ছবি: পিটিআই।
অসমে কোভিড মোকাবিলার ক্ষেত্রে পিপিই কিট ও অন্যান্য স্বাস্থ্য সরঞ্জাম কেনা নিয়ে আর্থিক কেলেঙ্কারির অভিযোগ তুলে উপ-লোকায়ুক্ত চিত্তরঞ্জন শর্মার কাছে অভিযোগ দায়ের করলেন বিরোধী দলনেতা দেবব্রত শইকিয়া।
অসম পাবলিক ওয়ার্কসের অভিযোগ, কোভিড নিয়ন্ত্রণে কেন্দ্র থেকে মেলা ৬৩০ কোটি টাকা নয়ছয় হচ্ছে। কোভিড চিকিৎসা ও তার পরিকাঠামো তৈরির নামে চলছে সিন্ডিকেট-রাজ। বিভিন্ন ঠিকা পাচ্ছে মন্ত্রী বা দলের ঘনিষ্ঠ লোকজন। কোভিড কেয়ার সেন্টারে খাবার দেওয়ার ক্ষেত্রেও দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে। স্বাস্থ্য দফতর ৭১ কোটি টাকা দিয়ে এন-৯৫ মাস্ক, স্যানিটাইজ়ার, পিপিই কিনলেও সেই সংক্রান্ত কোনও তথ্য অনলাইনে দেওয়া হচ্ছে না। ই–টেন্ডারের নিয়ম মানা হচ্ছে না। স্যালাইন ও ম্যালাথিয়ন কেনার ক্ষেত্রেও দুর্নীতি হয়েছে বলে তাদের সন্দেহ।
একটি আরটিআইয়ের জবাবে সরকার জানিয়েছে, অসম সরকার প্রতিটি পিপিই কিট কিনেছে ১১৪৫ টাকায়। উত্তরপ্রদেশ সরকার যা ৪৯০ টাকায় কিনেছে। ‘দুর্নীতি বিরোধী যুবশক্তি, অসম’-এর দাবি, ৫০০ এমএল স্যানিটাইজ়ারের দাম ১৪৭.৩০ টাকা হওয়া উচিত। স্বাস্থ্য দফতর কিনেছে ২৩১.৮০ টাকায়। এই খাতে বেশি দেওয়া হয়েছে ৪.২২ কোটি টাকার বেশি।
ভারত সরকারের অনুমতি মেলার আগেই স্বাস্থ্যমন্ত্রী হিমন্তবিশ্ব শর্মা চিন থেকে পিপিই কিট আমদানি করেন। বিমানবন্দরে নিজে সেগুলি আনতেও যান। পরে কেন্দ্র সেই পিপিই কিটের ব্যবহার বাতিল করে দেয়। সেই কিটগুলির কী গতি হল, উঠেছে সেই প্রশ্নও? গোটা বিষয়টি নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ ও মুখ্যমন্ত্রীর দুর্নীতি দমন ও ভিজিল্যান্স সেলকে দিয়ে তদন্তের দাবি জানিয়েছে দুর্নীতি-বিরোধী মঞ্চটি। এই সব অভিযোগ নিয়ে তদন্তের জন্য উপ-লোকায়ুক্তকেও অনুরোধ জানিয়েছেন দেবব্রত শইকিয়া।
অসমে এখন মোট করোনা রোগীর সংখ্যা ২৯,৯২১ জন। কোভিডে মৃতের সংখ্যা সরকারি ভাবে ৭৭। মৃত্যুহার ০.২৫ শতাংশ। সুস্থতার হার ৭২.৭৩ শতাংশ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy