Advertisement
১৬ জানুয়ারি ২০২৫
Coronavirus

দিল্লিতে সংক্রমণ বাড়ছে, ভোগান্তিও

দিল্লির উপ-মুখ্যমন্ত্রী মনীশ সিসৌদিয়া জানিয়েছেন, ৩১ জুলাইয়ের মধ্যে দেশের রাজধানী দিল্লিতে করোনা-আক্রান্তের সংখ্যা ৫.৫ লক্ষে পৌঁছে যাবে।

প্রতীকী ছবি।

প্রতীকী ছবি।

নিজস্ব সংবাদদাতা
শেষ আপডেট: ১০ জুন ২০২০ ০৩:৪২
Share: Save:

কংগ্রেস নেতা, প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী মণীশ তিওয়ারির স্ত্রীকে ডাক্তারেরা করোনা পরীক্ষা করানোর পরামর্শ দিয়েছিলেন। সেই পরীক্ষার ফল নেগেটিভ হলেও স্ত্রীর করোনা পরীক্ষা করানোর জন্য তাঁকে এ দরজা, সে দরজায় ঘুরতে হয়েছিল বলে অভিযোগ করেছেন মণীশ।

সাংবাদিক অজয় ঝা এক ভিডিয়ো বার্তায় জানিয়েছেন, তাঁর স্ত্রী, দুই মেয়ে করোনা পজ়িটিভ। গত এক সপ্তাহে তাঁর বাড়িতেই করোনা-আক্রান্ত শ্বশুর-শাশুড়ির মৃত্যু হয়েছে। কিন্তু মৃতদেহ সৎকারের জন্য নিয়ে যেতেই কাঠখড় পোড়াতে হয়েছে। অ্যাম্বুল্যান্স ডাকা হলেও মৃতদেহ না-নিয়েই ফিরে গিয়েছে তারা।

অর্থ মন্ত্রকের এক মহিলা আধিকারিক ও তাঁর স্বামী, দু’জনেই করোনা পজ়িটিভ। তিনি জানিয়েছেন, দু’জনেই কেন্দ্রীয় সরকারের উচ্চপদস্থ আধিকারিক হওয়া সত্ত্বেও স্বামীকে ভর্তি করাতে তিনটি বেসরকারি হাসপাতাল ঘুরেও জায়গা মেলেনি। শেষে একটি সরকারি হাসপাতালে বেড মিলেছে। বেড না-থাকায় করোনা পরীক্ষাতেও রাজি হয়নি বেসরকারি হাসপাতালগুলি।

আজ দিল্লির উপ-মুখ্যমন্ত্রী মনীশ সিসৌদিয়া জানিয়েছেন, ৩১ জুলাইয়ের মধ্যে দেশের রাজধানী দিল্লিতে করোনা-আক্রান্তের সংখ্যা ৫.৫ লক্ষে পৌঁছে যাবে। এখন দিল্লিতে করোনা-আক্রান্তের সংখ্যা প্রায় ৩০ হাজার। জুনের শেষে তা ১ লক্ষে পৌঁছে যাবে।

তা হলে কি গোষ্ঠী সংক্রমণ শুরু হয়ে গিয়েছে? আজ দিল্লির পরিস্থিতি নিয়ে রাজ্যের ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট অথরিটির বৈঠকের পরে সিসৌদিয়া বলেন, “বৈঠকে কেন্দ্রীয় সরকারের আধিকারিকরাও হাজির ছিলেন। তাঁদের দাবি, গোষ্ঠী সংক্রমণ শুরু হয়নি। তাই এ নিয়ে আলোচনার দরকার নেই।”

কিন্তু দিল্লির স্বাস্থ্যমন্ত্রী সত্যেন্দ্র জৈনের যুক্তি, “করোনা অতিমারির চারটি ধাপের মধ্যে তৃতীয় ধাপ হল গোষ্ঠী সংক্রমণ। কোনও ব্যক্তি যখন জানতেই পারবেন না, তিনি কী ভাবে সংক্রমিত হলেন। এমন অনেক ঘটনা আসছে। অর্ধেক ঘটনাতেই মানুষ জানেন না, তাঁরা কী ভাবে সংক্রমিত হলেন। কিন্তু আমরা গোষ্ঠী সংক্রমণ ঘোষণা করতে পারি না। এটা কেন্দ্রীয় সরকারের অধিকারের মধ্যে পড়ে।”

দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরীবালের করোনার লক্ষণ দেখা গিয়েছিল। তবে পরীক্ষায় ফল নেগেটিভ মিলেছে। দিল্লির রাজ্য সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে শুধু মাত্র দিল্লির মানুষই ভর্তি হতে পারবেন বলে কেজরীবাল সরকারের নির্দেশিকা উপ-রাজ্যপাল অনিল বৈজল খারিজ করে দিয়েছেন। আজ সিসৌদিয়া যুক্তি দিয়েছেন, জুলাইয়ের শেষে দিল্লিতে করোনা-আক্রান্তের সংখ্যা ৫.৫ লক্ষে পৌঁছবে এবং হাসপাতালের ৮০ হাজার বেড প্রয়োজন হবে বলেই তাঁদের এই সিদ্ধান্ত নিতে হয়েছিল। কিন্তু উপ-রাজ্যপাল তা মানতে চাননি।

অন্য বিষয়গুলি:

Coronavirus Delhi
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy