Advertisement
E-Paper

এ বার আরোগ্য সেতু অ্যাপ বাধ্যতামূলক করল কেন্দ্র, কাদের জন্য জেনে নিন

করোনা আক্রান্তদের উপর নজরদারি চালাতে এ বছর এপ্রিলের শুরুতে আরোগ্য সেতু অ্যাপটি সামনে আনে কেন্দ্রীয় সরকার।

সরকারি-বেসরকারি কর্মী এবং কনটেনমেন্ট এলাকার মানুষের জন্য বাধ্যতামূলক আরোগ্য সেতু অ্যাপ। —ফাইল চিত্র।

সরকারি-বেসরকারি কর্মী এবং কনটেনমেন্ট এলাকার মানুষের জন্য বাধ্যতামূলক আরোগ্য সেতু অ্যাপ। —ফাইল চিত্র।

সংবাদ সংস্থা

শেষ আপডেট: ০২ মে ২০২০ ১৩:২৭
Share
Save

তৃতীয় দফায় লকডাউনের মেয়াদ বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গেই সরকারি ও বেসরকারি কর্মীদের জন্য আরোগ্য সেতু অ্যাপের ব্যবহার বাধ্যতামূলক করল কেন্দ্রীয় সরকার। সরকারি কর্মীদের জন্য যদিও আগেই এই অ্যাপ বাধ্যতামূলক করা হয়েছিল। এ বার বেসরকারি কর্মীদের জন্য তা বাধ্যতামূলক হল। সমস্ত কর্মী এই অ্যাপ ব্যবহার করছেন কি না, তা সংশ্লিষ্ট সংস্থাকেই নিশ্চিত করতে হবে বলে জানানো হয়েছে।

এর পাশাপাশি, কোভিড-১৯ কনটেনমেন্ট জোনে যে সমস্ত মানুষ রয়েছেন, তাঁদের জন্যও এই অ্যাপ বাধ্যতামূলক করা হয়েছে, যাতে তাঁদের গতিবিধির উপর নজরদারি চালানো যায়। কনটেনমেন্ট এলাকায় আরোগ্য সেতু অ্যাপের ১০০ শতাংশ কভারেজ স্থানীয় প্রশাসনকেই নিশ্চিত করতে হবে বলেও জানিয়ে দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার।

করোনা আক্রান্তদের উপর নজরদারি চালাতে এ বছর এপ্রিলের শুরুতে আরোগ্য সেতু অ্যাপটি সামনে আনে কেন্দ্রীয় সরকার। ব্লুটুথ এবং জিপিএস-এর মাধ্যমে অ্যাপ ব্যবহারকারীর গতিবিধির উপর নজর রাখা হয়। অ্যান্ড্রয়েড ফোনের গুগল প্লে স্টোর এবং আইফোনে অ্যাপল স্টোরে গিয়ে Aarogya Setu লিখে সার্চ করলেই অ্যাপটি পাওয়া যাবে। তা ডাউনলোড করে নিলেই হবে।

এত দিন রাজনৈতিক স্তরে এর ব্যাপক ব্যবহার চোখে পড়লেও, এ বার সরকারি ও বেসরকারি কর্মী এবং কনটেনমেন্ট এলাকার বাসিন্দাদের জন্য তা বাধ্যতামূলক করা হল। তবে সর্বস্তরের সাধারণ মানুষের জন্য এখনও তা করা হয়নি।

আরও পড়ুন: কেন্দ্রের নয়া নির্দেশিকায় কী বন্ধ, কিসেই বা ছাড়?​

তবে জিপিএস-এর মাধ্যমে নজরদারি চালানো এই অ্যাপ নিয়ে ইতিমধ্যেই নানা প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। এতে সাধারণ মানুষের গোপনীয় তথ্য হাতছাড়া হতে পারে বলেও আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন বিশেষজ্ঞরা। যদিও নীতি আয়োগের তরফে দাবি করা হয়েছে, জিপিএস-এর মাধ্যমে নতুন হটস্পট খুঁজে বার করতে সুবিধা হবে।

শুক্রবার একটি নির্দেশিকা জারি করে কেন্দ্রীয় সরকার লকডাউনের মেয়াদ ১৭ মে পর্যন্ত বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেয়। সেই সঙ্গে বেশ কিছু ক্ষেত্রে ছাড়ও ঘোষণা করা হয়, যেমন, কনটেনমেন্ট এলাকা বাদ দিয়ে রেড জোনের অন্তর্গত কোনও বেসরকারি দফতর ৩৩ শতাংশ কর্মী নিয়ে কাজকর্ম চালু করতে পারে। বলা হয়েছে, কনটেনমেন্ট এলাকায় আরোগ্য সেতু অ্যাপের ১০০ শতাংশ কভারেজ স্থানীয় প্রশাসনকে নিশ্চিত করতে হবে।

আরও পড়ুন: ২৪ ঘণ্টায় দেশে রেকর্ড আক্রান্ত ২,২৯৩ জন, মৃত আরও ৭১​

রেড জোনে সরকারি দফতরগুলিতে সিনিয়র অফিসার, ডেপুটি সেক্রেটারি এবং তার চেয়ে ঊর্ধ্বতন কর্মীদের নিয়ে কাজকর্ম চালিয়ে যাওয়া যাবে, বাকিদের কাজ করতে হবে বাড়ি থেকে। অরেঞ্জ এবং গ্রিন জোনে ১০০ শতাংশ কর্মী নিয়ে‌ কাজকর্ম চালু করার অনুমতি দেওয়া হয়েছে বেসরকারি সংস্থাগুলিকে।

Coronavirus Lockdown Aarogya Setu COVID-19

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:

Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy

{-- Slick slider script --}}