কণিকা কপূর। ছবি: সংগৃহীত।
বিদেশ থেকে ফিরে করোনা-নির্দেশিকা না মানায় গায়িকা কণিকা কপূরের বিরুদ্ধে এফআইআর করেছিলেন লখনউয়ের চিফ মেডিক্যাল অফিসার নরেন্দ্র আগরওয়াল। ওই এফআইআরের বয়ানে সংশোধন করতে চেয়ে একটি চিঠি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে। অনেক শিবির থেকে দাবি করা হয়েছে, পরে চিঠি লিখে নরেন্দ্রই বয়ান বদলাতে চেয়েছেন। কিন্তু সে কথা নরেন্দ্র মানতে চাননি।
নরেন্দ্রর বয়ানের ভিত্তিতে ১৪ মার্চ লখনউতে কণিকার বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করা হয়। সেই এফআইআর-এ বলা হয়েছিল, ১৪ তারিখ লখনউ বিমানবন্দরে কণিকাকে পরীক্ষা করা হয়। তখন তাঁর ‘সংক্রমণের পরিমাণ অনেকটাই বেশি ছিল।’ তাঁকে বাড়িতে কোয়রান্টিনে থাকার উপদেশ দেওয়া হলেও তিনি তা অমান্য করে তিনটি সামাজিক অনুষ্ঠানে গিয়েছিলেন।
তবে নতুন করে লখনউয়ের চিফ মেডিক্যাল অফিসারের যে বয়ানের চিঠি সামনে এসেছে সেখানে বয়ান অনেকটাই পাল্টে গিয়েছে। ওই চিঠিটিতে দাবি করা হয়েছে, মার্চ মাসের ১১ তারিখ মুম্বই হয়ে লখনউয়ে আসেন কণিকা। মুম্বই বিমানবন্দরে তাঁকে পরীক্ষা করা হলেও লখনউয়ে তাঁর পরীক্ষা হয়নি। গায়িকা নিজেও দাবি করেছিলেন যে, লন্ডন থেকে ৯ মার্চ মুম্বইয়ে এসেছিলেন তিনি। লখনউয়ে আসেন ১১ মার্চ।
আরও পড়ুন: দল বেঁধে কাঁসর-ঘণ্টা পার্টি, প্রধানমন্ত্রীর নামে জয়ধ্বনি
লখনউয়ের কিং জর্জ মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, কণিকার সংস্পর্শে এসেছেন এমন ১০০ জনকে পরীক্ষা করে দেখা হয়েছে। তবে এখনও পর্যন্ত কারও শরীরে সংক্রমণের লক্ষণ মেলেনি। ওই দিনের পার্টিতে ছিলেন প্রবীণ কংগ্রেস নেতা জিতিন প্রসাদ ও তাঁর স্ত্রীও। তবে পরীক্ষায় তাঁদের সংক্রমণ ধরা পড়েনি বলে রবিবার হাসপাতাল সূত্রে জানানো হয়েছে। তবে আগামী ১৪ দিনের জন্য তিনি সস্ত্রীক আইসোলেশনে থাকবেন বলে জানিয়েছেন ওই প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। কণিকার সঙ্গে পার্টিতে ছিলেন উত্তরপ্রদেশের স্বাস্থ্যমন্ত্রী জয়প্রতাপ সিংহও। তবে তাঁরও সংক্রমণ ধরা পড়েনি।
অন্য দিকে লখনউয়ে সঞ্জয় গাঁধী পিজিআইএমএস চিকিৎসাধীন কণিকার বিরুদ্ধে তারকাসুলভ আচরণের অভিযোগ উঠেছে। তাঁকে অন্য রোগীদের মতোই চিকিৎসকদের সঙ্গে সহযোগিতা করার আর্জি জানিয়েছেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। তাঁরা জানান, গায়িকাকে নিজস্ব শৌচালয়-সহ বাতানুকূল ঘরে রাখা হয়েছে। বাতানুকূল যন্ত্র থেকে সংক্রমণ ছড়ানো এড়াতে বিশেষ ‘এয়ার হ্যান্ডলিং ইউনিট’-এর ব্যবস্থাও করা হয়েছে। যদিও শনিবার কণিকা এক সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে অভিযোগ করেন, তাঁকে একটি অপরিচ্ছন্ন ঘরে রাখা হয়েছে যেখানে মশার উপদ্রবে নাজেহাল তিনি। তাঁর সঙ্গে ‘অপরাধী’র মতো আচরণ করা হচ্ছে বলেও অভিযোগ গায়িকার।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy