প্রতীকী ছবি।
করোনা মোকাবিলায় ভারতে গণ টিকাকরণের হার ‘অত্যন্ত সন্তোষজনক’ বলে দাবি করল নরেন্দ্র মোদী সরকার। বুধবার কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের তরফে তথ্য-পরিসংখ্যান পেশ করে এ কথা জানানো হয়েছে। তাতে বলা হয়েছে, কোভিড টিকা নেওয়ার পরেও সংক্রমণের শিকার হচ্ছেন সামান্য সংখ্যক মানুষ। সামগ্রিক পরিসংখ্যান করে দেখা যাচ্ছে, সেই হার ‘খুবই কম’। ১০ হাজারের মধ্যে গড়ে মাত্র ৪ জন।
বুধবার স্বাস্থ্য মন্ত্রকের অধীনস্থ সংস্থা ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অফ মেডিক্যাল রিসার্চ (আইসিএমআর)-এর ডিরেক্টর জেনারেল বলরাম ভার্গব জানিয়েছেন, করোনা টিকা নেওয়ার পরেও যাঁরা সংক্রমণের শিকার হচ্ছেন, তাঁদের ক্ষেত্রে অতিমারির ‘প্রাণঘাতী’ রূপ নেওয়ার সম্ভাবনা প্রায় নেই।
টিকাকরণ সংক্রান্ত তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা গিয়েছে, ভারত বায়োটেকের তৈরি কোভ্যাক্সিনের প্রথম টিকাটি দেওয়ার পরে ৯৩ লক্ষ ৫৬ হাজার ৪৩৬ জনের মধ্যে ৪,২০৮ জন করোনাভাইরাস সংক্রমণের শিকার হয়েছেন। দ্বিতীয় টিকা নেওয়ার পরে ১৭ লক্ষ ৩৭ হাজার ১৭৮ জনের মধ্যে ৬৯৫ জনের ক্ষেত্রে কোভিড টেস্টের রিপোর্ট পজিটিভ এসেছে।
অক্সফোর্ড এবং অ্যাস্ট্রাজেনেকার সহায়তায় সেরাম ইনস্টিটিউট অফ ইন্ডিয়ার তৈরি কোভিশিল্ডের ক্ষেত্রে প্রথম টিকা ন নেওয়ার পর ১০ কোটি ৩ লক্ষ ২ হাজার ৭৫৪ জনের মধ্যে ১৭ হাজার ১৪৫ জন আক্রান্ত হয়েছেন। দ্বিতীয় টিকা নেওয়া ১ কোটি ৫৭ লক্ষ ৩২ হাজার ৭৫৪ জনের মধ্যে সংক্রমণের শিকার ৫,০১৪।
মানবদেহে পরীক্ষার (হিউম্যান ক্লিনিকাল ট্রায়াল) পর ভারত বায়োটেক এবং অ্যাস্ট্রাজেনিকার তরফে তাঁদের টিকা ‘১০০ শতাংশ সফল’ বলে দাবি করা হয়েছিল। কিন্তু বাস্তবে দেখা গিয়েছে দু’টি টিকা নেওয়ার পরেও প্রতি ১০ হাজারে কোভ্যাক্সিনের ক্ষেত্রে ০.০৪ শতাংশ এবং কোভিশিল্ডের ক্ষেত্রে প্রায় ০.০৩ শতাংশ মানুষ সংক্রমণের শিকার। যদিও এই ‘নগণ্য সংখ্যা’য় আতঙ্কের কোনও কারণ নেই বলেই দাবি কেন্দ্রের। কারণ, করোনা হলেও টিকা কমাবে মৃত্যুর সম্ভাবনা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy