প্রশান্ত কিশোরের পোস্ট করা ভিডিয়ো থেকে নেওয়া ছবি।
তালাবন্দি পরিযায়ী শ্রমিকরা। হাত জোর করে সংবাদমাধ্যমের কাছে আর্জি জানাচ্ছেন মুক্তির জন্য। এমনই একটি ভিডিয়ো পোস্ট করে নীতীশ কুমার সরকারকে এক হাত নিলেন ভোটকুশলী প্রশান্ত কিশোর। তাঁর অভিযোগ, ওই শ্রমিকদের ঘরে ফিরতে দেওয়া হচ্ছে না। ‘ভয়ঙ্কর ছবি’ বলেও মন্তব্য করেছেন প্রশান্ত।
ভিডিয়োতে দেখা যাচ্ছে একটি ঘরের মধ্যে গ্রিলের দরজায় তালা লাগানো অবস্থায় আটকে রাখা হয়েছে অনেক মানুষকে। মুখে রুমাল বাঁধা এক ব্যক্তি কাঁদতে কাঁদতে বলছেন, ‘‘সকাল থেকে বলা হচ্ছে, আমাদের ছেড়ে দেওয়া হবে। বাসের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। কিন্তু যেতে দিচ্ছে না।’’ কেউ বলছেন, ‘‘আমরা কিচ্ছু চাই না, শুধু এখান থেকে যেতে দিন।’’ অনেকে আবার পুলিশ-প্রশাসনের দেওয়া পাসও দেখাচ্ছেন গ্রিলের ভিতর থেকেই। ওই ভিডিয়োটি বিহার-উত্তরপ্রদেশ সীমানার সিওয়ান এলাকার।
এই ভিডিয়ো পোস্ট করেই প্রশান্ত কিশোর লিখেছেন, ‘‘করোনাভাইরাসের সংক্রমণ থেকে সাধারণ মানুষকে রক্ষা করতে পুলিশ-প্রশাসনের ভয়ঙ্কর ছবি। অনেক বাধা-বিপত্তি পেরিয়ে বিভিন্ন রাজ্য থেকে আসার পরেও দরিদ্র পরিযায়ী শ্রমিকরা করুণ পরিস্থিতির মুখোমুখি। সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে বা কোয়রান্টিন করতে এই হল নীতীশ কুমার সরকারের বন্দোবস্ত।’’
.#Corona संक्रमण से लोगों को बचाने के सरकारी प्रयासों की एक और भयावह तस्वीर -
— Prashant Kishor (@PrashantKishor) March 29, 2020
भारी तकलीफ़ और मुसीबतों को झेलकर देश के कई हिस्सों से बिहार पहुँचने वाले गरीब लोगों के लिए #NitishKumar की #SocialDistancing और #Quarantine की ये व्यवस्था दिल दहलाने वाली है।#NitishMustQuit pic.twitter.com/ot3hygGRk7
আরও পড়ুন: ‘পারলে আমাকে নিয়ে যাও’, শেষ ফোনে বলেছিল হেঁটে বাড়ি ফিরতে চাওয়া রণবীর
স্থানীয় পুলিশ-প্রশাসনের বক্তব্য, কিছু সরকারি প্রক্রিয়া ছাড়া ওই পরিযায়ী শ্রমিকদের ছাড়া সম্ভব নয়। সিওয়ানের পুলিশ সুপার অভিনব কুমার বলেন, ‘‘ওঁদের নিজের নিজের এলাকায় পৌঁছনোর জন্য ছাড়ার আগে নাম-ঠিকানা নথিবদ্ধ করা, মেডিক্যাল স্ক্রিনিং, খাবার দেওয়ার মতো প্রক্রিয়া সারতে হবে। সেটা বেশ কিছুটা সময় সাপেক্ষ। আমরা বুঝতে পারছি, সবাই বাড়ি ফেরার জন্য উদগ্রীব।’’
এ বছরের জানুয়ারিতেই জনতা দল থেকে প্রশান্ত কিশোরকে বহিষ্কার করেছেন নীতীশ কুমার। তার পর থেকেই লাগাতার বিহারের মুখ্যমন্ত্রীকে নিশানা করে চলেছেন প্রশান্ত। করোনাভাইরাস নিয়েও নীতীশকে আক্রমণের পথেই হাঁটলেন পিকে।
আরও পড়ুন: করোনা সাহায্যে হাত গুটিয়ে এঁরা অনেকে, দিলেনও অবশ্য অনেকেই
অন্য দিকে বিহারের মন্ত্রী সঞ্জয় ঝা লাখ লাখ পরিযায়ী শ্রমিকদের বিহারে ফিরে আসা নিয়ে বলেছিলেন, ‘বিস্ফোরক’ পরিস্থিতি। ভিন রাজ্য থেকে যাঁরা ঘরে ফিরেছিলেন, তাঁদের বাধ্যতামূলক ১৪ দিনের কোয়রান্টিনের নির্দেশও দিয়েছিলেন সঞ্জয়।
অভূতপূর্ব পরিস্থিতি। স্বভাবতই আপনি নানান ঘটনার সাক্ষী। শেয়ার করুন আমাদের। ঘটনার বিবরণ, ছবি, ভিডিয়ো আমাদের ইমেলে পাঠিয়ে দিন, feedback@abpdigital.in ঠিকানায়। কোন এলাকা, কোন দিন, কোন সময়ের ঘটনা তা জানাতে ভুলবেন না। আপনার নাম এবং ফোন নম্বর অবশ্যই দেবেন। আপনার পাঠানো খবরটি বিবেচিত হলে তা প্রকাশ করা হবে আমাদের ওয়েবসাইটে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy