সর্বদল বৈঠকে অমিত শাহ।
প্রত্যেক দিল্লিবাসীর করোনা পরীক্ষা করা হবে। সোমবার সর্বদল বৈঠকে ঘোষণা করলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। আগামী কয়েক দিনের মধ্যে দিল্লিতে দৈনিক করোনার নমুনা পরীক্ষার সংখ্যা বেশ কয়েক গুণ বাড়ানো হবে বলেও আশ্বাস দিয়েছেন অমিত। করোনা পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে এ দিন সর্বদল বৈঠকের ডাক দেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। দিল্লি ছাড়াও উত্তরপ্রদেশ ও হরিয়ানার কিছু এলাকায় করোনা মোকাবিলায় কী কী পদক্ষেপ করা উচিত তা নিয়েই আলোচনা হয় বৈঠকে। রাজনৈতিক বিভেদ ভুলে সব দলকে একজোট হয়ে কাজ করার বার্তাও এ দিন দিয়েছেন অমিত।
রাজ্যগুলির মধ্যে মোট সংক্রমিতের সংখ্যার নিরিখে মহারাষ্ট্র ও তামিলনাড়ুর পরেই রয়েছে দিল্লি। দিল্লিতে এখন মোট করোনা আক্রান্ত ৪১ হাজারের বেশি। মৃত্যু হয়েছে এক হাজার ৩২৭ জনের। শুধু দিল্লিতেই কন্টেনমেন্ট জোনের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে সাড়ে চারশোর কাছাকাছি। সম্প্রতি যে তথ্য সামনে এসেছে তা আরও উদ্বেগজনক। তাতে বলা হচ্ছে, ৩০ মে থেকে ১১ জুনের মধ্যে দিল্লিতে সংক্রমণের হার ২১ শতাংশ বেড়েছে। আতঙ্ক বেড়েছে সুস্থ হয়ে ওঠার হার ৮ শতাংশ কমে যাওয়ায়। এই পরিস্থিতিতে হস্তক্ষেপের সিদ্ধান্ত নেয় মোদী সরকার। তা ছাড়া দিল্লির আইন-শৃঙ্খলার দায়িত্ব কেন্দ্রের হাতে, তাই দিল্লির পরিস্থিতির দায় কিছুটা হলেও কেন্দ্রের ঘাড়ে বর্তায়।
এ দিন সর্বদল বৈঠকে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ ছাড়াও ছিলেন উপরাজ্যপাল অনিল বৈজল ও মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরীবাল। বেশিরভাগ রাজনৈতিক দলই দিল্লিতে টেস্টের সংখ্যা বাড়ানোর পক্ষে এত দিন ধরে দাবি তুলে আসছিল। সে দিকে নজর রেখেই অমিত শাহ বলেন, ২০ জুনের মধ্যে দিল্লিতে দৈনিক ১৮ হাজার করোনা পরীক্ষা করা শুরু হবে। রবিবার অরবিন্দ কেজরীবালের সঙ্গে বৈঠক করেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। ওই বৈঠকে দিল্লির পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে একাধিক সিদ্ধান্তের ঘোষণা করা হয়। বলা হয়েছিল, নমুনা পরীক্ষার সংখ্যা তিন গুণ বাড়ানো হবে। অমিত শাহ বলেন, কন্টেনমেন্ট জোনের প্রতি বুথে করোনা টেস্ট করা হবে। সেইসঙ্গে সংক্রমণ খুঁজে বের করতে হটস্পট এলাকাগুলিতে ঘরে ঘরে সমীক্ষাও চালানো হবে বলেও ওই দিন ঘোষণা করেন তিনি।
আরও পড়ুন: সুশান্তের শেষ ফোন! ধরেননি বন্ধু মহেশ
নর্থ ব্লকে এ দিনের বৈঠকে আম আদমি পার্টি ও বিজেপি ছা়ডাও উপস্থিত ছিলেন কংগ্রেস, বহুজন সমাজ পার্টি ও সমাজবাদী পার্টির প্রতিনিধিরাও। সকলের পরীক্ষা ছাড়াও, আক্রান্ত ও কন্টেনমেন্ট জোনে বসবাসকারী প্রত্যেক পরিবারকে এককালীন ১০ হাজার টাকা দেওয়ার দাবি তোলে কংগ্রেস।
আরও পড়ুন: ‘ধার মেটাতে হচ্ছে, বেতন দিতে পারব কি না জানি না’, পরিচারককে বলেছিলেন সুশান্ত
দিল্লিতে সংক্রমিতের সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে। তার ফলে টান পড়েছে হাসপাতালের শয্যাতেও। পরিস্থিতি দ্রুত মোকাবিলায় দিল্লি সরকারকে হাসপাতালের ধাঁচে পরিকাঠামো রয়েছে, এমন পাঁচশো কামরা দিয়ে সাহায্য করবে রেল। এ ছাড়াও করোনা চিকিৎসার খরচ কমানোর দিকগুলি খতিয়ে দেখতে একটি কমিটিও গঠন করা হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy