Advertisement
২২ নভেম্বর ২০২৪
Coronavirus in India

রমজানে মুসলিমদের খাবার জোগাচ্ছেন বৈষ্ণোদেবী মন্দির কর্তৃপক্ষ

দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ধর্মের নামে হানাহানির ঘটনার মাঝে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির বার্তাই যেন ফের বয়ে আনছে এই ঘটনা।

কাটরার কোয়রান্টিন সেন্টারে সেহরি পরিবেশন করছেন বৈষ্ণোদেবী মন্দিরের কর্মীরা। ছবি: সংগৃহীত।

কাটরার কোয়রান্টিন সেন্টারে সেহরি পরিবেশন করছেন বৈষ্ণোদেবী মন্দিরের কর্মীরা। ছবি: সংগৃহীত।

সংবাদ সংস্থা
নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ২৩ মে ২০২০ ২১:২৬
Share: Save:

রমজান মাসে দিনরাত এক করে মুসলিম সম্প্রদায়ভুক্তদের জন্য খাবারের বন্দোবস্ত করছেন বৈষ্ণোদেবী মন্দিরের কর্মীরা। জম্মু ও কাশ্মীরের কাটরায় কোয়রান্টিন সেন্টারে থাকা অন্তত ৫০০ জনের জন্য সকাল-সন্ধ্যায় সেহরি এবং ইফতারির ব্যবস্থা করছেন তাঁরা। দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ধর্মের নামে হানাহানির ঘটনার মাঝে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির বার্তাই যেন ফের বয়ে আনছে এই ঘটনা।

মন্দিরের বোর্ড সিইও রমেশ কুমার জানিয়েছেন, আশীর্বাদ ভবন নামে কাটরার ওই সেন্টারটিতে অন্তত পাঁচশো জনের কোয়রান্টিনে থাকার বন্দোবস্ত করা হয়েছে। সেখানকার বেশিরভাগ বাসিন্দাই পরিযায়ী শ্রমিক। তিনি বলেন, “রমজান মাসে ওই পরিযায়ী শ্রমিকেরা উপবাসে থাকতে শুরু করেন। ফলে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় যে তাঁদের প্রতি দিনের সেহরি ও ইফতারির ব্যবস্থা করব আমরা।” এবং এ নিয়ে চেষ্টার কসুর রাখেননি মন্দির কর্তৃপক্ষ। রমেশ কুমারের কথায়, “আমাদের মুসলিম ভাইয়েদের জন্য সেহরি-ইফতারি তৈরি করতে দিনরাত খেটে চলেছে বৈষ্ণোদেবী বোর্ড।”

রমেশ কুমার আরও জানিয়েছেন, লকডাউনের মাঝে জম্মু ও কাশ্মীর প্রশাসন বিভিন্ন রাজ্য থেকে শ্রমিক স্পেশাল ট্রেন ও বাসে করে পরিযায়ী শ্রমিকদের ফেরাতে শুরু করে। কাটরা থেকে প্রায় ৪০ কিলোমিটার দূরে উধমপুরে এসে নামার পর তাঁদের রাখা হয় আশীর্বাদ ভবনে। করোনা-সংক্রমণের আবহে গত মার্চ থেকেই আশীর্বাদ ভবনকে কোয়রান্টিনে পরিবর্তিত করেছিলেন বৈষ্ণোদেবী মন্দির কর্তৃপক্ষ। ভিন্ রাজ্য থেকে উধমপুরে আসার পর কাটরার কোয়রান্টিন সেন্টারে নিয়ে যাওয়া হয় পরিযায়ী শ্রমিকদের।

আরও পড়ুন: সোমবার থেকে উড়ান চালু করা নিয়ে সিদ্ধান্ত হয়নি, জানাল মহারাষ্ট্র

আরও পড়ুন: ‘ভাড়াবাড়িতে ফিরতে পারব না’, ট্রেনের অপেক্ষায় মুম্বইয়ের ফুটপাতে ঠাঁই পরিযায়ীদের

তবে শুধুমাত্র আশীর্বাদ ভবনেই নয়, কাটরার অন্যান্য কোয়রান্টিন সেন্টারের বাসিন্দাদের জন্যও সকাল, দুপুর, রাতের খাবারের বন্দোবস্ত করছেন বৈষ্ণোদেবী মন্দির কর্তৃপক্ষ। মার্চ মাস থেকে চলছে সেই কাজ। এ জন্য এখনও পর্যন্ত ৮০ লক্ষ টাকা ব্যয় করেছেন তাঁরা। এ ছাড়া কোভিড-১৯ মোকাবিলায় তাঁরা ব্যয় করেছেন দেড় কোটি টাকা।

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy