ফাইল চিত্র। ছবি:রয়টার্স।
বিশ্বে, বিশেষ করে পশ্চিমি দেশগুলিতে নতুন সংক্রমিতের সংখ্যা এই মহূর্তে বাড়ছে। কিন্তু লক্ষণীয় ভাবে ভারতে এই সংখ্যাটা কমছে। গত ২৪ ঘণ্টায় ৫০,১২৯ জন কোভিডে আক্রান্ত হয়েছেন এবং সেরে উঠেছেন ৬২,০৭৭ জন। জাতীয় স্তরে সুস্থতার হার বেড়ে ৯০ শতাংশ হয়েছে আজ। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের মতে, এটি একটি মাইলফলক। তাদের বক্তব্য, সংক্রমিতের সংখ্যা লাগাতার কমে আসায় এটা সম্ভব হয়েছে। গত সেপ্টেম্বরের তৃতীয় সপ্তাহে সংক্রমিতের সংখ্যা শিখর ছুঁয়েছিল। সংখ্যাটা তার অর্ধেকের নীচে নেমে এসেছে। গত ২২ দিন ধরে লাগাতার নতুন আক্রান্তের চেয়ে বেশি সংখ্যক মানুষ সুস্থ হয়ে উঠছেন।
তবে উৎসবে মাতামাতি নিয়ে উদ্বেগ থাকছেই। দৈনিক নতুন সংক্রমিতের সংখ্যায় শীর্ষে উঠে এসেছে ওনাম-পরবর্তী কেরল। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী আজ তাঁর রেডিয়ো অনুষ্ঠান ‘মন কি বাত’-এ দশেরার আগাম শুভেচ্ছা জানানোর পাশাপাশি কোভিডের হাত থেকে রেহাই পাওয়ার জন্য স্বাস্থ্যবিধিগুলি মেনে চলা ও ধৈর্য রাখার ডাক দিয়েছেন ফের। দেশে গত এক সপ্তাহে করোনায় মৃত্যুর সংখ্যা ধারাবাহিক ভাবে হাজারের নীচে রয়েছে। গত ২ অক্টোবর করোনায় মৃতের সংখ্যা ১,১০০-র নীচে নেমেছিল।
সদ্য আরোগ্যলাভ করেছেন যাঁরা, তাঁদের ৭৫ শতাংশই ১০টি রাজ্য বা কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের। এগুলি হল: মহারাষ্ট্র, কর্নাটক, কেরল, তামিলনাড়ু, পশ্চিমবঙ্গ, দিল্লি, অন্ধ্রপ্রদেশ, অসম, উত্তরপ্রদেশ ও ছত্তীসগঢ়। মহারাষ্ট্র থেকে এক দিনেই সর্বাধিক ১০ হাজারের বেশি করোনা রোগী আরোগ্য লাভ করেছেন।
গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন সংক্রমিতের ৭৯ শতাংশই ১০টি রাজ্য বা কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের। সংখ্যাটা কেরলে সবচেয়ে বেশি। বিশেষজ্ঞদের মতে ওনাম উৎসবে সতর্কতাবিধি না-মানার খেসারত দিতে হচ্ছে এই রাজ্যকে। কেরলে গত ২৪ ঘণ্টায় ৮ হাজারেরও বেশি মানুষ নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন। দেশে যা সর্বাধিক। মহারাষ্ট্রে ৬ হাজারের কিছু বেশি।
আরও পড়ুন: শান্তির বার্তার মধ্যেও হুঁশিয়ারি রাজনাথের
উৎসবে মাতামাতি নিয়ে উদ্বেগ থাকছেই। ছবি:রয়টার্স।
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক জানিয়েছে, পুণের একটি মাত্র কেন্দ্র দিয়ে শুরু করে, এখন করোনাভাইরাসের নমুনা পরীক্ষাগারের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ২০০৩। এর মধ্যে ১১২৬টি সরকারি, বেসরকারি ৮৭৭টি। গোটা দেশে প্রতিষেধক দেওয়ার প্রস্তুতিও চলছে। সূত্রের খবর, সরকার ২০২১-এর জুলাইয়ের মধ্যে ৪০-৫০ কোটি ডোজ় প্রতিষেধক জোগাড় করতে পারবে বলে আশা করছে, যা দিয়ে ২০-২৫ কোটি মানুষকে সুরক্ষা দেওয়া যাবে।
আরও পড়ুন: এলটিসি: দেওয়া যাবে নানা বিল
কিন্তু প্রতিষেধক কবে মিলবে? বেঙ্গালুরুর বায়োকন লিমিটেডের চেয়ারপার্সন কিরণ মজুমদার শ আজ জানিয়েছেন, আগামী দু’-তিন মাসে ক্লিনিকাল পরীক্ষা সেরে ফেলা গেলে, আগামী জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারি নাগাদ অনুমোদন পেতে পারে অ্যাস্ট্রাজ়েনেকা বা ভারত বায়োটেকের প্রতিষেধক। সে ক্ষেত্রে ২০২১-এর জুন নাগাদ ভারতের বাজারে এক বা একাধিক প্রতিষেধক চলে আসতে পারে। তবে ১২০ কোটি মানুষকে প্রতিষেধক জোগানোটা তাঁর মতে খুবই কঠিন পরীক্ষা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy