Advertisement
২২ নভেম্বর ২০২৪
National News

‘বেল্ট খুলে পেটাতে পারি’, ছত্তীসগঢ়ের কোয়রান্টিন সেন্টারে গর্জন বিজেপি মন্ত্রীর

বিজেপি মন্ত্রীর হম্বিতম্বির গোটাটাই ধরা পড়েছে ভিডিয়ো ক্যামেরায়।

কোয়রান্টিন সেন্টারে পরিদর্শনে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রেনুকা সিংহ। ছবি: সংগৃহীত।

কোয়রান্টিন সেন্টারে পরিদর্শনে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রেনুকা সিংহ। ছবি: সংগৃহীত।

সংবাদ সংস্থা
রাইপুর (ছত্তীসগঢ়) শেষ আপডেট: ২৫ মে ২০২০ ১৪:২২
Share: Save:

অভিযোগ ছিল, কোয়রান্টিন সেন্টারে নিম্নমানের সুযোগসুবিধা নিয়ে। সেই অভিযোগ শুনে জেলার আধিকারিকদের উপরে গর্জে উঠলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। শুধু তা-ই নয়, রীতিমতো ধমক দিয়ে বললেন, “কোনও দাদাগিরি চলবে না। বেল্ট দিয়ে পেটাতে পারি।” মন্ত্রীর হম্বিতম্বির গোটাটাই ধরা পড়েছে ভিডিয়ো ক্যামেরায়। সোশ্যাল মিডিয়ায় তা ছড়িয়েও পড়েছে। ছত্তীসগঢ়ের একটি কোয়রান্টিনে সেন্টারে গিয়ে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রেনুকা সিংহের এ হেন আচরণে চরম অস্বস্তিতে বিজেপি নেতৃত্ব।

শনিবার ছত্তীসগঢ়ের বলরামপুরে একটি কোয়রান্টিন সেন্টারে গিয়েছিলেন আদিবাসী বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী রেনুকা সিংহ। সেখানকার এক আবাসিক দিলীপ গুপ্তের অভিযোগ, সেন্টারে নিম্নমানের খাবার পরিবেশন করা হয়। সেই সঙ্গে অন্যান্য সুযোগসুবিধাও পর্যাপ্ত নয়। এ নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি ভিডিয়োও শেয়ার করেছিলেন তিনি। তার পরই নাকি দিলীপের মোবাইল কেড়ে নেওয়া হয়। শারীরিক ভাবেও হেনস্থা করা হয় তাঁকে। সম্প্রতি দিল্লি থেকে বলরামপুরে ফেরার পর দিলীপের দেহে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ধরা পড়ে। এর পর থেকে ওই কোয়রান্টিন সেন্টারে রয়েছেন তিনি।

দিলীপের অভিযোগ শুনেই ওই কোয়রান্টিন সেন্টারে ছুটে যান রেনুকা। এর পর দিলীপের অভিযোগ নিয়ে ওই আধিকারিকদের উপর হম্বিতম্বি শুরু করেন রেনুকা। ক্যামেরার সামনে তিনি বলেন, “আপনাদের দাদাগিরি চলবে না। অন্ধকার কুঠুরিতে নিয়ে গিয়ে বেল্ট খুলে খুব ভাল করে পেটাতে জানি।”

আরও পড়ুন: বিমান পরিষেবা শুরুর দিনেই ধাক্কা, দিল্লি-সহ বিভিন্ন শহরে বাতিল বহু বিমান

আরও পড়ুন: ‘কবে পাব আলো-জল’, দক্ষিণ কলকাতার বহু এলাকা এখনও ডুবে অন্ধকারে

দেখা গিয়েছে, ক্যামেরার সামনেই রেনুকা বলছেন, “গেরুয়াধারী বিজেপিকর্মীদের দুর্বল ভাববেন না। বিজেপিকর্মীদের সঙ্গে যে ভেদাভেদ করছেন, তা-ও চলবে না।” এতেই থামেননি রেনুকা। কংগ্রেসশাসিত ছত্তীসগঢ়ে ওই জেলা আধিকারিকদের সামনে তাঁর দাবি, “কেউ যেন ভাবেন না, আমাদের সরকার ক্ষমতায় নেই। আমরা ১৫ বছর ধরে (ছত্তীসগঢ়ে) রাজত্ব করেছি। করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়তে কেন্দ্রীয় সরকারের অনেক টাকা রয়েছে।” সেই সঙ্গে তাঁর আশ্বাস, “আমি দেখব যাতে ফান্ডের টাকা ঠিকঠাক মতো লোকজনের কাছে পৌঁছয়।”

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy