গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ
ফের নিম্নমুখী ভারতে করোনা সংক্রমণের গ্রাফ। গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন সংক্রমিতের সংখ্যা শুক্রবারের থেকে কমেছে তিনশোর বেশি। তবে গত ২৪ ঘণ্টায় আগের দিনের তুলনায় ৯৬ হাজারের কিছু কম নমুনা পরীক্ষা হয়েছে। এর ফলে ‘পজিটিভিটি রেট’ বা ‘সংক্রমণের হার’ কিছুটা বেড়েছে। সেই সঙ্গে আগের দিনের থেকে মৃতের সংখ্যাও সামান্য কমেছে। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে কোভিড সংক্রমণে মৃত্যু হয়েছে ৫৫১ জনের।
সেপ্টেম্বরের তৃতীয় সপ্তাহ থেকেই দেশে করোনার সংক্রমণ কমতে শুরু করেছিল। প্রায় প্রতি দিনই কমছিল ২৪ ঘণ্টায় নতুন করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। কিন্তু এর মাঝেই গত বুধ এবং বৃহস্পতিবার সংক্রমিতের সংখ্যা বাড়ায় উদ্বেগ তৈরি হয়েছিল। গত কাল থেকে অবশ্য সংক্রমণে ফের কিছুটা লাগাম পড়েছে। শনিবার কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক প্রকাশিত বুলেটিন অনুযায়ী দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে করোনাভাইরাসে সংক্রমিত হয়েছেন ৪৮ হাজার ২৬৮ জন। শুক্রবার তা ছিল ৪৮ হাজার ৬৪৮ জন। এ দিনের আক্রান্তের সংখ্যা মিলিয়ে সারা দেশে মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে হল ৮১ লক্ষ ৩৭ হাজার ১১৯ জন।
সংক্রমণ কমলেও, মৃত্যু নিয়ে উদ্বেগের কাঁটা বহাল রয়েছে। দেশে এক সময় মৃত্যুর সংখ্যার গ্রাফও নিম্নমুখী হচ্ছিল। কিন্তু গত ২৬ অক্টোবরের পর থেকে তা ৫০০-এর ঘরেই ঘোরাফেরা করছে। শুক্রবার মৃত্যু হয়েছিল ৫৬৩ জনের। এ দিন প্রাণ হারিয়েছেন ৫৫১ জন। গত কালকের তুলনায় এ দিন মৃতের সংখ্যা কম হলেও তা সাড়ে পাঁচশোর গণ্ডিতেই আটকে রইল।
সংক্রমণ কমলেও, মৃত্যু নিয়ে উদ্বেগের কাঁটা বহাল রয়েছে। দেশে এক সময় মৃত্যুর সংখ্যার গ্রাফও নিম্নমুখী হচ্ছিল। কিন্তু গত ২৬ অক্টোবরের পর থেকে তা ৫০০-এর ঘরেই ঘোরাফেরা করছে। শুক্রবার মৃত্যু হয়েছিল ৫৬৩ জনের। এ দিন প্রাণ হারিয়েছেন ৫৫১ জন। গত কালকের তুলনায় এ দিন মৃতের সংখ্যা কম হলেও তা সাড়ে পাঁচশোর গণ্ডিতেই আটকে রইল।
(গ্রাফের উপর হোভার বা টাচ করলে প্রত্যেক দিনের পরিসংখ্যান দেখতে পাবেন। চলন্ত গড় কী এবং কেন তা লেখার শেষে আলাদা করে বলা হয়েছে।)
আরও পড়ুন: এক দিনে সুস্থ ৪ হাজারেরও বেশি, এখনও পর্যন্ত সর্বাধিক, দৈনিক সংক্রমণ সামান্য কমল
এক দিনে শুধু আক্রান্তের সংখ্যা কম-বেশি দিয়ে করোনা সংক্রমণের প্রকৃত প্রবণতা বোঝানো কঠিন। তার জন্য কত টেস্ট হয়েছে, এবং তার মধ্যে কত টেস্ট পজিটিভ এসেছে, অর্থাৎ ‘পজিটিভিটি রেট’ও বিচার্য। প্রতি দিন যত সংখ্যক মানুষের টেস্ট হচ্ছে, এবং তার মধ্যে ১০০ জনে কত জনের রিপোর্ট পজিটিভ আসছে, সেটাকেই বলা হয় ‘পজিটিভিটি রেট’ বা সংক্রমণের হার। এ দিন নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ১০ লক্ষ ৬৭ হাজার ৯৭৬ জনের যা গত কালকের থেকে প্রায় এক লক্ষ কম। তার ফলে গত কালকের থেকে সংক্রমণের হারও বেড়ে হয়েছে ৪.৫২ শতাংশ।
এক দিনে শুধু আক্রান্তের সংখ্যা কম-বেশি দিয়ে করোনা সংক্রমণের প্রকৃত প্রবণতা বোঝানো কঠিন। তার জন্য কত টেস্ট হয়েছে, এবং তার মধ্যে কত টেস্ট পজিটিভ এসেছে, অর্থাৎ ‘পজিটিভিটি রেট’ও বিচার্য। প্রতি দিন যত সংখ্যক মানুষের টেস্ট হচ্ছে, এবং তার মধ্যে ১০০ জনে কত জনের রিপোর্ট পজিটিভ আসছে, সেটাকেই বলা হয় ‘পজিটিভিটি রেট’ বা সংক্রমণের হার। এ দিন নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ১০ লক্ষ ৬৭ হাজার ৯৭৬ জনের যা গত কালকের থেকে প্রায় এক লক্ষ কম। তার ফলে গত কালকের থেকে সংক্রমণের হারও বেড়ে হয়েছে ৪.৫২ শতাংশ।
আরও পড়ুন: টিকাকরণের প্রস্তুতি শুরু, রাজ্যগুলিকে চিঠি স্বাস্থ্য মন্ত্রকের, কমিটি গড়ার নির্দেশ
আশার আলো দেখা যাচ্ছে সুস্থতার হারের বৃদ্ধিও। গত ২৪ ঘণ্টায় করোনামুক্ত হয়ে উঠেছেন ৫৯ হাজার ৪৫৪ জন। শুক্রবারের বুলেটিন অনুযায়ী গত ২৪ ঘণ্টায় হয়েছিলেন ৫৭ হাজার ৩৮৬ জন। প্রতি দিনই এই সংখ্যা বাড়তে শুরু করেছে। শনিবার সুস্থের সংখ্যা ধরলে সারা দেশে এখন ৭৪ লক্ষ ৩২ হাজার ৮২৯ জন করোনাকে হারিয়ে দিয়েছেন। দেশে এখন সক্রিয় করোনা রোগীর সংখ্যা ৫ লক্ষ ৮২ হাজার ৬৪৯ জন। সুস্থতার হার বেড়ে হয়েছে ৯১.৩৪ শতাংশ।
আশার আলো দেখা যাচ্ছে সুস্থতার হারের বৃদ্ধিও। গত ২৪ ঘণ্টায় করোনামুক্ত হয়ে উঠেছেন ৫৯ হাজার ৪৫৪ জন। শুক্রবারের বুলেটিন অনুযায়ী গত ২৪ ঘণ্টায় হয়েছিলেন ৫৭ হাজার ৩৮৬ জন। প্রতি দিনই এই সংখ্যা বাড়তে শুরু করেছে। শনিবার সুস্থের সংখ্যা ধরলে সারা দেশে এখন ৭৪ লক্ষ ৩২ হাজার ৮২৯ জন করোনাকে হারিয়ে দিয়েছেন। দেশে এখন সক্রিয় করোনা রোগীর সংখ্যা ৫ লক্ষ ৮২ হাজার ৬৪৯ জন। সুস্থতার হার বেড়ে হয়েছে ৯১.৩৪ শতাংশ।
দেশের মধ্যে সংক্রমণের নিরিখে এখনও সর্বোচ্চ স্থানে রয়েছে মহারাষ্ট্র। এ দিন পর্যন্ত সেখানে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ১৬ লক্ষ ৭২ হাজার ৮৫৮ জন। তার পরেই অন্ধ্রপ্রদেশ, সেখানে মোট আক্রান্ত মহারাষ্ট্রের প্রায় অর্ধেক ৮ লক্ষ ২০ হাজার ৫৬৫ জন। কর্নাটকে মোট আক্রান্ত ৮ লক্ষ ২০ ৩৯৮ জন। চতুর্থ স্থানে তামিলনাড়ু, মোট আক্রান্ত ৭ লক্ষ ২২ হাজার ১১ জন। কেরলে করোনায় মোট আক্রান্তের সংখ্যা এ দিন পর্যন্ত ৪ লক্ষ ২৫ হাজার ১২২ জন। সংক্রমিতের সংখ্যা বাড়ছে দিল্লিতেও। রাজধানীতে মোট আক্রান্তের সংখ্যা এ দিন হয়েছে ৩ লক্ষ ৮১ হাজার ৬৪৪ জন। রাজ্য সরকার প্রকাশিত শুক্রবারের বুলেটিন অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় পশ্চিমবঙ্গে নতুন আক্রান্তের সংখ্যা ৩ হাজার ৯৭৯ জন। তবে এক দিনে সুস্থ হয়ে উঠেছেন ৪ হাজার ১৫ জন রোগী।
দীর্ঘ দিন ধরেই করোনা সংক্রমণের মানচিত্রে শীর্ষে রয়েছে আমেরিকা। জন্স হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিসংখ্যান অনুযায়ী আমেরিকায় আক্রান্তের সংখ্যা ৯০ লক্ষের বেশি। দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে ভারত। ৫৫ লক্ষেরও বেশি করোনা আক্রেন্তের সংখ্যা নিয়ে তৃতীয় স্থানে এখন ব্রাজিল। আমেরিকায় কোভিডের বলি ২ লক্ষ ২৯ হাজার ৬৭৬ জন। ভারতে মৃত্যু হয়েছে ১ লক্ষ ২১ হাজার ৬৪১ জন। সংক্রমণের তৃতীয় স্থানে রইলেও, মৃতের সংখ্যার দিক থেকে দ্বিতীয় স্থানে ব্রাজিল। সেখানে প্রাণ হারিয়েছেন ১ লক্ষ ৫৯ হাজার ৪৭৭ জন।
(চলন্ত গড় বা মুভিং অ্যাভারেজ কী: একটি নির্দিষ্ট দিনে পাঁচ দিনের চলন্ত গড় হল— সেই দিনের সংখ্যা, তার আগের দু’দিনের সংখ্যা এবং তার পরের দু’দিনের সংখ্যার গড়। উদাহরণ হিসেবে— দৈনিক নতুন করোনা সংক্রমণের লেখচিত্রে ১৮ মে-র তথ্য দেখা যেতে পারে। সে দিনের মুভিং অ্যাভারেজ ছিল ৪৯৫৬। কিন্তু সে দিন নতুন আক্রান্তের প্রকৃত সংখ্যা ছিল ৫২৬৯। তার আগের দু’দিন ছিল ৩৯৭০ এবং ৪৯৮৭। পরের দুদিনের সংখ্যা ছিল ৪৯৪৩ এবং ৫৬১১। ১৬ থেকে ২০ মে, এই পাঁচ দিনের গড় হল ৪৯৫৬, যা ১৮ মে-র চলন্ত গড়। ঠিক একই ভাবে ১৯ মে-র চলন্ত গড় হল ১৭ থেকে ২১ মে-র আক্রান্তের সংখ্যার গড়। পরিসংখ্যানবিদ্যায় দীর্ঘমেয়াদি গতিপথ সহজ ভাবে বোঝার জন্য এবং স্বল্পমেয়াদি বড় বিচ্যুতি এড়াতে এই পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়)
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy