প্রতীকী ছবি।
দেশের মধ্যে প্রথম অন্তঃসত্ত্বা ও ১২ বছরের নীচের সব কোভিড পজিটিভ শিশুদের জন্য বিশেষ হাসপাতালের ব্যবস্থা হচ্ছে অসমে। স্বাস্থ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা জানান, স্ত্রীরোগ-সহ সংশ্লিষ্ট সব চিকিৎসক থাকবেন সেখানে। কোভিড পজিটিভ মায়েদের প্রসবের ব্যবস্থাও হবে। আবার ৬৫ বছরের উপরের সব প্রবীণ রোগীকে খানাপাড়ায় বিশেষ হাসপাতালে রাখা হবে।
আইসিএমআর উপসর্গহীন রোগীদের বাড়িতে রেখেই চিকিৎসা চালাতে বললেও হিমন্ত বলেন, অসমে একটি পরিবারে তিন প্রজন্মের লোক একসঙ্গে থাকেন। এক জন রোগী থেকে ১২ জন পর্যন্ত আক্রান্ত হতে পারেন। কিন্তু এ বার থেকে কোনও প্রতিবেশী আপত্তি না করলে, ঘরে বৃদ্ধ বাবা-মা বা অসুস্থ রোগী থাকা না থাকলে, রোগী নিজে পালস অক্সিমিটার কিনে প্রতি তিন ঘণ্টায় ডাক্তারকে রিপোর্ট দিলে ও কিছু হলে নিজেই দ্রুত হাসপাতালে যেতে পারলে তাঁকে বাড়িতে থেকে চিকিৎসা চালানোর অনুমতি দেওয়া হবে। এ জন্য হলফনামা দিতে হবে তাঁকে।
আজ সকাল থেকে রাজ্যে এক জনের মৃত্যু হয়েছে। মোট মৃতের সংখ্যা হল ৩৭। হিমন্ত জানান, আইসিএমআর নতুন নির্দেশ দিয়েছে, কোভিড পজিটিভ রোগী মারা গেলেই- তা করোনায় মৃত্যু নয়। তাঁদের অন্য বড় রোগ থাকতে পারে। তাই ‘ডেথ অডিট বোর্ড’গড়া হবে। সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালের সব মৃত্যুর ঘটনা সেখানে আসবে। আইসিএমআরের নিয়ম ও শর্ত মেনে, তবেই কাউকে ‘কোভিডে মৃত’ বলে ঘোষণা করা হবে।
মন্ত্রী জানান, অসমে মৃত্যুহার দেশের মধ্যে সর্বনিম্ন, মাত্র .২৩ শতাংশ। সুস্থতার হার ৬৩.৪০ শতাংশ। দেশের একমাত্র মহানগর হিসেবে গুয়াহাটিতে এক দশমাংশ লোকের করোনা পরীক্ষা শেষ। র্যাপিড অ্যান্টিজেন পরীক্ষায় ৩০ শতাংশের ফল পজিটিভ আসছিল। এখন তা কমে ২১ শতাংশ হয়েছে। তাঁর আশা, আগামী এক সপ্তাহে তা ৬-৭ শতাংশে নামতে পারে।
জেলাশাসকের সঙ্গে বৈঠকে নাগরিক সমিতিগুলি আরও ১৪ দিন লকডাউন বাড়াতে বললেও স্বাস্থ্য দফতরের সঙ্গে আলোচনার পরে মুখ্য সচিব কুমার সঞ্জয় কৃষ্ণ আপাতত ১৯ জুলাই পর্যন্ত লকডাউনের মেয়াদ বৃদ্ধি করেন। বন্ধ থাকবে সব অফিস, গণ-পরিবহণ, বাজার। অতি প্রয়োজন ছাড়া ব্যক্তিগত গাড়িও চলা নিষেধ। নাগাল্যান্ড ও মণিপুর লকডাউন বাড়িয়েছে ৩১ জুলাই পর্যন্ত।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy