Advertisement
২৬ নভেম্বর ২০২৪
Coronavirus in India

মহারাষ্ট্রে খুলল মন্দির, ছটে বিধি ঝাড়খণ্ডে

মহারাষ্ট্রে হোটেল, রেস্তরাঁ এমনকি পানশালাগুলি খুলে গেলেও কী কারণে ধর্মস্থানে মানুষকে পৌঁছনোর ছাড়পত্র দেওয়া হচ্ছে না, তা নিয়ে বিক্ষোভ দেখিয়েছে বিজেপি।

ছবি: এএফপি।

ছবি: এএফপি।

নিজস্ব প্রতিবেদন
কলকাতা শেষ আপডেট: ১৭ নভেম্বর ২০২০ ০৩:২৭
Share: Save:

করোনা আবহে মহারাষ্ট্রে ধর্মীয় স্থল খোলা নিয়ে রাজ্যপাল ভগৎসিংহ কোশিয়ারির সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরের সংঘাত চরমে পৌঁছেছিল। অবশেষে ধর্মীয় স্থলগুলি আজ থেকে ভক্তদের জন্য খুলে দিল মহারাষ্ট্র সরকার। কোভিড আটকাতে যাবতীয় বিধিনিষেধ মেনে কেরলের শবরীমালা মন্দিরের দরজাও আজ পূণ্যার্থীদের জন্য খোলা হয়েছে।

মহারাষ্ট্রে হোটেল, রেস্তরাঁ এমনকি পানশালাগুলি খুলে গেলেও কী কারণে ধর্মস্থানে মানুষকে পৌঁছনোর ছাড়পত্র দেওয়া হচ্ছে না, তা নিয়ে বিক্ষোভ দেখিয়েছে বিজেপি। এই বিষয় নিয়েই অক্টোবরের মাঝামাঝি মুখ্যমন্ত্রীকে লেখা রাজ্যপালের চিঠি নতুন করে বিতর্কের জন্ম দিয়েছিল। শিবসেনা নেতা তথা মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধবের কাছে রাজ্যপাল জানতে চেয়েছিলেন, তিনি হঠাৎ ‘ধর্মনিরপেক্ষ’ হয়ে পড়েছেন কিনা। সেই খোঁচার জবাব দিয়ে উদ্ধব পাল্টা বলেছিলেন, তাঁকে কারও থেকে হিন্দুত্বের শিক্ষা নিতে হবে না। আর কোশিয়ারি যে সংবিধানের শপথ নিয়েছেন, ধর্মনিরপেক্ষতা তারই অঙ্গ।

এই বিতর্কের প্রেক্ষাপটে মহারাষ্ট্রের ধর্মস্থানগুলি জনসাধারণের জন্য কবে খুলে দেওয়া হবে, তা নিয়ে সব স্তরেই কৌতূহল ছিল। প্রায় আট মাস বন্ধ থাকার পরে, আনলক ৫-এর নির্দেশিকা মেনে ধর্মীয় স্থলগুলির দরজা খোলার পদক্ষেপ করল রাজ্য সরকার। তবে ভক্তদের কোভিড সংক্রান্ত বিধিনিষেধ মেনে চলার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। দেওয়ালির পরে আজ মুম্বইয়ের সিদ্ধি বিনায়ক মন্দিরে পৌঁছতে পেরে খুশি পূণ্যার্থীরা। মুম্বইয়ের হাজি আলি দরগা, মাহিম দরগাও খুলেছে।

আরও পড়ুন: ভোটের বিহারে ১৬০ টন কোভিড বর্জ্য

আরও পড়ুন: লকডাউনে রাজি নন কেজরীবাল​

শবরীমালা মন্দিরে পুজো দেওয়ার জন্য অনলাইন বুকিং-এর ব্যবস্থা হয়েছে। প্রতিদিন ১ হাজার ভক্তকে সেখানে যেতে দেওয়া হবে। ভক্তদের কোভিড নেগেটিভ সার্টিফিকেট নিয়ে আসতে হচ্ছে। তিরুঅনন্তপুরম-সহ কেরলের বিভিন্ন জায়গায় এ জন্য কোভিড পরীক্ষার বিশেষ বন্দোবস্ত করা হয়েছে। ১০ থেকে ৬০ বছর বয়সিরা মন্দিরে পৌঁছতে পারবেন।

মহারাষ্ট্র, কেরলে ধর্মস্থানগুলি খুলে দেওয়া হলেও কোভিড পরিস্থিতিতে রাজ্যের নদী-পুকুর সহ জলাশয়গুলিতে ছট পুজো নিষিদ্ধ করেছে ঝাড়খণ্ড সরকার। হেমন্ত সোরেন সরকারের বক্তব্য, জলাশয়ে ছট পুজো হলে সামাজিক দূরত্ববিধি মেনে চলা সম্ভব নয়। সে কারণেই এই সিদ্ধান্ত। জলাশয়ের পাড়েও ছটপুজোর কারণে কেউ স্টল দিতে পারবেন না। সর্বসাধারণের ব্যবহারের জায়গায় পোড়ানো যাবে না বাজি। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানও নিষিদ্ধ করা হয়েছে।

অন্য বিষয়গুলি:

Coronavirus in India COVID-19 Coronavirus
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy