প্রতীকী ছবি।
সারা দেশে লকডাউনের মধ্যেও বহু মানুষ রাস্তায় বেরোচ্ছেন প্রতিদিন। আবার লকডাউনের জেরে সমস্যায় পড়তে হচ্ছে বলে সরকারের বিরুদ্ধে সরব অনেকেই। কিন্তু করোনাভাইরাসের মোকাবিলায় দেশে লকডাউন যে কতটা জরুরি এবং ভারত যে সঠিক পথেই এগিয়েছে, আরও এক বার বুঝিয়ে দিল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু)। আমেরিকা, ইটালির উদাহরণ তুলে ধরে ভারতের লকডাউনের সিদ্ধান্তকে দরাজ সার্টিফিকেট দিয়ে হু-এর বিশেষ কোভিড ১৯ দূত ডেভিড নাবারো বলেছেন, ‘‘ভারত বহুবার নজির সৃষ্টি করেছে। এ ক্ষেত্রেও দ্রুত পদক্ষেপ করা হয়েছে।’’ চিনের বিরুদ্ধে তথ্য গোপনের অভিযোগ নিয়ে তাঁর বক্তব্য, ‘এখন দোষারোপের সময় নয়’।
যত দ্রুত লকডাউন, তত দ্রুত মুক্তি— করোনাভাইরাসের মোকাবিলায় বার বার এই বার্তা দিয়েছে হু। কিন্তু অনেক দেশই সে কথা কার্যত কানে তোলেনি। যখন পরিস্থিতি ভয়াবহ আকার নিয়েছে, তখন ঘোষণা হয়েছে লকডাউন। কিন্তু তখন পরিস্থিতি চলে গিয়েছে হাতের বাইরে। চোখের সামনে উদাহরণ ইটালি, আমেরিকা। সেই নজির তুলে ধরেই ডেভিড নাবারো একটি সর্বভারতীয় সংবাদ মাধ্যমকে বলেছেন, ‘‘এটা একটা রোগ যাতে যত দ্রুত পদক্ষেপ করব, তত তাড়াতাড়ি সংক্রমণ মুক্ত হব।’’
ভারতের লকডাউন নিয়ে নাবারো বলেছেন, ‘‘ভারত বহু ক্ষেত্রে নজির সৃষ্টি করে নেতৃত্ব দিয়েছে। তথ্য ও বার্তা পৌঁছে গিয়েছে পঞ্চায়েত স্তরে, যেটা অত্যন্ত কার্যকর। আমি এমন বিজ্ঞাপন দেখেছি, যেখানে অমিতাভ বচ্চন বলছেন, কি করা উচিত। ভারত খুব দ্রুত পদক্ষেপ করেছে।’’
কিন্তু করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রুখতে তিন সপ্তাহের লকডাউন কি যথেষ্ট? এই সময়সীমা কি আরও বাড়ানো উচিত। এই প্রশ্নে নাবারোর জবাব, ‘‘যে সব হটস্পট (করোনাভাইরাস সংক্রমণের) রয়েছে, সেগুলির তথ্য-পরিসংখ্যান বিশ্লেষণ করে সরকার ব্যবস্থা নিতে পারে। হটস্পটগুলিকে বাদ দিয়ে বাকি এলাকায় লকডাউন তুলে নিতে পারে। লকডাউনের সময় বাড়ালে দুর্গতি আরও বাড়বে ঠিকই, কিন্তু সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে রাখতে যেটা দরকার, সরকারের উচিত সেটাই করা।’’
চিনের হুবেই প্রদেশের উহান থেকে শুরু হয়েছিল করোনাভাইরাসের সংক্রমণ। সেখান থেকে ছড়িয়ে পড়েছে সারা দেশে। কিন্তু সেই চিনের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে, মৃত্যু ও আক্রান্তের সংখ্যার হিসেব চেপে দেওয়া হয়েছে সরকারি তথ্যে। হু সেই বিষয়টি নিয়ে চিনকে কেন চেপে ধরছে না, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে নানা মহলে। কিন্তু হু-এর দূতের বক্তব্য, এখন আঙুল তোলার সময় নয়।
নাবারোর কথায়, ‘‘ইতিহাস যখন লেখা হবে, তখন আমরা খতিয়ে দেখব, কত তারাতাড়ি এই অতিমারী নিয়ন্ত্রণে আনা গিয়েছে। সময় আসবে। তখন আমরা খতিয়ে দেখব, কী ভাবে এটা শুরু হল এবং সেই অনুযায়ী দায়বদ্ধতা নির্দিষ্ট করব। এটা সেই সময় নয়। সারা বিশ্বের অন্য নেতাদেরও আমি সেই কথাই বলব। এটা এমন একটা সময়, যখন আমাদের সবার কর্তব্য হল, অভিযোগ-দোষারোপের ঊর্ধ্বে উঠে এই অদৃশ্য শত্রুর বিরুদ্ধে লড়াই করতে হবে।
আরও পড়ুন: লকডাউনের পরের ছক তৈরি রাখুন, মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে বৈঠকে বার্তা প্রধানমন্ত্রীর
আরও পড়ুন: লকডাউনের মধ্যেই কাল ভিডিয়ো বার্তা প্রধানমন্ত্রীর, কী বলবেন, কৌতূহল তুঙ্গে
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy