শের বাহাদুরের মতো পরিণতি কি হতে পারে ভিন রাজ্যের অন্য শ্রমিকদেরও? ছবি- পিটিআই।
হায়দরাবাদে বড় একটি রাস্তার পাশে ফুটপাত থেকে মৃত অবস্থায় পুলিশ উদ্ধার করল ৭৭ বছরের এক শ্রমিককে। যাঁর পকেট থেকে পাওয়া হাসপাতালের স্লিপ থেকে জানা গেল, কোভিড-১৯ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন কি না, তা পরীক্ষা করাতেই ওই হাসপাতালে গিয়েছিলেন বৃদ্ধ শ্রমিক। পুলিশ জানাচ্ছে, পরীক্ষা করাতে এসে ওই বৃদ্ধ কখন উধাও হয়ে গিয়েছিলেন, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষও তা জানতেন না। পুলিশের কাছে থেকেই এই ঘটনার কথা জানতে পারে হাসপাতাল। তবে রাস্তার সিসিটিভি ফুটেজ পরীক্ষা করে পুলিশ জানিয়েছে, অন্তত ১২ ঘণ্টা ধরে ফুটপাতে মৃত অবস্থায় পড়েছিলেন বৃদ্ধ। দেহটিকে প্লাস্টিকে মুড়িয়ে পুলিশকে স্বাস্থ্যকর্মীদের জন্য অপেক্ষা করতে হয় পরের দিন সকাল পর্যন্ত।
হায়দরাবাদের নারায়ণগুড়ায় ওয়াইএমসিএ এক্স রোডে ফুটপাতে পুলিশ শুক্রবার মৃত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখে ৭৭ বছর বয়সী এক শ্রমিককে। তাঁর পকেট থেকে পাওয়া কোভিড-১৯ পরীক্ষার স্লিপ থেকে জানা যায়, বৃদ্ধের নাম শের বাহাদুর। আদত বাড়ি নেপালে। জ্বর এবং কাশি, কফে ভোগায় কোভিড-১৯-এ আক্রান্ত হয়েছেন কি না জানতে তিনি বৃহস্পতিবার বিকেলে গিয়েছিলেন হায়দরাবাদের লালাপেট এলাকার একটি সরকারি প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে।
পুলিশ জানিয়েছে, প্রাথমিক পরীক্ষার পর প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রের মেডিক্যাল অফিসার তাঁকে ‘রেফার’ করেন চার কিলোমিটার দূরে কিং কোটির গাঁধী সরকারি হাসপাতালে। হায়দরাবাদে কোভিড-১৯-এর খুঁটিনাটি পরীক্ষা হয় একমাত্র ওই সরকারি হাসপাতালেই। শের বাহাদুরকে বলা হয় অপেক্ষা করতে। জানানো হয়, একটি অ্যাম্বুল্যান্স এসে তাঁকে নিয়ে যাবে গাঁধী সরকারি হাসপাতালে। কোভিড-১৯-এ আক্রান্ত হয়েছেন কি না, সেখানেই তার খুঁটিনাটি পরীক্ষা করে দেখা হবে। কিন্তু অ্যাম্বুল্যান্সের অপেক্ষায় বসে না থেকে গাঁধী হাসপাতালের উদ্দেশে হাঁটতে শুরু করেন শের বাহাদুর।
আরও পড়ুন- করোনা: মৃত্যুর সংখ্যায় ইটালিকেও ছাপিয়ে গেল আমেরিকা, মৃত ২০ হাজারেরও বেশি
আরও পড়ুন- আট হাজার ছাড়িয়ে গেল দেশে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা, মৃত আরও ৩৪
নারায়ণগুড়া পুলিশ স্টেশনের ইনস্পেক্টর কর্নাকর রেড্ডি বলেছেন, ‘‘উনি (বৃদ্ধ) কেন হাসপাতাল থেকে বেরিয়ে নিজেই হাঁটতে হাঁটতে গাঁধী হাসপাতালের দিকে গিয়েছিলেন, তা এখনও আমরা জানতে পারিনি। তবে উনি কখন উধাও হয়ে গিয়েছেন তা প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রেরও কারও জানা ছিল না। আমাদের কাছ থেকেই ঘটনার কথা প্রথম জানতে পারে হাসপাতাল। ফুটপাতে দেহ উদ্ধারের পর সেটিকে প্লাস্টিকে মুড়ে সারা রাত দুই পুলিশকর্মী অপেক্ষা করেছিলেন কোভিড-১৯-এর স্বাস্থ্যকর্মীদের আসার জন্য। কিন্তু তাঁদের দু’টি হেল্পলাইন নম্বর বেজে গিয়েছিল। কেউ তোলেননি। পুরসভাতে ফোন করেও কোনও কাজ হয়নি। শেষমেশ স্বাস্থ্যকর্মীরা এসে পৌঁছন পরের দিন সকালে।’’
(অভূতপূর্ব পরিস্থিতি। স্বভাবতই আপনি নানান ঘটনার সাক্ষী। শেয়ার করুন আমাদের। ঘটনার বিবরণ, ছবি, ভিডিয়ো আমাদের ইমেলে পাঠিয়ে দিন, feedback@abpdigital.in ঠিকানায়। কোন এলাকা, কোন দিন, কোন সময়ের ঘটনা তা জানাতে ভুলবেন না। আপনার নাম এবং ফোন নম্বর অবশ্যই দেবেন। আপনার পাঠানো খবরটি বিবেচিত হলে তা প্রকাশ করা হবে আমাদের ওয়েবসাইটে।)
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy