রামমূর্তি ও সুগন্ধা
করোনা পরিস্থিতিতে বিভিন্ন জায়গায় হেনস্থার শিকার স্বাস্থ্যকর্মীরা। চিকিৎসায় যুক্ত থাকায় প্রিয়জনের থেকেও দূরে থাকছেন অনেকেই। কিন্তু কর্তব্যে অবিচল তাঁরা।
তেমনই এক জন রামমূর্তি মীনা। মায়ের শেষকৃত্যে উপস্থিত থাকতে পারেননি। ভিডিয়ো কলের মাধ্যমে মা-কে শেষ বারের মতো দেখেছেন। জয়পুরের এসএমএস হাসপাতালটি বর্তমানে করোনা রোগীদের আইসোলেশন ওয়ার্ডে রূপান্তরিত হয়েছে। চিকিৎসায় যুক্ত থাকায় আইসোলেশনে থাকছেন মীনাও। গত ৩০ মার্চ থেকে বাড়ি ফেরেননি তিনি।
মন খারাপ হলেও হতাশ নন মীনা। জানিয়েছেন, অতিমারি পরিস্থিতিতে রোগীদের দেখভাল করাই তাঁর কাছে অগ্রাধিকার। ৩ এপ্রিল পর্যন্ত হাসপাতালেই কর্মরত ছিলেন তিনি। এর পরে কোয়রান্টিনে পাঠানো হবে।
তাই আগাম সতর্কতা হিসেবেই হাসপাতালের সমস্ত কর্মীকে কোয়রান্টিনে পাঠানোর বন্দোবস্ত করা হয়েছে। মীনা জানান, আইসোলেশন ওয়ার্ডে কাজ করা খুবই কঠিন। চিকিৎসার পাশাপাশি, রোগীদের আবেগ নিয়ন্ত্রণেও বড় ভূমিকা নিতে হয় তাঁদের। এই ভাইরাসে কবল থেকে বেঁচে ফিরবেন কি না, এই নিয়েই চিন্তিত হয়ে পড়েন অনেক রোগী।
শুধু রোগীরাই নন, পরিজনও উদ্বিগ্ন! মীনা জানান, তাঁর স্বাস্থ্য নিয়ে চিন্তিত বাড়ির সকলে। প্রতিদিনই স্ত্রী, ছেলে-মেয়েরা খোঁজ নেন তাঁর। মীনার কথায়, ‘‘স্ত্রী বলে, ‘সব ছেড়ে বাড়ি ফিরে এসো। শুধু তুমিই কেন? আর কেউ নেই নাকি?’’’ তবে মীনার মতো সকলেই এখন বাড়ি ছেড়ে রোগীদের সুস্থ করে তুলতে বদ্ধপরিকর।
হাসপাতালে যখন প্রথম করোনা সন্দেহভাজন রোগী চিকিৎসার জন্য আসেন, সেই সময়ে বাড়িতে ছিলেন মীনা। হাসপাতালে ডেকে পাঠানো হয় তাঁকে। তখন থেকেই করোনার চিকিৎসার সঙ্গে যুক্ত তিনি। বর্তমানে ওই হাসপাতালে ১৩ জন করোনা পজ়িটিভ রয়েছেন। মীনার কথায়, ‘‘সত্যিই কঠিন সময়। সমাজের প্রতি দায়িত্ব পালনে আমরা বদ্ধপরিকর।’’
কর্নাটকের বেলগাভীর সুগন্ধা নামে এক নার্সের সন্তানের কান্নার ভিডিয়ো সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়েছে। সেটি টুইট করেছেন কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রী বিএস ইয়েদুরাপ্পা। ২৯ সেকেন্ডের ভিডিয়োয় দেখা গিয়েছে, বাবার মোটরবাইকে বসে দূর থেকে মা-কে দেখে কাঁদছে ৪ বছরের ওই শিশুকন্যাটি। তাঁর মা বেলগাভী ইনস্টিটিউট অব মেডিক্যাল সায়েন্সেসের নার্স। তিনিও গত ১৫ দিন ধরে বাড়ি ফেরেননি। মায়ের জন্য কান্নায় ভেঙে পড়েছিল ওই খুদে, দূর থেকে সন্তানকে দেখলেও তার কাছে যেতে পারেননি সুগন্ধা।
(অভূতপূর্ব পরিস্থিতি। স্বভাবতই আপনি নানান ঘটনার সাক্ষী। শেয়ার করুন আমাদের। ঘটনার বিবরণ, ছবি, ভিডিয়ো আমাদের ইমেলে পাঠিয়ে দিন, feedback@abpdigital.in ঠিকানায়। কোন এলাকা, কোন দিন, কোন সময়ের ঘটনা তা জানাতে ভুলবেন না। আপনার নাম এবং ফোন নম্বর অবশ্যই দেবেন। আপনার পাঠানো খবরটি বিবেচিত হলে তা প্রকাশ করা হবে আমাদের ওয়েবসাইটে।)
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy