—ফাইল চিত্র
করোনা সংক্রমণে বিশ্বের অন্যান্য দেশের তুলনায় ভারতে মৃত্যুহার প্রথম থেকেই কম। কিন্তু দিন যত যাচ্ছে এই মৃত্যুহারই রীতিমতো ভাবাচ্ছে চিকিৎসক, বিশেষজ্ঞদের। কারণ, দেশে করোনায় যাঁরা মারা যাচ্ছেন তাঁদের একটা বড় অংশই মধ্যবয়সি। চিকিৎসকদের মতে, মাঝবয়সিদের একাংশ যাঁরা উচ্চ রক্তচাপ, সুগার, কিডনিজনিত সমস্যায় ভুগছেন— মূলত তাঁরাই কোভিড-১৯ রোগাক্রান্ত হয়ে মারা যাচ্ছেন। যাঁদের এ ধরনের স্বাস্থ্যজনিত সমস্যা রয়েছে, তাঁরা সকলেই ‘ভালনারেবল’ শ্রেণির অন্তর্গত।
বিশ্বে যখন করোনায় মৃত্যুহার ৬.৬৫ শতাংশ, তখন ভারতে তা তিন শতাংশের কাছাকাছি। প্রথম দিকে এ দেশে যাঁরা মারা যাচ্ছিলেন, তাঁদের একটি বড় অংশ ছিলেন বয়স্ক, মূলত ষাটোর্ধ্ব। কিন্তু এখন করোনা সংক্রমণে তাঁদের সঙ্গেই পাল্লা দিচ্ছেন মধ্যবয়সিরা। ভারতের মতো দেশে যেখানে তরুণ ও মধ্যবয়সিদের সংখ্যা বেশি, সেখানে ওই তথ্য উদ্বেগজনক বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, দেশে ৭৫ বছরের ঊর্ধ্বে মৃত্যুহার ১৪ শতাংশ। সেখানে ৪৫-৫৯ বছর ও ৬০-৭৪ বছর বয়সিদের মৃত্যুহার যথাক্রমে ৩২ ও ৩৯ শতাংশ। যার অর্থ, ৪৫ বছর থেকে ৭৪ বছর বয়সিদের (যা দেশের জনসংখ্যার ২৩ শতাংশ) মধ্যে মোট মৃত্যুহার ৭১ শতাংশ।
মাঝবয়সিদের মৃত্যু সম্পর্কে এমসের মেডিসিন ও সংক্রমণ বিভাগের অধ্যাপক চিকিৎসক আশুতোষ বিশ্বাসের বক্তব্য, ‘‘যে সব মধ্যবয়সি মারা যাচ্ছেন, তাঁদের অধিকাংশের উচ্চ রক্তচাপ, সুগার, কিডনির সমস্যা বা অন্য কোনও ক্রনিক সমস্যা ছিল। এই কো-মর্বিডিটিই মৃত্যুর কারণ।’’ তাঁর মতে, ওবেসিটি বা বাড়তি ওজন, শরীরে যক্ষ্মার উপস্থিতি মধ্যবয়সিদের মৃত্যু ডেকে আনছে। স্বাস্থ্য মন্ত্রকের অফিসার অন স্পেশাল ডিউটি রাজেশ ভূষণের কথায়, ‘‘শুরু থেকেই করোনায় মৃত্যুর অন্যতম কারণ ছিল, কো-মর্বিডিটি বা ক্রনিক অসুখ। তাই যাঁদের ক্রনিক সমস্যা রয়েছে, তাঁদের শরীরের দিকে বাড়তি নজর রাখা প্রয়োজন।’’
আরও পড়ুন: ‘সংঘর্ষে’ নিহত উত্তরপ্রদেশের বাহুবলী বিকাশ, হুবহু মিলে গেল ‘ভবিষ্যদ্বাণী’
আরও পড়ুন: কোভিড নিয়ে আতঙ্ক ছড়াচ্ছে কি বেসরকারি হাসপাতালেও
এই পরিস্থিতিতে দেশে সংক্রমণ বেড়েই চলেছে। গত ২৪ ঘণ্টায় ২৬,৫০৬ জন নতুন করে সংক্রমিত হয়েছেন। যার ফলে দেশে সংক্রমণের সংখ্যা ৭,৯৩, ৮০২-এ পৌঁছেছে। যদিও এটি গতকালের সংক্রমণের তথ্য। আজকের সংখ্যা ধরলে কোভিড আক্রান্তের সংখ্যা আট লক্ষ পেরিয়ে গিয়েছে। গত ২৪ ঘন্টায় মারা গিয়েছে ৪৭৫ জন। তবে আশার কথা, ১৯,১৩৫ জন গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়ে উঠেছেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy