—প্রতীকী ছবি।
দেশে প্রতিষেধক নেওয়ার পরে পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া কত জনের শরীরে দেখা গিয়েছে, তা জানতে চাইলেন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ-সহ বিশিষ্ট জনের একটি দল। অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার তৈরি প্রতিষেধক কোভিশিল্ডের ব্যবহারের পরে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দেওয়ায় টিকাকরণ অভিযান বন্ধ রেখেছে ইউরোপের বেশ কিছু দেশ। ভারতেও যেখানে সেই সংস্থার প্রতিষেধক ব্যবহার করা হচ্ছে, সেখানে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার তথ্য কেন চেপে রাখা হচ্ছে— সেই প্রশ্ন তুললেন ওই বিশেষজ্ঞেরা। টিকাকরণের পক্ষে থাকা ওই দলটি স্বচ্ছতা ও দেশবাসীর মনে আস্থা জোগাতে দেশে প্রতিষেধক নেওয়ার পরে যাদের মৃত্যু হয়েছে, তাদের মৃত্যুর কারণ জনসমক্ষে আনার দাবি করেছেন।
সম্প্রতি অস্ট্রিয়ায় অ্যাস্ট্রাজেনেকার প্রতিষেধক নেওয়ার পরে এক ব্যক্তি ধমনীতে রক্ত জমাট বেঁধে মারা যান। তার পরেই ওই প্রতিষেধক ব্যবহার সাময়িক ভাবে স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত নেয় জার্মানি, নেদারল্যান্ডস, আয়ার্ল্যান্ড, অস্ট্রিয়া-সহ ইউরোপের ১০টি দেশ। ঘটনাচক্রে ভারতে যে দুটি প্রতিষেধকের মাধ্যমে টিকাকরণ চলছে তার একটি অ্যাস্ট্রাজেনেকার তৈরি। এ দেশেও প্রতিষেধক নেওয়ার পরে গোড়ায় বেশ কিছু মৃত্যুর ঘটনা সামনে এসেছিল। তার পরে জনমানসে প্রতিষেধক নেওয়ার প্রশ্নে দ্বিধা তৈরি হয়। আজ কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী হর্ষ বর্ধনকে লেখা চিঠিতে বিশেষজ্ঞেরা অভিযোগ করেছেন, প্রতিষেধকের কারণে কত জনের শরীরে পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া দেখা গিয়েছে, সেই তথ্য দেওয়া বন্ধ করে দিয়েছে সরকার। ওই তথ্য ফের সামনে আনার দাবি করেছেন বিশেষজ্ঞরা। চিঠিতে তাঁরা লিখেছেন, কোভিশিল্ডের ব্যবহার বন্ধ রেখেছে ইউরোপের অনেক দেশ। সেই প্রতিষেধকই ব্যবহার হচ্ছে ভারতেও। তাই জনমানসে ওই প্রতিষেধক প্রশ্নে স্বচ্ছতা ও ভরসা জোগাতে পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া সংক্রান্ত তথ্য সামনে আনা হোক। স্বচ্ছতার প্রশ্নে প্রতিষেধক নেওয়ার পরে যারা মারা গিয়েছেন, তাদের মৃত্যুর কারণ, ময়না-তদন্ত ও অটোপসি রিপোর্ট প্রকাশ করার দাবি তোলা হয়েছে চিঠিতে। তাঁদের মতে, বিষয়টি সামনে এলে ধোঁয়াশা কাটবে।
ভারতে ওই প্রতিষেধক বন্ধ করার কোনও প্রশ্ন নেই বলে আজ দাবি করেছেন নীতি আয়োগের সদস্য (স্বাস্থ্য) ভি কে পল। তাঁর বক্তব্য, “ভারতে ওই প্রতিষেধক নিয়ে উদ্বেগের কারণ নেই। ইউরোপের দশটি দেশ সাময়িক ভাবে ওই প্রতিষেধকের ব্যবহার বন্ধ রেখেছে। কিন্তু মাথায় রাখতে হবে ইউরোপিয়ান মেডিক্যাল এজেন্সি ইতিমধ্যেই জানিয়েছে, ওই সিদ্ধান্ত সতর্কতামূলক পদক্ষেপ। এ নিয়ে ওই দেশগুলিতে পরীক্ষা চালু রয়েছে। ভারতে এখনও রক্ত জমাট বেঁধে যাওয়ার উপসর্গ পাওয়া যায়নি। স্বাস্থ্য মন্ত্রকের দল এ বিষয়ে অবহিত। তাই পার্শ্ব প্রতিক্রিয়ার ঘটনাগুলিতে এ ধরনের লক্ষণ দেখা যাচ্ছে কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy