Advertisement
০৫ নভেম্বর ২০২৪
Corona virus

চিনের আগে গত দু’বছরে ৯১টি দেশে ছড়িয়েছে করোনার নয়া উপরূপ! দাবি বিজ্ঞানীদের

গত বছরের ২৬ ফেব্রুয়ারি শনাক্ত হওয়ার পর থেকে বিশ্বব্যাপী প্রায় ৪৮ হাজার করোনা আক্রান্তের নমুনায় এই উপরূপ দেখা গিয়েছে বলেও বিশেষজ্ঞদের দাবি।

চিনে ভয় ধরাচ্ছে করোনা ভাইরাসের উপরূপ বিএফ.৭।

চিনে ভয় ধরাচ্ছে করোনা ভাইরাসের উপরূপ বিএফ.৭। ফাইল চিত্র ।

সংবাদ সংস্থা
পুণে শেষ আপডেট: ২৩ ডিসেম্বর ২০২২ ১১:৫৯
Share: Save:

চিনে ভয় ধরাচ্ছে করোনা ভাইরাসের উপরূপ বিএফ.৭। সে দেশে প্রতিদিন ১০ লক্ষেরও বেশি মানুষ এই নতুন উপরূপে আক্রান্ত হচ্ছে বলে রিপোর্টে উঠে এসেছে। কিন্তু বিশেষজ্ঞদের দাবি, কোভিডের এই নয়া উপরূপ আগে থেকেই ছিল এবং চিনে কব্জা করার আগে গত ২ বছরে এই ভাইরাস ৯১টি দেশে ছড়িয়েছে।

স্ক্রিপস রিসার্চ ইনস্টিটিউটের প্রকাশিত তথ্য অনুসারে, বিএফ.৭-এর জিনের কাঠামো এবং চরিত্র ২০২১-এর ফেব্রুয়ারি থেকে ৯১টি দেশে ছড়িয়ে পড়া করোনা ভাইরাসের একটি উপরূপের সঙ্গে মিলে গিয়েছে। কিন্তু এই ৯১টি দেশে সেই উপরূপ খুব একটা প্রভাব বিস্তার করতে বা ক্ষতি করতে পারেনি বলেও তথ্যে উঠে এসেছে। পরে সেই উপরূপেরই নাম বিএফ.৭ দেওয়া হয়েছে বলে ‘ইনসাকগ’-এর এক ভারতীয় বিজ্ঞানী জানিয়েছেন। ‘ইনসাকগ’ কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রকের একটি উদ্যোগ, যা ২০২০ সালের ৩০ ডিসেম্বর কোভিডের জিনোম সিকোয়েন্সিং এবং ভাইরাসের চরিত্র অধ্যয়ন ও নিরীক্ষণের জন্য তৈরি করা হয়েছিল।

বিএফ.৭, করোনার ওমিক্রন রূপের উপরূপ। বিভিন্ন ভাইরাস বিশেষজ্ঞ এবং মহামারি বিশেষজ্ঞরা আপাতত এই নয়া উপরূপকে খুব একটা চিন্তার বিষয় বলে মনে করছেন না। গত বছরের ২৬ ফেব্রুয়ারি চিহ্নিত হওয়ার পর থেকে বিশ্বব্যাপী প্রায় ৪৮ হাজার করোনা আক্রান্তের নমুনায় এই উপরূপ দেখা গিয়েছে বলেও বিশেষজ্ঞদের দাবি।

‘ইনসাকগ’-এর জিনোম সিকোয়েন্সিং-এর গবেষক সংবাদমাধ্যমে বলেছেন, ‘‘গত ২২ মাসে বেশ কয়েকটি দেশে উপস্থিতি সত্ত্বেও, বিএফ.৭ উল্লেখযোগ্য ভাবে ক্ষতি করতে পারেনি। তাই এখনই ভয়ের কোনও কারণ তৈরি হয়নি।’’

তা হলে, বিএফ.৭ নিয়ে কেন এত আতঙ্ক ছড়াচ্ছে? তার কারণ চিনে এই উপরূপের আগ্রাসী মনোভাব দেখে। যদিও ভারতীয় বিজ্ঞানীদের দাবি, সে দেশে করোনার টিকা নিয়ে উদাসীনতা হঠাৎ সংক্রমণ বাড়ার অন্যতম কারণ।

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE