ষিণ আফ্রিকা, বৎসোয়ানা এবং হংকংয়ে পাওয়া বি.১.১৫২৯ রূপটির আবির্ভাব হয়েছে প্রায় ৫০ বার জিনের বিন্যাস বদলে। এর মধ্যে ৩২ বার বদলেছে স্পাইক প্রোটিনের চরিত্র। যা দেখে ভাইরাস বিশেষজ্ঞদের একাংশের ধারণা, ভবিষ্যতে স্পাইক প্রোটিনের বিন্যাস বদলের আরও ‘রেকর্ড’ তৈরি হতে পারে। সেই সঙ্গে আরও বিপজ্জনক হয়ে উঠতে পারে করোনাভাইরাস।
সদ্য পাওয়া বি.১.১৫২৯ রূপটি স্পাইক প্রোটিনের বার বার বদলে মানবদেহে অনুপ্রবেশে আরও দক্ষ হয়ে উঠেছে বলেই মনে করছেন তাঁরা। ভাইরাস বিজ্ঞানী তুলিও দে অলিভিয়েরা বলেছেন, ‘‘নয়া রূপটি (বি.১.১৫২৯) জিনের পরিব্যক্তির নয়া নজির তৈরি করেছে।’’ তবে জিনগত চরিত্র বদলের ধারা এখানেই থেমে থাকবে না বলে মনে করেন তিনি।
ভারতে সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউয়ের জন্য বি.১.৬১৭ রূপটির সন্ধান পাওয়া গিয়েছিল, ২০২০-র অক্টোবরে। পরে তা দ্রুত বিভিন্ন দেশে ছড়িয়ে পড়ে। ২ দফার জিনগত চরিত্র বদলের কারণে বি.১.৬১৭ রূপটিকে ‘দ্বি-পরিব্যক্ত’ (ডাবল মিউট্যান্ট) হিসেবে চিহ্নিত করেছিল ‘হু’। যার সংক্রমণ ক্ষমতা ছিল করোনাভাইরাসের রূপগুলির মধ্যে বেশি।
এর পরে ৩ দফায় জিনের গঠন বদলানো (ট্রিপল মিউট্যান্ট) করোনাভাইরাস বি.১.৬১৮-র সন্ধান পাওয়া গিয়েছিল ভারতে। প্রসঙ্গত, ২০২০-র গোড়ায় করোনাভাইরাসের প্রথম পরিব্যক্ত প্রজাতি বি.১-এর খোঁজ মিলেছিল। তার পর দফায় দফায় এর চরিত্র বদলেছে। যার সাম্প্রতিক রূপ বি.১.১৫২৯।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy