হোটেলে কোয়রান্টিন নয়, মন্ত্রী সদানন্দ গৌড়া বাড়িতে কোয়রান্টিনে থাকবেন। ছবি: টুইটার থেকে
বিমান পরিষেবা চালু হয়েছে আজ সোমবারই। বিমান থেকে নামার পর প্রাতিষ্ঠানিক নিভৃতবাসে থাকতে হবে বলে নির্দেশিকা জারি করেছে কেন্দ্র। কিন্তু সে সব নিয়ম আম জনতার জন্য। তিনি তো মন্ত্রী। তাই বেঙ্গালুরু বিমানবন্দর থেকে বেরিয়ে নিজের ব্যক্তিগত গাড়িতে করে সোজা রওনা দিলেন বাড়িতে। তিনি সদানন্দ গৌড়া। কেন্দ্রের শাসক দল বিজেপির সাংসদই শুধু নন, দেশের রাসায়নিক ও সার মন্ত্রীও বটে। তাই সাংবাদিকদের কার্যত বুক ফুলিয়ে বলে দিলেন, ‘‘আমি তো মন্ত্রী! তাই রাজ্য ও কেন্দ্রীয় সরকার আমাকে ছাড় দিয়েছে।’’
কর্নাটক সরকারের পক্ষ থেকে বিমান যাত্রীদের জন্য একটি হোটেলে সাত দিনের বাধ্যতামূলক কোয়রান্টিনের ব্যবস্থা করা হয়েছে। তবে ব্যবসায়ীরা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ কারণে এলে, তাঁদের ছাড় দেওয়ার বন্দোবস্ত রয়েছে নির্দেশিকায় । তার জন্য অবশ্য সঙ্গে থাকতে হবে আইসিএমআর কোভিড-১৯ নেগেটিভ রিপোর্ট। কিন্তু নির্দেশিকায় নেতা-মন্ত্রীদের ছাড় দেওয়ার কথা বলা নেই।
সোমবার বিমান পরিষেবা চালু হওয়ার প্রথম দিনই দিল্লি থেকে বেঙ্গালুরু বিমানবন্দরে নামেন বেঙ্গালুরু নর্থ কেন্দ্রের সাংসদ সদানন্দ গৌড়া। বিমানের যাত্রীদের সবার প্রাথমিক স্ক্রিনিং-এর পর সেই হোটেলে পাঠিয়ে দেওয়া হল। কিন্তু কর্নাটকের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী সদানন্দ গৌড়া বিমানবন্দর থেকে বেরিয়েই উঠলেন নিজের গাড়িতে। সাংবাদিকরা প্রশ্ন ছুড়ে দিতেই তাঁর আপ্ত সহায়কের জবাব, মন্ত্রী কোভিড-১৯ নেগেটিভ সার্টিফিকেট নিয়ে এসেছেন। তাই তাঁকে বাড়িতে কোয়রান্টিন থাকলেই চলবে।
আরও পড়ুন: গাড়ি বিক্রি নেই, উৎপাদন বন্ধ, শুধু গুরুগ্রামের অটো হাবেই ছাঁটাই হতে পারেন ৩০ লক্ষ কর্মী
তা হলে আম জনতা আর মন্ত্রীর জন্য কি আলাদা নিয়ম? তাঁরা থাকবেন প্রাতিষ্ঠানিক কোয়রান্টিনে, আর মন্ত্রী বাড়িতে? সদানন্দ গৌড়া অবশ্য এর মধ্যে অন্যায় কিছু খুঁজে পাননি। তিনি বলেন, ‘‘মন্ত্রী হিসেবে আমাকে কেন্দ্র এবং রাজ্য সরকার ছাড় দিয়েছে। তাই এতে অন্যায়ের কিছু নেই।’’ রাসায়নিক ও সার মন্ত্রী হিসেবে কেন্দ্রের ওষুধ সংক্রান্ত বিভাগও তাঁর অধীনে। সেই যুক্তি দিয়ে তাঁর বক্তব্য, ‘‘আমি যদি ওষুধ সরবরাহ না করি, আক্রান্তের (করোনাভাইরাস) সংখ্যা দ্বিগুণ হয়ে যাবে।’’
Union Minister Sadananda Gowda arrives from Delhi to Bengaluru. He refuses to be quarantined. As per the new GO, all those returning from high risk states (Delhi included) have to undergo 7-day institutional quaratine. Ministers are not on the list of those who can be exempted. pic.twitter.com/4bAwWiSP0U
— Theja Ram (@thejaram92) May 25, 2020
আরও পড়ুন: ভাঙল প্রাচীন গাছ, যশোর রোডে শুধু সবুজের দেহ
করোনাভাইরাসে আক্রান্তদের চিকিৎসা করতে গিয়ে অনেক চিকিৎসক-নার্সও আক্রান্ত হয়ে পড়েছেন। নিজের এই অবস্থান তাঁদের সঙ্গে তুলনা করে মন্ত্রীর সাফাই, ‘‘সারা দেশে ওষুধের সরবরাহের বিষয় দেখভালের দায়িত্ব আমার উপর। চিকিৎসক, ওষুধ সরবরাহকারীরাই যদি কোয়রান্টিনে থাকে, তা হলে আমরা কী ভাবে করোনাকে হারাব?’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy