বিতর্কে মধ্যপ্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী কমল নাথ। ছবি: সংগৃহীত।
করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলায় নরেন্দ্র মোদী সরকারের সমালোচনা করতে গিয়ে ফের বিতর্কে মধ্যপ্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী কমল নাথ। তাঁর মতে, দেশে সংক্রমণের বাড়বাড়ন্তের জেরে বিশ্বের কাছে ভারত আর ‘মহান’ নয়। ভারতের ‘বদনাম’ হয়ে গিয়েছে। করোনা পরিস্থিতি সামলাতে মোদী সরকারের ব্যর্থতাই দায়ী বলেও দাবি কমলের। তাঁর আরও দাবি, সংক্রমণের জেরে বিদেশের মাটিতে বৈষম্যমূলক আচরণ সহ্য করতে হচ্ছে ভারতীয়দের। শুক্রবার মধ্যপ্রদেশের মাইহারে একটি সাংবাদিক বৈঠকে কমল নাথের এই মন্তব্যের পর তাঁকে তীব্র আক্রমণ করেছে বিজেপি। তিনি মানসিক ভারসাম্য হারিয়েছেন বলেই বিশ্বের কাছে ভারতের অপমান করছেন বলে পাল্টা মন্তব্য করেছেন মধ্যপ্রদেশের বিজেপি নেতা বিষ্ণুদত্ত শর্মা।
শুক্রবার সাতনা জেলার মাইহারে একটি ধর্মীয় অনুষ্ঠানে গিয়েছিলেন কমল। অনুষ্ঠানের পর সাংবাদিকদের তিনি বলেন, “আজ ভারত আর মহান নয়। বরং বদনাম। দেশের কোভিড পরিস্থিতি নিয়ে গোটা বিশ্বের নজর এখন ভারতের দিকে রয়েছে। আজ আমেরিকায় ভারতীয় ট্যাক্সি ড্রাইভারদের পাশে বসতে ভয় পান সেখানকার মানুষেরা।”
করোনা ছাড়াও দেশে ব্ল্যাক ফাঙ্গাসের সংক্রমণ নিয়েও মোদী সরকারকে বিঁধেছেন কংগ্রেস নেতা কমল। তিনি বলেন, “ভারত ছাড়া অন্য কোনও দেশ ব্ল্যাক ফাঙ্গাসের সংক্রমণ নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েনি।”
हम मंदिर जाते हैं तो भगवान से देश एवं देशवासियों की इस महामारी से रक्षा की प्रार्थना करते हैं, और कमलनाथ जी मंदिर जाकर देश को बदनाम करने वाले वयान देते हैं। इस कृत्य को तो भगवान भी मांफ नहीं करेंगे। भारत माँ के अपमान का जवाब देशवासी आपको जरूर देंगे। #DeshVirodhiKamalnath pic.twitter.com/PqUp8akeRu
— VD Sharma (@vdsharmabjp) May 28, 2021
কমলের মন্তব্যের পরই তাঁকে আক্রমণ করতে ছাড়েনি বিজেপি। টুইটারে বিষ্ণুদত্তের ভিডিয়োবার্তা, ‘মধ্যপ্রদেশে ক্ষমতা হারানোর পর কমল নাথ’জির মানসিক ভারসাম্য বিগড়ে গিয়েছে। কোনও সুস্থ মস্তিষ্কের মানুষ এই বিশ্বজোড়া সঙ্কটের সময় এ ধরনের কথাবার্তা বলতে পারেন না। আপনি এমন ধরনের মন্তব্য করে ভারতের অপমান করেছেন। দেশের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেছেন। আপনার লজ্জা হওয়া উচিত’।
এই প্রথম নয়, কিছুদিন আগেও করোনার বি.১.৬১৭ প্রজাতিকে ‘ভারতীয় প্রজাতি’ বলে বিতর্কে জড়িয়েছিলেন কমল।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy