প্রতীকী ছবি।
পঞ্চম প্রতিষেধক হিসেবে দেশে গতকালই জরুরি ভিত্তিতে ব্যবহারের ছাড়পত্র পেয়েছে আমেরিকান সংস্থা জনসন অ্যান্ড জনসন-এর তৈরি করোনা টিকা। এ বার ভারতে ব্যবহারের অনুমোদন পাওয়ার লক্ষ্যে ছাড়পত্র চেয়ে আবেদন জানাল সে দেশের আরও এক প্রতিষেধক প্রস্তুতকারী সংস্থা ‘নোভাভ্যাক্স’। এখানে তাদের সহযোগী সংস্থা সিরাম ইনস্টিটিউটের মাধ্যমে ‘ড্রাগস কন্ট্রোলার জেনারেল অব ইন্ডিয়া’ (ডিসিজিআই)-এর কাছে তাদের আবেদনপত্রটি জমা দেওয়া হয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রের খবর।
ভারতে তাদের করোনা টিকা ‘কোভোভ্যাক্স’ প্রস্তুত এবং বিক্রির ক্ষেত্রে কোভিশিল্ড উৎপাদন এবং বণ্টনের দায়িত্বে থাকা সিরাম ইনস্টিটিউটকেই বেছে নিয়েছে নোভাভ্যাক্স। এ দেশের পাশাপাশি ইন্দোনেশিয়া এবং ফিলিপিন্সের সংশ্লিষ্ট নিয়ন্ত্রক সংস্থার কাছেও ছাড়পত্র পাওয়ার আর্জি জানিয়ে নোভাভ্যাক্সের হয়ে যাবতীয় নথিপত্র জমা দিয়েছে সিরাম। এ প্রসঙ্গে নোভাভ্যাক্সের সিইও স্ট্যানলি আর্ক-এর মন্তব্য, ‘‘যে-সব দেশে অতিমারি পরিস্থিতি এখনও নিয়ন্ত্রণের বাইরে, সেখানে নিরাপদ এবং কার্যকর এই টিকার কোটি কোটি ডোজ় পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্যে এই পদক্ষেপ
অত্যন্ত জরুরি।’’
অনুমোদন পাওয়ার লক্ষ্যে পর্যালোচনার জন্য তাদের প্রি-ক্লিনিক্যাল ও ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল এবং ফর্মুলা সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্যের পাশাপাশি টিকাটি প্রস্তুত এবং বণ্টনের সম্পূর্ণ নথিও নিয়ন্ত্রক সংস্থাটির হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে নোভাভ্যাক্স। চলতি মাসের শেষ দিকে ‘কোভ্যাক্স’ প্রকল্পের অংশ হওয়ার আবেদন জানিয়ে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু)-র কাছেও আর্জি জানানো হবে বলেও জানিয়েছে সংস্থাটি।
কোভিড-১৯-এর বিরুদ্ধে প্রায় ৯০% কার্যকর প্রমাণিত হয়েছে কোভোভ্যাক্স। তবে বর্তমানে বিশ্বজুড়ে আতঙ্ক ছড়ানো অতি-সংক্রামক ডেল্টা ভেরিয়েন্টের বিরুদ্ধে তার কার্যকারিতা কতটা, এখন উঠছে সেই প্রশ্ন। এ বিষয়ে পর্যালোচনা চালাতে আরও তথ্যের প্রয়োজন বলে জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। পাশাপাশি দু’টি ডোজ়ের এই ভ্যাকসিনটি অনুমোদন পেলে তার দাম কেমন হবে, তা নিয়েও বাড়ছে কৌতূহল। যে প্রসঙ্গে স্ট্যানলির ইঙ্গিত, কোভিশিল্ডের তুলনায় কোভোভ্যাক্সের দাম খানিকটা হলেও বেশি হবে।
এ দিকে, যাবতীয় কোভিড বিধি মেনে চলার শর্তে সোমবার থেকে দিল্লি জুড়ে সাপ্তাহিক বাজার খোলার অনুমতি দিয়েছে দিল্লি সরকার। তার আগে, রবিবার বাসিন্দাদের ফের এক বার সতর্ক করলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরীবাল। তাঁর টুইট, ‘‘সোমবার থেকে সাপ্তাহিক বাজার খুলে দেওয়া হচ্ছে। ওঁরা (দোকানি) গরিব মানুষ। সরকার ওঁদের জীবিকা নিয়ে বেশ চিন্তিত। তবে বাকি সকলের স্বাস্থ্য এবং জীবনও গুরুত্বপূর্ণ। সকলের কাছে আমার আর্জি, বাজার খোলার পরে আপনারা যেন কোভিড বিধি মেনে চলেন।’’ রাজধানীতে সংক্রমণের গতি বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে গত ১৯ এপ্রিল থেকে বন্ধ রাখা হয়েছিল সাপ্তাহিক বাজারগুলি। আনলক পর্বে প্রত্যেক পুরসভা অঞ্চলে একটি করে সাপ্তাহিক বাজার খোলা রাখার অনুমতি দেওয়া হয়।
অন্য দিকে, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশ জুড়ে বেড়েছে সংক্রমণের গতি। নতুন করে ৩৯,০৭০ জন আক্রান্ত হয়েছেন বলে স্বাস্থ্য মন্ত্রক সূত্রের খবর।কমেছে অ্যাক্টিভ রোগীর সংখ্যা। যা স্বস্তির খবর বলেই মনে করছে স্বাস্থ্য মন্ত্রক।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy