প্রতীকী ছবি।
কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য অভিন্ন প্রবেশিকা পরীক্ষা (সিইউইটি) প্রত্যাহারের দাবি জানিয়ে সোমবারই প্রস্তাব পাশ হয়েছে তামিলনাড়ু বিধানসভায়। কেন্দ্র জোর করে ওই পরীক্ষা চাপিয়ে দিয়েছে বলে তামিলনাড়ুর দলগুলি সরব হলেও, আজ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি)-এর চেয়ারম্যান এম জগদেশ কুমার দাবি করেছেন, ফি দিন একাধিক রাজ্য বিশ্ববিদ্যালয়গুলি ওই অভিন্ন পরীক্ষায় অংশ নিতে আগ্রহ প্রকাশ করে চলেছে। গোড়ায় দেশের ৪৫টি কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয় ওই পরীক্ষার আওতায় থাকলেও, যে ভাবে রাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়গুলি আগ্রহ দেখাচ্ছে তাতে আগামী দিনে পড়ুয়াদের কাছে আরও বেশি বিকল্প খুলবে বলে আশা করছেন ইউজিসি কর্তৃপক্ষ। ওই পরীক্ষা মোটেই চাপিয়ে দেওয়া নয়, বরং স্নাতক ও স্নাতকোত্তর স্তরে অভিন্ন পরীক্ষার মাধ্যমে পড়ুয়াদের কাছে দেশ জুড়ে পড়ার সুযোগ বাড়বে বলে দাবি করেছে ইউজিসি।
মূলত বিশ্ববিদ্যালয় স্তরে পড়ুয়াদের একটি পরীক্ষার মাধ্যমে দেশ জুড়ে থাকা কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে যে কোনও বিষয়ে পড়ার সুযোগ করে দিতেই সিইউএটি পরীক্ষা চালু করার সিদ্ধান্ত নেয় কেন্দ্র। এর ফলে দেশের যে কোনও প্রান্তের এক জন পড়ুয়া সম্পূর্ণ অন্য প্রান্তের একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সুযোগ পাবেন। ইউজিসি চেয়ারম্যান জগদেশ কুমার এ দিন এক আলাপচাপরিতায় জানান, “এর ফলে কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে আলাদা করে প্রবেশিকা পরীক্ষা নেওয়ার প্রথা বাতিল করে দেওয়া হয়েছে। একটি পরীক্ষার মাধ্যমে এখন দেশের ৪৫টি কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের যে কোনও একটিতে আবেদন করা যাবে।”
ইউজিসি প্রধানের মতে, স্নাতক স্তরে দিল্লির কলেজগুলিতে ভর্তির প্রশ্নে কোনও কোনও ক্ষেত্রে ন্যূনতম ৯৯-১০০ শতাংশ নম্বর চাওয়া হয়, যা অবাস্তব। তা ছাড়া দেশের রাজ্য বোর্ডগুলির নম্বর দেওয়ার ধারা ভিন্ন রমকরে। ফলে বৈষম্য তৈরি হয়। যা দূর করতেই ওই অভিন্ন পরীক্ষার কথা ভাবা হয়েছে। যে পরীক্ষা দিয়ে ভর্তি হতে পারবেন পড়ুয়ারা। একমাত্র ভর্তির পরীক্ষায় সম-নম্বর পেলে সে ক্ষেত্রে টাইব্রেকার ভাঙতে দুই পরীক্ষার্থীর প্রথমে দ্বাদশ ও পরে দশম শ্রেণির নম্বরকে গণ্য করা হবে। নচেত নয়। তিনি দাবি করেন, ইউজিসি-র পক্ষ থেকে রাজ্যের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে যোগ দেওয়ার আবেদন জানানো হয়েছিল। তাতে অনেক রাজ্যের শিক্ষা বিভাগ ও রাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়গুলি ইতিবাচক ভাবে সাড়া দিয়েছে। অনেকেই সিইউইটি পরীক্ষা ব্যবস্থার সঙ্গে জুড়তে চেয়ে আগ্রহ প্রকাশ করেছে। নীতিগত ভাবে ইউজিসিও চায় দেশের সব বিশ্ববিদ্যালয়কেই ওই অভিন্ন পরীক্ষার আওতায় নিয়ে আসতে। যাতে পড়ুয়াদের কাছে আরও বেশি বিকল্প পাঠক্রম পড়ার রাস্তা খুলে যায়। জগদেশের দাবি, “ইতিমধ্যেই একাধিক রাজ্যের সঙ্গে এ বিষয়ে আমার কথা হয়েছে। খুব দ্রুত এ নিয়ে আমি পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের সঙ্গে বৈঠকে বসব।”
পশ্চিমবঙ্গ-সহ দেশের বিভিন্ন রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রীর কাছে সিইউইটি ব্যবস্থার সঙ্গে যুক্ত হতে ও জাতীয় শিক্ষা নীতি সফল ভাবে রূপায়ণের লক্ষ্যে চিঠি পাঠানো হয়েছে বলে দাবি করেছেন ইউজিসি প্রধান। তাঁর কথায়, “সকল রাজ্যের পড়ুয়া যাতে সম মানে থাকে, সেটা নিশ্চিত করা আমাদের লক্ষ্য। কারণ পড়াশুনার মনের ক্ষেত্রে কোনও একটি রাজ্য পিছিয়ে পড়লে সে ক্ষেত্রে উন্নত শিক্ষার লক্ষ্যে ওই রাজ্যের পড়ুয়ারা অন্য রাজ্যে চলে যাবে। এতে ওই রাজ্যের ক্ষতি হবে। এটা রুখতে দেশ জুড়ে অভিন্ন শিক্ষা মানের লক্ষ্যে রাজ্যগুলিতে জাতীয় শিক্ষা নীতি রূপায়ণে জোর দিতে চায় কেন্দ্র।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy