Advertisement
০৬ নভেম্বর ২০২৪
Disaster Fund

দুর্যোগ তহবিলের অর্থে কেনা যাবে করোনা-কিট

প্রতিটি রাজ্যের করোনা পরীক্ষা করার জন্য প্রতি দিন কয়েক হাজার করে কিটের দরকার হয়। তাই পরীক্ষার সংখ্যা যাতে না কমে তাই বাজার থেকে কিট কেনার জন্য ওই টাকা রাজ্যগুলি খরচ করতে পারবে বলে চিঠিতে জানিয়েছে কেন্দ্র।

প্রতীকী ছবি

প্রতীকী ছবি

নিজস্ব সংবাদদাতা
নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২০ ০৫:৫০
Share: Save:

রাজ্যের হাতে থাকা দুর্যোগ মোকাবিলা তহবিলের অর্থে কেনা যাবে কোভিড-১৯ পরীক্ষা কিট। সরকারি হাসপাতালে বসানো যাবে অক্সিজেন উৎপাদন ও সংরক্ষণ ইউনিট বলে জানাল কেন্দ্র। এ যাবৎ ওই তহবিলের ৩৫ শতাংশ অর্থ খরচ করতে পারত রাজ্য। কিন্তু রাজ্যগুলির সম্মিলিত দাবিতে ওই অর্থ খরচের পরিমাণ ৩৫ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ৫০ শতাংশ করার কথা গত কাল ঘোষণা করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। বাড়তি অর্থ কেন্দ্রের পক্ষ থেকে রাজ্যকে খরচ করার অনুমতি দেওয়ার সঙ্গেই তা কোন খাতে ব্যবহার করা যাবে সেই রূপরেখাও আজ প্রতিটি রাজ্যের মুখ্যসচিবকে চিঠি লিখে জানিয়ে দিয়েছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। তবে কোন ভাবেই খরচ যাতে তহবিলের পঞ্চাশ শতাংশের বেশি না হয় তা নিশ্চিত করতে বলা হয়েছে রাজ্যগুলিকে। ওই তহবিলের ৭৫ শতাংশ অর্থ দেয় কেন্দ্র। বাকি অর্থ দেয় রাজ্য।

প্রতিটি রাজ্যের করোনা পরীক্ষা করার জন্য প্রতি দিন কয়েক হাজার করে কিটের দরকার হয়। তাই পরীক্ষার সংখ্যা যাতে না কমে তাই বাজার থেকে কিট কেনার জন্য ওই টাকা রাজ্যগুলি খরচ করতে পারবে বলে চিঠিতে জানিয়েছে কেন্দ্র। এ ছাড়া ওই অর্থ দিয়ে গড়ে তোলা যাবে অতিরিক্ত করোনা পরীক্ষা কেন্দ্র। জরুরি পরিষেবার সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিদের জন্য মাস্ক, ফেস শিল্ডের মতো ব্যক্তিগত সুরক্ষা সামগ্রী কেনার পিছনেও খরচ করা যাবে ওই টাকা। শরীরের তাপমাত্রা মাপতে থার্মাল স্ক্যানার, গুরুতর অসুস্থদের কথা মাথায় রেখে ওই টাকায় সরকারি হাসপাতালে ভেন্টিলেটর, বায়ুশোধন যন্ত্র কেনা ছাড়াও বসানো যাবে অক্সিজেন উৎপাদনকারী প্ল্যান্ট। খরচ করা যাবে অ্যাম্বুলেন্স কেনার জন্যও। করোনা রোগীদের রাখার জন্য করোনা শিবির তৈরি, রোগীদের খাদ্য, বস্ত্র, চিকিৎসা পরিষেবার পিছনেও ওই তহবিলের অর্থ খরচে ছাড়পত্র দিয়েছে কেন্দ্র।

অন্য বিষয়গুলি:

Disaster Fund Coronavirus in India
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE