বিহারের পর এ বার মধ্যপ্রদেশে পুলিশের উপর হামলায় ঘটনায় এক অ্যাসিস্ট্যান্ট সাব-ইনস্পেক্টরের (এএসআই) মৃত্যু হল। গুরুতর আহত হয়েছেন বেশ কয়েক জন পুলিশকর্মী। তাঁদের উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। শনিবার রাতের ঘটনা।
পুলিশ সূত্রে খবর, রীবা জেলা গাদরা গ্রামে অশান্তির খবর পেয়ে মহকুমা পুলিশ আধিকারিক (এসডিপিও) অঙ্কিতা সুলিয়ার নেতৃত্বে এক দল পুলিশ সেখানে পৌঁছোয়। গ্রামে ঢুকতেই পুলিশকে ঘিরে ধরেন বিক্ষুব্ধ গ্রামবাসীরা। অভিযোগ, তার পর আচমকাই লাঠিসোটা নিয়ে পুলিশবাহিনীর উপর হামলা চালান গ্রামবাসীরা। প্রাণ বাঁচাতে পুলিশকর্মীরা ছুটে পালাতে থাকেন। কিন্তু তাঁদের তাড়া করে মারধর করা হয়। এসডিপিও অঙ্কিতা কোনও রকমে একটি বাড়িতে ঢুকে ভিতর থেকে দরজা বন্ধ করে নিজের প্রাণ বাঁচান।
পুলিশ সূত্রে খবর, এসিডিপিও একটি ঘরে ঢুকে পড়েছিলেন। বাকি পুলিশকর্মীরা পালানোর চেষ্টা করেন। কিন্তু গ্রামবাসীরা তাঁদের ঘিরে ধরে বেধড়ক মারধর করেন। গুরুতর জখম হন অনেক পুলিশকর্মী। তাঁদের মধ্যে মৃত্যু হয় এএসআই চরণ গৌতমের। হামলার খবর পেয়ে বিশাল পুলিশবাহিনী গিয়ে গ্রাম ঘিরে এসডিপিও এবং জখম পুলিশকর্মীদের উদ্ধার করে নিয়ে যায়। এই ঘটনার পর গ্রামে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে। পুলিশ সূত্রে খবর, গাদরা গ্রামে রঞ্জন দ্বিদেবী নামে এক ব্যক্তিকে অপহরণ করেন গ্রামবাসীরা। অশোক নামে গ্রামেরই এক ব্যক্তিকে খুন করার সন্দেহে তাঁকে তুলে নিয়ে এসে মারধর করা হচ্ছিল। সেই খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে গিয়েছিল পুলিশ। তখন পুলিশের উপর গ্রামবাসীদের রোষ আছড়ে পড়ে।
বিহারে ৪৮ ঘণ্টার ব্যবধানে আরারিয়া এবং মুঙ্গেরে দুই এএসআইকে খুনের ঘটনায় যখন শোরগোল চলছে, সেই আবহে মধ্যপ্রদেশে আবারও পুলিশকর্মীদের উপর হামলার ঘটনা এবং এক এএসআইয়ের মৃত্যুতে দুই রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছে বিরোধী দলগুলি।