প্রতীকী ছবি।
স্বেচ্ছায় যাঁরা কোভিড টিকা নিতে চান, তাঁদেরকেই তা দেওয়া হবে বলে জানিয়েছে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক। তবে তা সত্ত্বেও হাজারও প্রশ্ন রয়েছে সাধারণ মানুষের মনে। কোথা থেকে টিকা পাওয়া যাবে? কী করেই বা টিকাকরণ হবে? টিকা নিতে গেলে কী কী নথিপত্র জমা করতে হবে? এ ধরনের একগুচ্ছ প্রশ্নের উত্তর দিয়েছে স্বাস্থ্য মন্ত্রক।
বৃহস্পতিবার রাতে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের ওয়েবসাইটে কোভিড টিকাকরণ সংক্রান্ত একাধিক ধোঁয়াশা সহজ ভাবে প্রশ্নোত্তরের মাধ্যমে স্পষ্ট করার চেষ্টা করা হয়েছে। সাধারণের মধ্যে যে সমস্ত প্রশ্ন সবচেয়ে বেশি বার উঠে এসেছে, তার জবাব দিয়েছে মন্ত্রক।
কোভিড টিকা কি বাধ্যতামূলক?
ওই ব্যাখ্যায় প্রথমেই স্পষ্ট ভাবে জানানো হয়েছে, দেশবাসীর জন্য কোভিড টিকা বাধ্যতামূলক নয়। তবে যাঁরা টিকা নিতে ইচ্ছুক, তাঁদের অতি অবশ্যই অনলাইনে নাম নথিভুক্ত করাতে হবে। মন্ত্রকের তরফে বলা হয়েছে, “কোভিড-১৯-এর টিকাকরণ পুরোপুরি স্বেচ্ছামূলক। যদিও পরিবারের সদস্য, বন্ধুবান্ধব, সহকর্মীদের করোনার সংক্রমণের থেকে রুখতে প্রত্যেককেই ভ্যাকসিনের পুরো ডোজ নিতে পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। সংক্রমণ রুখতে ২৮ দিনের ব্যবধানে টিকার দু’টি ডোজ অবশ্যই নিতে হবে।”
আরও পড়ুন: আকসাই চিন থেকে কারাকোরাম গিরিপথে জুড়বে নয়া চিনা সড়ক
আরও পড়ুন: নতুন আইন নিয়ে কৃষকদের কাছে করজোড়ে প্রার্থনা মোদীর
টিকাকরণের জন্য় কোথায় নাম নথিভুক্তকরণের করা যাবে?
এই প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রক বলেছে, “যাঁরা স্বেচ্ছায় টিকা নিয়ে চান, তাঁদের নিজের নাম এবং ফোটো-সহ পরিচয়পত্র দিয়ে রেজিস্ট্রেশন করাতে হবে।”
টিকা নিতে হলে রেজিস্ট্রেশন কি বাধ্যতামূলক?
স্বাস্থ্য মন্ত্রক জানিয়েছে, টিকা নেওয়া বাধ্যতামূলক নয়। তবে টিকা নেওয়ার জন্য রেজিস্ট্রেশন করানো বাধ্যতামূলক।
রেজিস্ট্রেশনের কী কী নথিপত্র জমা দিতে হবে?
স্বাস্থ্য মন্ত্রক বলেছে, রেজিস্ট্রেশনের জন্য ড্রাইভিং লাইসেন্স, মনরেগা-র জব কার্ড, প্যান কার্ড, ব্যাঙ্ক বা পোস্ট অফিসের পাসবই, সরকারি-বেসরকারি সংস্থার আইডি কার্ড অথবা ভোটার কার্ড— এর যে কোনও একটি জমা করলেই চলবে।
রেজিস্ট্রেশনের পর কোথায় টিকাকরণ হবে, তা কী ভাবে জানা যাবে?
স্বাস্থ্য মন্ত্রক জানিয়েছে, অনলাইনে রেজিস্ট্রেশনের পর টিকা নিতে ইচ্ছুকদের নথিভুক্ত করা মোবাইল নম্বরে এ বিষয়ে সমস্ত তথ্য জানিয়ে দেওয়া হবে। টিকাকরণের দিনক্ষণ বা কোথায় তা হবে, সে সম্পর্কিত যাবতীয় তথ্য এসএমএসের মাধ্যমে জানানো হবে।
যাঁরা এই মুহূর্তে করোনা অথবা অন্য কোনও রোগে আক্রান্ত, তাঁরাও কি টিকা নিতে পারবেন?
মন্ত্রকের পরামর্শ, “ক্যানসার বা ডায়াবিটিসে আক্রান্ত অথবা যাঁরা সম্প্রতি করোনা থেকে সুস্থ হয়ে উঠেছেন, তাঁদেরও টিকাকরণে অংশ নিতে পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। তবে যাঁরা এই মুহূর্তে করোনায় আক্রান্ত বা সংক্রমিত বলে সন্দেহ করা হচ্ছে, তাঁদের সরাসরি টিকাকরণ কেন্দ্রে আসতে নিষেধ করা হচ্ছে। কারণ তাতে ওই কেন্দ্রে উপস্থিত অন্যদের মধ্যে সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়তে পারে। ওই ব্যক্তিদের অন্তত ১৪ দিনের পর্যবেক্ষণে থাকা উচিত।”
টিকাকরণের প্রাথমিক পর্বে কারা টিকা পাওয়ার যোগ্য, তা কী ভাবে জানা যাবে?
স্বাস্থ্য মন্ত্রক জানিয়েছে, প্রাথমিক পর্বে করোনা-যুদ্ধে শামিল সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ গোষ্ঠী যেমন স্বাস্থ্যকর্মী, চিকিৎসক, কোমর্বিড বা ৫০-এর বেশি বয়সি ব্যক্তিরাই যে অগ্রাধিকার পাবেন। তাঁদের রেজিস্টার করা মোবাইল নম্বরে টিকাকরণের তথ্য জানানো হবে।
কোভিড টিকা কি সুরক্ষিত?
এ বিষয়ে দেশবাসীকে আশ্বস্ত করেছে মন্ত্রক। মন্ত্রকের দাবি, “ভারতে তৈরি কোভিড টিকার গুণগত মান নিয়ে কোনও ধরনের সমঝোতা করা হবে না। বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতোই এ দেশে তৈরি কোভিড টিকা পুরোপুরি সুরক্ষিত। সংশ্লিষ্ট নিয়ন্ত্রক সংস্থার অনুমোদনের পরই তা বাজারে ছাড়া হবে।”
টিকা নেওয়ার পর কি কোনও পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হবে?
মন্ত্রকের তরফে বলা হয়েছে, “সুরক্ষা নিশ্চিত করার পরই প্রতিটি কোভিড ভ্যাকসিন ভারতের বাজারে ছাড়া হবে। তবে অন্যান্য সব ভ্যাকসিনের মতোই এই টিকা নেওয়ার পর ব্যথা বা সামান্য জ্বরের উপসর্গ দেখা দিতে পারে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy