প্রতীকী ছবি।
লকডাউন উঠলে তার পরের দিন অর্থাৎ ১৮ মে থেকেই ঘরোয়া উড়ান চলতে পারে, এমন আভাস পেয়ে সেজে উঠছে কলকাতা বিমানবন্দর। মঙ্গলবার বিমানবন্দরের অধিকর্তা কৌশিক ভট্টাচার্য ঘুরে ঘুরে টার্মিনালের ভিতরে স্যানিটাইজ়েশন বা জীবাণুমুক্তির কাজ পর্যবেক্ষণ করেন। যাত্রীরা যাতে দূরে দূরে দাঁড়ান, তার জন্য মেঝেতে বিশেষ চিহ্ন এঁকে দেওয়া হয়। টার্মিনালের মধ্যে যাত্রীরা পাশাপাশি যাতে না-বসেন, তার জন্য বেশ কিছু চেয়ারে ক্রস বা কাটা চিহ্নও দিয়ে দেওয়া হয়েছে।
লকডাউন উঠে যাওয়ার পরে পরেই দেশীয় উড়ান চালানোর ক্ষেত্রে ‘স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং প্রসিডিওর’ বা বিশেষ কিছু নতুন নিয়মের কথা জানিয়েছে বিমান মন্ত্রক। মঙ্গলবার দেশের বিভিন্ন বিমানবন্দরে এবং বিভিন্ন উড়ান সংস্থার কাছে এই নিয়মাবলি পৌঁছে গিয়েছে। সব যাত্রীকে পিপিই বা বর্মবস্ত্র পরতে হবে। যাত্রীরা পিপিই, মাস্ক, গ্লাভস, জুতোর কভার সঙ্গে না-আনলে বিমানবন্দরে উড়ান সংস্থাকে সেগুলো দিতে হবে। তার জন্য যাত্রীদের কাছ থেকে টাকা নেবে উড়ান সংস্থা। আপাতত কেবিন ব্যাগ আনা যাবে না। আরও কিছু নিয়মের কথা বলা হয়েছে। যাত্রীদের মধ্যে বিমানবন্দরের ভিতরে ছ’ফুট দূরত্ব রাখতে হবে। পাশাপাশি তিনটি আসনের মাঝেরটি খালি রাখতে হবে, এমন কোনও নির্দেশ নেই। যার অর্থ, বিমানবন্দরে ছ’ফুট দূরে দূরে দাঁড়িয়ে বিমানে উঠে পাশাপাশি গা ঘেঁষে বসবেন যাত্রীরা।
আরও পড়ুন: মা-মেয়ে-সহ মৃত্যু ৪ পরিযায়ী শ্রমিকের
প্রশ্ন উঠছে, কেন মাঝখানের আসন বিক্রি করতে দেওয়া হচ্ছে উড়ান সংস্থাকে? বিমান পরিবহণ বিশেষজ্ঞদের অভিযোগ, প্রতিটি উড়ানে মাঝখানের আসন খালি রাখতে হলে লোকসানের মুখে পড়বে উড়ান সংস্থা। তারা যাতে দেউলিয়া হয়ে না-যায়, সেই জন্যই এই ব্যবস্থা। তবে প্রতিটি উড়ানের সময়ে বিমানের শেষ তিনটি সারির আসন খালি রাখার নির্দেশ এসেছে। উড়ান চলাকালীন কোনও যাত্রী যদি অসুস্থ বোধ করেন, লাগে বা তাঁর দেহে যদি করোনা সংক্রমণের আভাস পাওয়া যায়, তা হলে তাঁকে পিছনের ওই তিনটি সারিতে নিয়ে গিয়ে অন্য যাত্রীদের থেকে সরিয়ে রাখা হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy