Advertisement
০৫ নভেম্বর ২০২৪
EC

বিহার ছাড়া অন্যত্র বুথ-পিছু ১৫০০

অতিমারিতে বিহার বিধানসভার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। সঙ্গে ৬৫টি আসনে উপনির্বাচন।

—ফাইল চিত্র।

—ফাইল চিত্র।

প্রদীপ্তকান্তি ঘোষ 
কলকাতা শেষ আপডেট: ০৬ সেপ্টেম্বর ২০২০ ০২:৫৪
Share: Save:

বুথ পুনর্গঠনে বিহারের পথে হাঁটবে না বাকি রাজ্য। তেমনই সিদ্ধান্ত নিয়েছে নির্বাচন কমিশন। শুক্রবার তা জানিয়ে দেশের বিভিন্ন রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের মুখ্য নির্বাচনী অফিসারদের (সিইও) চিঠি দিয়েছে তারা। এ ক্ষেত্রে বাদ রাখা হয়েছে বিহার এবং জম্মু ও কাশ্মীর ও লাদাখ কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলকে। তাই বিহার বিধানসভা এবং বিভিন্ন রাজ্যের ৬৫টি উপনির্বাচনে বুথ পিছু ভোটার সংখ্যা সর্বোচ্চ এক হাজার হলেও দেশের অন্যত্র তা দেড় হাজার হতে চলছে।

অতিমারিতে বিহার বিধানসভার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। সঙ্গে ৬৫টি আসনে উপনির্বাচন। ওই সব ক্ষেত্রে বুথ পিছু সর্বোচ্চ ভোটার সংখ্যা থাকবে এক হাজার। তার বেশি হলে অক্সিলিয়ারি বুথ তৈরি করা হবে। একই ভাবে যে ৬৪টি বিধানসভা এবং একটি লোকসভা আসনের উপনির্বাচন হবে, সেখানে একই পদ্ধতিতে অক্সিলিয়ারি বুথ গঠনের কাজ করছেন কমিশনের দায়িত্বপ্রাপ্তরা। অক্সিলিয়ারি বুথ ভোটের প্রয়োজন অনুসারে তৈরি করে কমিশন। আর ভোট মিটে গেলেই ওই বুথের অস্তিত্ব থাকে না। তাই এর সঙ্গে স্থায়ী ভাবে বুথের সংখ্যা কমা বা বাড়া সম্পর্কহীন।

পুনর্গঠনের সময় বুথ পিছু নির্দিষ্ট সংখ্যক ভোটার রাখা হয়। যার সঙ্গে স্থায়ী ভাবে বুথ সংখ্যার সম্পর্ক আছে। যেমন ভাবে শুক্রবারের নির্দেশে কমিশন বলেছে, বুথ পিছু সর্বোচ্চ দেড় হাজার ভোটার থাকবে। তার ফলে কিছু বুথের পুনর্বিন্যাস হবে। আর স্থায়ী বুথ সংখ্যার সংযোজন বা বিয়োজন হবে। বর্তমানে বঙ্গে বুথের সংখ্যা ৭৮,৮০৪ ( লোকসভা নির্বাচনের সময়ে তা ছিল ৭৮,৭৯৯)। বাংলায় প্রায় একশোর কাছাকাছি বুথে দেড় হাজারের বেশি ভোটার রয়েছে। সে কারণে ওই বুথগুলিতে কমিশনের নির্দেশ মেনে বিন্যাস হবে। তার পরেই জানা যাবে রাজ্যে স্থায়ী ভাবে কত বুথ বাড়ল, তেমনই মত রাজ্য সিইও দফতরের।

করোনা প্রতিরোধের অন্যতম শর্ত দূরত্ববিধি। তাই বুথ পিছু সর্বোচ্চ ভোটার সংখ্যা কত হবে, তা নিয়ে বিভিন্ন রাজ্যের সিইওদের থেকে নানা তথ্য নিয়েছিলেন নির্বাচন সদনের কর্তারা। আলোচনাতে বুথ পিছু সর্বোচ্চ এক হাজার তো ছিলই। এমনকি, আটশো করা যায় কিনা, তা নিয়েও আলোচনা করেছেন কমিশনের আধিকারিকরা। তবে বুথ পিছু আটশো বা হাজার ভোটার হলে অনেক বেশি ভোটকর্মী, ভোটযন্ত্র বা নিরাপত্তারক্ষীর প্রয়োজন পড়ত। নতুন বুথ তৈরির জন্য পর্যাপ্ত জায়গার সংস্থান নিয়ে সমস্যা ছিল, তা মানছেন কমিশন আধিকারিকরা। এই সব বিষয় বিচার-বিবেচনা করে আপাতত এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন দিল্লির অশোকা রোডের নির্বাচন সদনের কর্তারা। ভোটের সময়ে পরিস্থিতি অনুসারে অক্সিলিয়ারি বুথ তৈরির সিদ্ধান্ত নিতেই পারে কমিশন। তবে শেষ লোকসভা নির্বাচনে এ রাজ্যে একটিও অক্সিলিয়ারি বুথ ছিল না।

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE