ছবি: পিটিআই।
করোনা সংক্রমণের সঙ্গে যুদ্ধে রবিবার ১৪ ঘণ্টার ‘জনতা-কার্ফুর’ ডাক দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। আহ্বান জানিয়েছেন, ওই দিন সকাল সাতটা থেকে রাত ন’টা পর্যন্ত একান্ত প্রয়োজন ছাড়া বাড়িতেই ‘বন্দি থাকার’। কিন্তু আন্দোলন চৌপাট হওয়ার আশঙ্কায় সেই আর্জিও কানে তুলতে এখনও পর্যন্ত রাজি নয় শাহিন বাগ।
তবে প্রধানমন্ত্রীর পরামর্শ অগ্রাহ্য করার অভিযোগ উড়িয়ে বরং বিষয়টিকে দিল্লি সরকারের নির্দেশিকা মেনে চলা হিসেবে দেখাতে চাইছেন আন্দোলনকারীরা। শাহিন বাগ আন্দোলনের অন্যতম মুখ শাহিন কওসরের কথায়, ‘‘করোনাভাইরাস যে পৃথিবী জুড়ে তাণ্ডব চালাচ্ছে, সে সম্পর্কে আমরা ওয়াকিবহাল। আমরা চাই না, আন্দোলনের জন্য প্রতিবাদকারীদের কেউ এই রোগের শিকার হোন। কিংবা এখান থেকে তা ক্ষতি করুক অন্যের। সেই কারণেই দিল্লি সরকারের নির্দেশ অক্ষরে-অক্ষরে মেনে এই আন্দোলন জারি রেখেছি।’’
কওসর-সহ আন্দোলনকারীদের অনেকের যুক্তি, দিল্লি সরকার বলার পর থেকে এক সঙ্গে ৫০ জনের বেশি বসছেন না প্রতিবাদের মণ্ডপে। যাঁরা বসছেন, তাঁদের মধ্যেও দূরত্ব রাখা হচ্ছে যথেষ্ট। কিছু ক্ষণ অন্তর বার বার হাত ধুচ্ছেন সকলে। ব্যবহার করা হচ্ছে হ্যান্ড-স্যানিটাইজ়ারও। এ ছাড়া, মাঝেমধ্যেই বিভিন্ন জনের শরীর পরীক্ষা করছেন পাশের শিবিরের ডাক্তারেরা। কিন্তু এই মারণ রোগ ঠেকাতে সামাজিক বিচ্ছিনতাকেই যেখানে অস্ত্র করছে সারা বিশ্ব, সেখানে সকলে মিলে বসে এমন আন্দোলন চালিয়ে যাওয়া ঝুঁকিপূর্ণ নয়?
আরও পড়ুন: করোনায় নতুন করে সংক্রমিত ৫০ জন, দেশে এক দিনে সর্বোচ্চ
প্রতিবাদীদের উত্তর, ‘‘দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে বলেই তো এত ঝুঁকি নিয়ে এখনও এখানে বসে রয়েছি। আমরা জানি, করোনা থেকে ছাড় পেলেও সিএএ-এনআরসি থেকে নিস্তার নেই। সেই যদি ভিটেছাড়া, দেশছাড়াই হতে হয়, তা হলে আর করোনাকে ভয় কিসের?’’ শাহিন বাগ তাই এখনও অনড়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy