Advertisement
২২ নভেম্বর ২০২৪
National News

কম খরচে দেশেই ভেন্টিলেটর বানানোর দিশা দেখাচ্ছেন ভারতীয় বিজ্ঞানীরা

এত দিন ভেন্টিলেটর বানানোর জন্য তার মূল দু’টি উপাদান ‘সেন্সর’এবং ‘ফ্লো-কন্ট্রোলার’ দেশের প্রস্তুতকারক সংস্থাগুলিকে আনতে হত বিদেশ থেকে।

বিশ্ব জুড়েই চাহিদা এখন ভেন্টিলেটরের। ছবি- শাটারস্টকের সৌজন্যে।

বিশ্ব জুড়েই চাহিদা এখন ভেন্টিলেটরের। ছবি- শাটারস্টকের সৌজন্যে।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ১১ এপ্রিল ২০২০ ১২:২৭
Share: Save:

কোভিড-১৯ ভাইরাসে আক্রান্তদের জন্য এ বার ভারতেই যাতে খুব কম খরচে ভেন্টিলেটর বানানো যায়, সে জন্য দেশীয় প্রযুক্তি সরবরাহ করবে বেঙ্গালুরুর ‘ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ সায়েন্স (আইআইএসসি)’। এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে আইআইএসসি-র তরফে এ কথা জানানো হয়েছে। দাবি করা হয়েছে, এপ্রিলের শেষাশেষি সেই দেশীয় প্রযুক্তি তুলে দেওয়া হবে ‘ভারত হেভি ইলেকট্রিক্যাল্স লিমিটেড (ভেল)’-সহ কয়েকটি দেশীয় প্রস্তুতকারক সংস্থার হাতে।

কোভিড-১৯ ভাইরাসে আক্রান্তদের ক্ষেত্রে দেখা গিয়েছে, এই ভাইরাস তাঁদের ফুসফুসকে পুরোপুরি নষ্ট করে দেয়। ফলে, আক্রান্ত হওয়ার পরেই শ্বাসকষ্ট শুরু হয় রোগীদের। তা তাঁদের মৃত্যুর কারণও হয়ে ওঠে। কৃত্রিম ভাবে শ্বাসপ্রক্রিয়া চালু রেখে চিকিৎসার জন্য বাড়তি সময় আদায় করার লক্ষ্যেই ব্যবহার করা হয় ভেন্টিলেটর।

এত দিন ভেন্টিলেটর বানানোর জন্য তার মূল দু’টি উপাদান ‘সেন্সর’এবং ‘ফ্লো-কন্ট্রোলার’ দেশের প্রস্তুতকারক সংস্থাগুলিকে আনতে হত বিদেশ থেকে। তার জন্য ভারতে ভেন্টিলেটর বানানোর খরচ বেশি হত। দামও হত বেশি। এখন বিশ্ব জুড়ে লকডাউন চলায় ভেন্টিলেটর বানানোর জন্য বিদেশ থেকে সেন্সর এবং ফ্লো-কন্ট্রোলারও আনা সম্ভব হচ্ছে না। অথচ সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতাল নিয়ে দেশে এখন ভেন্টিলেটরের সংখ্যা সাকুল্যে ৪৮ হাজার। করোনা সংক্রমণের পরিস্থিতিতে যা কিছুই নয়।

বিজ্ঞানীদের বানানো সেন্সর ও ফ্লো-কন্ট্রোলার। ছবি সৌজন্যে: আইআইএসসি, বেঙ্গালুরু।

“এই পরিস্থিতিতে আমাদের এই প্রযুক্তিতে বানানো সেন্সর এবং ফ্লো-কন্ট্রোলার দিয়ে অনেক কম খরচে ভেন্টিলেটর বানাতে পারবেন দেশীয় প্রস্তুতকারকরা। কারণ, আমরা যে প্রযুক্তিতে ভেন্টিলেটরের এই উপাদানগুলি বানাচ্ছি, তার খরচ সামান্য। আর তা আন্তর্জাতিক ভাবে স্বীকৃতও’’, দাবি করেছেন আইআইএসসি-র ইলেকট্রনিক সিস্টেমস ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের প্রিন্সিপাল রিসার্চ সায়েন্টিস্ট টি ভি প্রভাকর।

আরও পড়ুন- লকডাউনে বাড়ির লোকজনকে কী ভাবে সময় দেবেন?

আরও পড়ুন- পরোক্ষে ঘ্রাণশক্তিকে নষ্ট করে কোভিড-১৯, জানাল গবেষণা​

ভেন্টিলেটরের মধ্যে থাকে সেন্সর ও অ্যাকচুয়েটর। রোগীদের দেওয়ার আগে চিকিৎসকেরা এদের মাধ্যমেই বায়ু ও অক্সিজেনের চাপ এবং আয়তন মেপে নেন।

আইআইএসসি-র গবেষকরা ওয়াটার পিউরিফায়ারের সেডিমেন্টেশন ট্যাঙ্ককেই একটু অন্য ভাবে ব্যবহার করেছেন ভেন্টিলেটরে বায়ু ও অক্সিজেনকে মজুত রাখা এবং তাদের চাপ ও আয়তনকে কাঙ্খিত মাত্রায় রাখার জন্য। আর গাড়ির চাকায় আমরা হাওয়া ভরি যে ভাবে, সেই পদ্ধতিতেই ভেন্টিলেটরের সেন্সর বানানোর পথ দেখিয়েছেন।

(অভূতপূর্ব পরিস্থিতি। স্বভাবতই আপনি নানান ঘটনার সাক্ষী। শেয়ার করুন আমাদের। ঘটনার বিবরণ, ছবি, ভিডিয়ো আমাদের ইমেলে পাঠিয়ে দিন, feedback@abpdigital.in ঠিকানায়। কোন এলাকা, কোন দিন, কোন সময়ের ঘটনা তা জানাতে ভুলবেন না। আপনার নাম এবং ফোন নম্বর অবশ্যই দেবেন। আপনার পাঠানো খবরটি বিবেচিত হলে তা প্রকাশ করা হবে আমাদের ওয়েবসাইটে।)

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy