কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী ভারতী পওয়ার লিখিত উত্তরে জানিয়েছেন, ৫ থেকে ১৮ বছর বয়সিদের উপরে কোর্বেভ্যাক্স টিকার দ্বিতীয় বা তৃতীয় পর্যায়ের পরীক্ষামূলক প্রয়োগের পরে অন্তর্বর্তী রিপোর্টে টিকার সুরক্ষা ও কার্যকারিতার বিষয়টি খতিয়ে দেখে বিশেষজ্ঞ কমিটি।
প্রথম ধাপে ১৫ থেকে ১৮ বছরের পরে এখন দ্বিতীয় ধাপে ১২-১৪ বছর বয়সিদের টিকাকরণের কাজ চলছে। ফাইল চিত্র।
মানবদেহে পরীক্ষামূলক প্রয়োগের দ্বিতীয় বা তৃতীয় পর্যায়ের সাফল্যের ভিত্তিতেই কোর্বেভ্যাক্স প্রতিষেধককে ছোটদের উপরে প্রয়োগের প্রশ্নে সবুজ সঙ্কেত দেওয়া হয়েছে বলে জানাল কেন্দ্র। আজ তৃণমূল সাংসদ দেবের একটি প্রশ্নের উত্তরে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক জানায়, প্রয়োজনীয় ছাড়পত্রের পরেই বায়োলজিক্যাল ই সংস্থার ওই প্রতিষেধক ১২ থেকে ১৪ বছর বয়সিদের দেওয়ার প্রশ্নে অনুমতি দেওয়া হয়েছে।
এ বছরের শুরু থেকে ১৮ বছরের নীচে থাকা কিশোর-কিশোরীদের টিকা দেওয়ার অভিযান শুরু করেছে কেন্দ্র। প্রথম ধাপে ১৫ থেকে ১৮ বছরের পরে এখন দ্বিতীয় ধাপে ১২-১৪ বছর বয়সিদের টিকাকরণের কাজ চলছে। যাদের (১২-১৪বছর) টিকাকরণের জন্য বায়োলজিক্যাল ই সংস্থার টিকা কোর্বেভ্যাক্সকে বেছে নেয় কেন্দ্র। যদিও সে সময়ে অভিযোগ ওঠে, প্রয়োজনীয় পরীক্ষা শেষের আগেই ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে ওই প্রতিষেধককে। আজ নিজের প্রশ্নে ওই অভিযোগ সত্যি কি না তা জানতে চেয়েছিলেন পশ্চিমবঙ্গের ওই তৃণমূল সাংসদ। জবাবে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী ভারতী পওয়ার লিখিত উত্তরে জানিয়েছেন, ৫ থেকে ১৮ বছর বয়সিদের উপরে কোর্বেভ্যাক্স টিকার দ্বিতীয় বা তৃতীয় পর্যায়ের পরীক্ষামূলক প্রয়োগের পরে অন্তর্বর্তী রিপোর্টে টিকার সুরক্ষা ও কার্যকারিতার বিষয়টি খতিয়ে দেখে বিশেষজ্ঞ কমিটি। যাদের সঙ্গে সেন্ট্রাল ড্রাগস স্ট্যান্ডার্ড কন্ট্রোল অর্গানাইজেশন (সিডিএসসিও) আলোচনা করে ওই প্রতিষেধককে জরুরি ভিত্তিতে ১২ থেকে ১৮ বছর বয়সিদের উপরে প্রয়োগের ছাড়পত্র দেয়।
স্বাস্থ্যমন্ত্রক জানিয়েছে, উহান, ডেল্টা ও বিটা প্রজাতির বিরুদ্ধে ওই প্রতিষেধক প্রয়োগ করে দেখা গিয়েছে, এটি ওই সব ভাইরাসের প্রজাতির বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে তুলতে সক্ষম হয়েছে। তবে ওমিক্রন প্রজাতির বিরুদ্ধে ওই প্রতিষেধক কতটা কার্যকার তা খতিয়ে দেখার কাজ চলছে।
বিভিন্ন দেশে যখন ওমিক্রন প্রজাতি সংক্রমণে মৃত্যু ঘটাচ্ছে, তখন ভারতে ওমিক্রনের ধাক্কা অনেকাংশেই মৃদু ছিল। দেশের প্রায় ৯০ শতাংশ মানুষ টিকাকরণের আওতায় চলে আসায় ওমিক্রন এ দেশে ভয়াল রূপ ধারণ করতে পারেনি বলে আজ দাবি করেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী মনসুখ মাণ্ডবিয়া। লোকসভায় একটি প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, ডেল্টার তুলনায় ওমিক্রনের প্রকোপ অনেক কম ছিল। যার একটি বড় কারণ বছরের শেষে যখন ওমিক্রনের সংক্রমণ শুরু হয়, তখন দেশের বড় সংখ্যক মানুষ টিকার দু’টি ডোজ় নিয়ে নিয়েছিলেন। সেই কারণে ওমিক্রনের সংক্রমণে দেশে মৃত্যুর হার কম ছিল।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy