প্রতীকী ছবি।
হোম কোয়রান্টিনে থাকা কোনও ব্যক্তিকে যদি শহরে ঘুরে বেড়াতে দেখা যায়, তত্ক্ষণাত্ তাঁকে গ্রেফতার করা হবে। সোমবার এমনই হুঁশিয়ারি দিলেন বেঙ্গালুরুর পুলিশ কমিশনার ভাস্কর রাও। কেন্দ্র এবং রাজ্য সরকার থেকে বার বার বলা হচ্ছে, কোয়রান্টিন অবস্থায় কেউ যেন ঘুরে না বেড়ান। কিন্তু তার পরেও শহরের রাস্তায় অনেকেই ঘুরে বেড়াচ্ছেন বলে অভিযোগ উঠছে। ভাস্কর রাও এ প্রসঙ্গে এ দিন বলেন, “এমন বেশ কিছু ফোন পাচ্ছি যে, কোয়রান্টিনের স্ট্যাম্প থাকা সত্ত্বেও বেশ কয়েক জন শহরের বাস্তায় ঘুরে বেড়াচ্ছেন, রেস্তরাঁয় যাচ্ছেন।” এর পরই তাঁর হুঁশিয়ারি, “এমন কোনও ব্যক্তিকে দেখলেই সঙ্গে সঙ্গে ১০০ নম্বরে ডায়াল করে জানান। ওই সব ব্যক্তিকে গ্রেফতার করে সরকারি কোয়রান্টিনে পাঠানো হবে।”
যাঁদের শরীরে কোয়রান্টিনের স্ট্যাম্প রয়েছে, নিয়ম অনুযায়ী তাঁদের ১৪ দিন বাড়িতে থাকা উচিত। কিন্তু সেই নিয়মকে অগ্রাহ্য করছেন অনেকেই। সংক্রমণ এড়াতে যেখানে রাজ্যে রাজ্যে লকডাউন, শাটডাউন এবং ১৪৪ ধারা জারির মতো পদক্ষেপ করছে প্রশাসন, এমন একটা সঙ্কটময় মুহূর্তে কোয়রান্টিনে থাকা ব্যক্তিরা কী ভাবে ঘুরে বেড়াচ্ছেন তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে বিভিন্ন মহলে।
সময় যত গড়াচ্ছে, দেশে আক্রান্তের সংখ্যাটাও বাড়ছে। ইতিমধ্যেই ৪১৫ জন সংক্রমিত হয়েছেন। মৃত্যু হয়েছে ৭ জনের। করোনা আক্রান্ত রাজ্যগুলোর মধ্যে কর্নাটকও খুব একটা পিছিয়ে নেই। সেখানে ইতিমধ্যেই ২৬ জন সংক্রমিত হয়েছেন। সংক্রমণ ঠেকাতে শাটডাউনের পথে হেঁটেছে কর্নাটক। রাজ্যের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বাসবরাজ বোম্মাই জানিয়েছেন, রাজ্যের করোনা আক্রান্ত শহরগুলি যেমন, বেঙ্গালুরু রুরাল, মেঙ্গালুরু, মাইসুরু, কালবুর্গি, ধারওয়ার, চিক্কাবল্লাপুরা, কোদাগু, বেলগাভিতে লকডাউন চালু হয়েছে। করোনার হানায় দেশের মধ্যে প্রথম মৃত্যু ঘটেছে এই কর্নাটকেই। রাজ্যের কালবুর্গিতে গত ১২ মার্চ এক বৃদ্ধার মৃত্যু হয়।
আরও পড়ুন: লকডাউনে নিয়ম ভাঙলে জেল, করোনা নিয়ে এ বার আরও কড়া সরকার
আরও পড়ুন: ‘লক ডাউনকে হালকা ভাবে দেখবেন না’, দেশবাসীকে সতর্ক করলেন মোদী
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy