Advertisement
২২ নভেম্বর ২০২৪
Coronavirus

ডেকেও আসেনি অ্যাম্বুল্যান্স, স্কুটারে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথে মৃত ২

প্রথম ঘটনা ঘটে ইনদওরের বাদওয়ালি চৌকি এলাকায়। দ্বিতীয় ঘটনাটি ঘটেছে খাণ্ডোয়া জেলার খড়কপুরাতে।

অ্যাম্বুলেন্স না পেয়ে স্কুটারেই হাসপাতালে আনা হল রোগীকে।

অ্যাম্বুলেন্স না পেয়ে স্কুটারেই হাসপাতালে আনা হল রোগীকে।

সংবাদ সংস্থা
ইনদওর শেষ আপডেট: ১৫ এপ্রিল ২০২০ ১৭:২১
Share: Save:

বার বার ডেকেও অ্যাম্বুল্যান্স আসেনি। তাই স্কুটারেই দুই রোগীকে চাপিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল হাসপাতালে। কিন্তু শেষ রক্ষা হয়নি। হাসপাতালে পা দিতে না দিতেই মৃত্যু হয়েছে দুই রোগীরই। দেশ জুড়ে করোনা পরিস্থিতির আবহে মধ্যপ্রদেশের এমনই দুটি পৃথক ঘটনায় দেশ জুড়ে শোরগোল শুরু হয়েছে। একটি ঘটনা ইনদওরের, আর একটি ঘটেছে খাণ্ডোয়া জেলায়। দুটি ঘটনাতেই হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেছে মৃতদের পরিবার। যদিও তা অস্বীকার করেছেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।

প্রথম ঘটনা ঘটে ইনদওরের বাদওয়ালি চৌকি এলাকায়। পাণ্ডু চন্দনে নামে ষাটোর্ধ্ব এক ব্যক্তি শ্বাসকষ্টে ভুগছিলেন। পাণ্ডু যে এলাকার বাসিন্দা সেখানে ইতিমধ্যেই থাবা বসিয়েছে করোনা। তাঁর আত্মীয়দের দাবি, সোমবার পাণ্ডুকে ইনদওরের মহারাজা যশবন্তরাও হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু সেখানে তাঁকে কিছু ওষুধ দিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়। মঙ্গলবার ফের অসুস্থ বোধ করেন তিনি। তাঁর পরিবারের সদস্যদের দাবি, পাণ্ডুকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার জন্য সেখানকারই অ্যাম্বুল্যান্স ডাকা হয়। কিন্তু হাসপাতাল থেকে অ্যাম্বুলেন্স দিতে অস্বীকার করা হয়। এর পর কোনও উপায় না দেখে পাণ্ডুকে স্কুটারে চড়িয়েই হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।

আউটডোরে চিকিৎসকরা পাণ্ডুকে পরীক্ষা করে জানান তিনি মৃত। যদিও হাসপাতালের গাফিলতির অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। ইনদওরের চিফ মেডিক্যাল অফিসার প্রবীণ জাড়িয়ার দাবি, ‘‘ওই ব্যক্তিকে সোমবার হাসপাতালে আনা হয়েছিল। এবং ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। মঙ্গলবার তাঁকে একটি নার্সিংহোমে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকেই মহারাজা যশবন্তরাও হাসপাতালে রেফার করা হয়। কিন্তু যখন তাঁকে আনা হয়, ত,খন তিনি মারা গিয়েছেন।’’ পাণ্ডু করোনা আক্রান্ত কিনা তা জানার জন্য নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে। তাঁর পরিবারে সদস্যদেরও নমুনা সংগ্রহ করা হবে।

আরও পড়ুন: আগে করোনা টেস্ট করান, সত্তরোর্ধ্ব বৃদ্ধাকে ফেরাল শহরের ২০ হাসপাতাল!

দ্বিতীয় ঘটনাটি ঘটেছে খাণ্ডোয়া জেলার খড়কপুরাতে। সংক্রমণের নিরিখে কার্যত হটস্পট হয়ে উঠেছে ওই এলাকা। অভিযোগ ওই এলাকার বাসিন্দা শেষ হামিদ নামে এক ব্যক্তিকে হাসপাতালে ভর্তি করতে অস্বীকার করেন কর্তৃপক্ষ। বছর পঁয়ষট্টির ওই ব্যক্তি আগে থেকেই সুগার ও উচ্চ রপক্তচাপে ভুগছিলেন। হামিদকে স্কুটারে চড়িয়েই হাসপাতালে নিয়ে যান তাঁর আত্মীয়রাা। কিন্তু হাসপাতালে পৌঁছনোর আগেই তাঁর মৃত্যু হয়।

আরও পড়ুন:লকডাউনে কোথায় ছাড়, কোথায় নয়, দেখে নিন

মধ্যপ্রদেশের এই দুটি ঘটনার কথা সামনে আসতেই রাজনৈতিক চাপানউতোর শুরু হয়েছে। রাজ্যের স্বাস্থ্য ব্যবস্থা নিয়ে শিবরাজ সিংহ চৌহান সরকারকে আক্রমণ শানিয়েছেন কংগ্রেস নেতা অরুণ যাদব। যদিও, রাজ্যের বিজেপি মুখপাত্র রজনীশ আগরওয়াল কংগ্রেসকে খোঁচা দিয়ে বলেছেন, ‘‘ঘটনা পুরোটা না জেনেই বন্দুক নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়ছে কংগ্রেস।’’

(অভূতপূর্ব পরিস্থিতি। স্বভাবতই আপনি নানান ঘটনার সাক্ষী। শেয়ার করুন আমাদের। ঘটনার বিবরণ, ছবি, ভিডিয়ো আমাদের ইমেলে পাঠিয়ে দিন, feedback@abpdigital.in ঠিকানায়। কোন এলাকা, কোন দিন, কোন সময়ের ঘটনা তা জানাতে ভুলবেন না। আপনার নাম এবং ফোন নম্বর অবশ্যই দেবেন। আপনার পাঠানো খবরটি বিবেচিত হলে তা প্রকাশ করা হবে আমাদের ওয়েবসাইটে।)

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy