প্রতীকী ছবি।
অসমের কাছাড় জেলায় ১ অগস্ট করোনায় আক্রান্ত ছিলেন ২৪১ জন৷ ১ সেপ্টেম্বর তা ১১৩-তে নেমে আসে৷ একই অবস্থা করিমগঞ্জ-হাইলাকান্দি জেলাতেও৷ কিন্তু মিজোরামে চিত্রটা ভিন্ন৷ প্রতিবেশী রাজ্যটিতে সংক্রমণ বেড়েই চলেছে৷ বুধবার সেখানে ৮৮০ জন নতুন করে করোনায় আক্রান্ত হন৷ তাদের মধ্যে রয়েছে ১৭৬টি শিশুও৷ মোট রোগীর ২০ শতাংশ শিশু হওয়াকে উদ্বেগজনক বলেই মনে করছেন শিলচর মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ-উপাধ্যক্ষরা৷ তাঁদের কথায়, বরাক উপত্যকায় কোভিড কমলেও তাঁরা স্বস্তিতে নেই৷ মিজোরামে শিশুদের আক্রান্ত হওয়ার যে প্রবণতা দেখা যাচ্ছে, তাকে খারাপ সঙ্কেত বলে মনে করছেন তাঁরা৷
অধ্যক্ষ বাবুল বেজবরুয়া জানান, এই ধরনের পরিস্থিতি বরাকে হলে কী ভাবে এর মোকাবিলা সম্ভব, তা ভেবে এখনই কাজকর্ম শুরু হয়ে গিয়েছে৷ শিলচর মেডিক্যাল কলেজে শিশুদের জন্য আগেই ১০টি আইসিইউ বেড ছিল৷ কোভিড পরিস্থিতিতে তৈরি করা হয়েছে আরও ৮টি৷ এখন তৃতীয় ঢেউ শিশুদের বেশি আক্রান্ত করলে বা এর আগেই মিজোরামের মতো পরিস্থিতি সৃষ্টির আশঙ্কায় আরও ৪০ বেডের শিশু-আইসিইউ তৈরি করা হচ্ছে৷ অধ্যক্ষ বেজবরুয়া বলেন, মিজোরামের পরিস্থিতি সুবিধের ঠেকছে না বলে দ্রুত এর কাজ শুরু করিয়েছেন৷ তিনি আশা করছেন, আগামী সপ্তাহে পুরো নির্মাণকার্য শেষ হবে৷
সরকারি সূত্রের মতে, শিলচর মেডিক্যাল কলেজে পর্যাপ্ত অক্সিজেনেরও ব্যবস্থা করা হয়েছে৷ এখন ৪০ হাজার লিটারের প্লান্ট রয়েছে৷ তা থেকে মিনিটে সরবরাহ হয় ২৫০০ লিটার লিকুইড মেডিক্যাল অক্সিজেন৷ আরও ৬০ হাজার লিটারের প্লান্ট তৈরির প্রক্রিয়া চলছে৷ এর কাজ শেষ হলে প্রতি মিনিটে সরবরাহ হবে ৪০০০ থেকে ৪৫০০ লিটার৷
উপাধ্যক্ষ ভাস্কর গুপ্তের দাবি, “প্রতিবেশী রাজ্য মিজোরামের পরিস্থিতি বলছে করোনার গতিপ্রকৃতি ভাল নয়। এর মোকাবিলায় অসমে আমরা আটঘাট বেঁধেই তৈরি হচ্ছি৷”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy