কর্মচারীর যৌনাঙ্গে স্যানিটাইজার স্প্রে করার অভিযোগ উঠেছে এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে। গ্রাফিক: তিয়াসা দাস।
অফিসের কাজে গত মার্চে দিল্লিতে যেতে হয়েছিল। তবে লকডাউনের ফলে সেখানেই আটকে পড়েন পুণের এক যুবক। মাস দেড়েক পর সেখান থেকে ফিরলেও অফিসের দেওয়া সমস্ত টাকাপয়সাই ফুরিয়ে গিয়েছিল তাঁর। সেই টাকা ফেরত না পেয়ে দলবল নিয়ে ওই যুবককে অপহরণ করলেন তাঁর মালিক। শুধু তা-ই নয়, ওই যুবকের যৌনাঙ্গে স্যানিটাইজার স্প্রে করারও অভিযোগ উঠেছে ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে। ঘটনায় পর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ওই যুবক পুলিশের দ্বারস্থ হয়েছেন। তবে এখনও পর্যন্ত অভিযুক্তদের গ্রেফতার করেনি পুলিশ।
মহারাষ্ট্র পুলিশ জানিয়েছে, গোটা ঘটনাটা ঘটেছে গত জুনের ১৩ ও ১৪ তারিখে পুণের কোথরুড এলাকায় একটি অফিসে। তবে পুণের পাউড থানায় ওই ঘটনার প্রেক্ষিতে এফআইআর দায়ের করা হয়েছে গত বৃহস্পতিবার, ২ জুলাই। ঘটনার পর তদন্তে নেমেছে পুলিশ।
পাউড থানার এক আধিকারিক জানিয়েছেন, বছর তিরিশের ওই যুবক কোথরুডে এক সংস্থায় ম্যানেজার হিসাবে কাজ করতেন। ওই সংস্থাটি বিভিন্ন শিল্পীদের চিত্র প্রদর্শনী আয়োজনের কাজ করে।
আরও পড়ুন: টেন-টুয়েলভের না হওয়া পরীক্ষার নম্বর কী ভাবে দেওয়া হচ্ছে
পুলিশের কাছে বয়ানে ওই যুবক জানিয়েছেন, মার্চে অফিসের কাজ নিয়ে দিল্লিতে গিয়েছিলেন। সেখানে একটি লজে ভাড়া থাকতেন। তবে আচমকাই লকডাউন ঘোষণা হওয়ায় ওই লজেই আটকে পড়েন। লকডাউনের সময় অফিসের দেওয়া টাকাও খরচ হয়ে যায়। এর পর কোনও রকমে ৭ মে পুণেতে ফিরে আসেন তিনি। এফআইআরে ওই যুবকের দাবি, শহরে ফিরে আসামাত্রই তাঁর সংস্থার মালিক একটি হোটেলে ১৭ দিনের জন্য কোয়রান্টিনে থাকতে বলেন। সেই মতো একটি হোটেলে গিয়ে ওঠেন ওই যুবক। তবে সঙ্গে টাকাপয়সা না থাকায় নিজের মোবাইল ও ডেবিট কার্ড বন্ধক রেখেই হোটেলেরও বিল মেটাতে হয় তাঁকে। এর পর জুন মাসে ওই সংস্থার মালিক তাঁর কাছ থেকে অফিসের টাকা ফেরত দেওয়ার জন্য জোর করতে থাকেন। তবে তা ফেরত না দেওয়ায় ১৩ জুন দলবল নিয়ে তাঁর উপর চড়াও হয় অভিযুক্তরা। অভিযোগ, একটি গাড়িতে চাপিয়ে কোথরুড সংস্থার অফিসে নিয়ে যাওয়া হয় ওই যুবককে। এর পর সেখানেই তাঁকে আটকে রাখা হয়। পুলিশের কাছে ওই যুবকের দাবি, অফিসে দুই ব্যক্তির সঙ্গে মিলে তাঁকে মারধোরও করেন তাঁর মালিক। সেই সঙ্গে তাঁর যৌনাঙ্গে স্যানিটাইজার স্প্রে করা হয়। ঘটনার পর ওই যুবককে ছেড়ে দেন তাঁরা।
আরও পড়ুন: কোভিড রোগী ১ লক্ষ ছাড়ালেও আতঙ্কিত না হতে দিল্লিবাসীকে পরামর্শ কেজরীর
পুলিশ আধিকারিকেরা জানিয়েছেন, ঘটনার পর নিজেই একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি হন ওই যুবক। সেই সঙ্গে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে এফআইআরও দায়ের করেছেন তিনি। তবে এই অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করলেও এখনও পর্যন্ত অভিযুক্তদের গ্রেফতার করেনি পুলিশ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy