গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ
রেকর্ড-১: দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে করোনা-আক্রান্ত সাড়ে ৯৬ হাজারের বেশি। এই নিয়ে ৩৬ দিন ধরে দৈনন্দিন সংক্রমণের নিরিখে ভারত বিশ্বে এক নম্বরে।
রেকর্ড-২: গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে ১২০৯ জন কোভিড-১৯ রোগাক্রান্তের মৃত্যু হয়েছে।
রেকর্ড-৩: কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের হিসেবে গত ২৯ দিনে সুস্থতার সংখ্যা ১০০ শতাংশ বেড়েছে। এই ঘটনা নজিরবিহীন।
প্রতিদিনের করোনা-আক্রান্তের হিসেবে এগিয়ে রয়েছে মহারাষ্ট্র, অন্ধ্রপ্রদেশ এবং কর্নাটক। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় মহারাষ্ট্রে ২৩ হাজার ৪৪৬ জন, অন্ধ্রপ্রদেশে ১০ হাজার ১৭৫ জন এবং কর্নাটকে ৯ হাজারের বেশি মানুষ করোনা-আক্রান্ত হয়েছেন। দৈনিক সংক্রমণে নতুন করে উদ্বেগ বাড়াচ্ছে দিল্লিও। জুলাইয়ের শেষে এবং অগস্টে সেখানে দৈনন্দিন করোনা-আক্রান্তের সংখ্যা কমলেও তা আবার বাড়তে শুরু করেছে। গত ২৪ ঘণ্টায় দিল্লিতে নতুন করে করোনা-আক্রান্ত হয়েছেন ৪ হাজার ৩০৮ জন। করোনা সংক্রমণে রাশ টানা যাচ্ছে না। দৈনিক সংক্রমণ দ্রুত এক লক্ষের দিকে এগিয়ে চলেছে। আগামী দিনে যে সংক্রমণ আরও বাড়বে তা পরোক্ষে স্বীকার করে নিয়েছে বেশ কয়েকটি রাজ্য। করোনা সংক্রমণের হিসেবে প্রথম দিন থেকেই দেশের মধ্যে প্রথম মহারাষ্ট্র। বৃহন্মুম্বই পুরসভার (বিএমসি)আধিকারিকেরা মনে করছেন, আগামী বছরের আগে পরিস্থিতির উন্নতি হওয়ার সম্ভাবনা তো নেই-ই, বরং সংক্রমণ আরও দ্রুত হারে বাড়বে। তাঁদের যুক্তি, সামনেই উৎসবের মরসুম। দিওয়ালি, নবরাত্রি, ক্রিসমাস, নিউ ইয়ারের মতো একের পর এক উৎসব প্রতি মাসেই রয়েছে। ফলে সংক্রমণের সম্ভাবনা আরও বাড়বে বলেই আশঙ্কা। সূত্রের খবর, পশ্চিমবঙ্গ-সহ কিছু রাজ্যেও উৎসবের মরসুমে সংক্রমণ যে বৃদ্ধি পাবে তা প্রকারান্তরে মেনে নিচ্ছেন স্বাস্থ্য মন্ত্রকের আধিকারিকেরা। সংক্রমণ ও মৃত্যুর মাঝে কিঞ্চিৎ আশার আলো বলতে করোনা রোগীর সুস্থ হয়ে ওঠা। গত ২৪ ঘণ্টায় ৭০ হাজারের বেশি মানুষ এই রোগমুক্ত হয়েছেন। দেশে মোট আক্রান্তের ৭৭.৬৫ শতাংশ সুস্থ হয়েছেন। স্বাস্থ্য মন্ত্রক এই বিষয়টিকেই ফলাও করে প্রচার করছে। মৃত্যুর হার ১.৬৭ শতাংশ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy